পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>8 تحصیه میبیسیحیعیخیصههای تاریخیصخص میکند ایسه بمبیی همین حیایی তবুও মহম্মদ শাহ অবধি সম্রাটগণ কিছুকাল তাল সাম্‌লাইয়াছিলেন। বসন্ত শাহর মৃত্যুর পূর্ব অবধি র্তাহার স্বন্ধে রাজকাৰ্য্য পরিচালনের ভার সমপিত ছিল । তিনি যখন লীলাসম্বরণ করিলেন–র্তাহার ভ্রাত কসোর আন্ধি খার হাতে দুর্গের ভীর ন্যস্ত হইল। তিনি সকলেরই প্রিয় ছিলেন–র্তাহার সমাধি গোহাদের নিকট নির্জন স্থানে এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। ইহঁারই সময় মোগলের সৌভাগ্যস্বৰ্য্য একেবারে অস্তগমনোন্মুখ হইল—সেই সুযোগে ‘গোয়ালিয়র দুর্গ আবার স্বাতন্ত্র্য লাভের অবসর প্রাপ্ত হুইল । তৈমুরলঙ্গের বংশধরেরা ভারতবর্গে এতদিন রাজত্ব করিয়া অভ্যাসিতেছিলেন,—মহম্মদ শাহর সময়ে সাম্রাজ্য একেবারে চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া গেল। মহারাটা জাতি সমস্ত ভারতবর্ষে আন্দোলন আরম্ভ করিয়া দিলেন । দক্ষিণ হইতে বিঠ ঠল রাও বিনচুরকর আসিয়া শেষ কিলেদারকে পরাজিত করিয়া “গোয়ালিয়র দুর্গ” নিজেদের অধিকারভূক্ত করিলেন। “কিলেদার" কসোর আলি খ! যখন দেখিলেন মহারাটাদিগের গতিরোধ করা দুঃসাধ্য—তিনি তখন গোহাদের রাণা ভীমসিংহেব সাহায্যপ্রার্থী হইলেন । প্রায় আড়াই মাস কাল যুদ্ধ হইল। রাণ। পরাভূত হইলেন--দুর্গে মহারাট্টাদিগের গৈরিক-বিজয়-পতাকা সৰ্ব্বপ্রথম উডঙীন হইল। বিনচুরকরের মৃত্যুর পর তাহার পুত্র গোবিন্দপ্তাম নিজের পিতারই স্থায় স্বশাসন করিয়াছিলেন । তাহার शष्ट्रात সময় সকলেরই মনে আঘাত লাগিয়াছিল। গোবিন্দতাম পূৰ্ব্বে দক্ষিণের স্ববাদার ছিলেন । র্তাহার পর নৃসিংহ রাও পেশওয়ার প্রতিনিধিস্বরূপ যুগে রহিলেন । র্তাহার বিখ্যাত পুত্র রঘুনাথ রাওয়ের সময় দুর্গ গোহাঁদের রাণ ছত্রপতি স্বারা অবরুদ্ধ হয় । ছত্রপতি সিংহকে ভারতবর্ষে প্রায় সকলেই বিশেষরূপে জানিত-ৰ্তাহার সহিত মহারাট্টাদিগের বহুদিন বৈরীভাব চলিয়া আসিতেছিল। রঘুনাথ রাওয়ের সহিত র্তাহার প্রায়ই যুদ্ধ হইত। তিনি প্রায় আড়াই মাস কাল দুর্গ অবরোধ করিয়া রাখেন, কিন্তু দুর্গের প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩e MeeAeAeAMAMAAA AAASS | ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড তোরণ অবধি পৌছিতে আর পারিলেন না। অবশেষে তিনি ভগ্ন-মনোরথ হইয়া পলায়ন করিলেন ও ইংরেজদিগের সাহায্যপ্রার্থী হইলেন। বাপুজী হোল্কার নামীয় এক পেশওয়ার সেনাপতি মহারাটাফৌজ সহ আসিয়া দুর্গাধিপতির সহিত যোগ দিলেন । যুদ্ধ হইল, মহারাটাগণ পরাজিত হইল, রাণ ইংরেজ সহ জয়ী হইলেন । ইংরেজ ( বিক্রম অব্দ ১৮৩৩ শ্রাবণ মাস– ত্রয়োদশীর নিশীথে }— সেনাপতি পোফামের সাহায্যে দুর্গ জয় করিলেন । - “গোয়ালিয়র-নামা" এইখানে শেষ হইয়াছে। একাদশ মাস অবধি দুর্গ নিজেদের অধিকারে রাখিয়া গোহাঁদের রাণীকে সেনাপতি পোফাম দুর্গ প্রত্যপণ করিলেন । ইংরেজ পেশওয়া মহাদজী সিন্ধিয়াকে পুরস্কারস্বরূপ দুর্গ দান করিলেন—অথচ দুর্গ তখনও রাণীর অধীনে! মহাদজী সিন্ধিয়া পুরস্কার লইবার জন্য নিজের সেনাপতিদ্বয় অম্বোজী ইঙ্গলে ও খণ্ডেরাও হরির সহিত রাণার বিরুদ্ধে অভিযান করিলেন । অনেক দিন পর্য্যন্ত যুদ্ধ হইল। অবশেষে অতি কষ্টে সিন্ধিয়া বিক্রম ১৮৪০ সালে দুর্গ জয় করেন। খণ্ডেরাও হরি দুর্গের স্থবাদীর নিযুক্ত হইলেন । এইখানে “গোপাচলtখ্যানও’ শেষ হইল । হরির মৃত্যুর পর সিন্ধিয়া অম্বোজী ঈঙ্গলেকে তাহার স্থানে নিৰ্ব্বাচিত করিলেন । তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া দুর্গটি সেনাপতি হোয়াইটুকে ছাড়িয়া দেন। সিন্ধিয়া যখন ইংরেজদিগের সহিত সন্ধি স্থাপন করেন, তখন মারকুইস ওয়েলেস্থলী দুর্গটি র্তাহাকে না দিয়া গোহাঁদের রাণাকে দেন । কিন্তু কিছুদিন পরেই নিজের ভুল সংশোধনার্থ তিনি দৌলতরাও সিন্ধিয়াকে দুর্গ প্রত্যপণ করেন। মহারাজপুর ও পণিহারের যুদ্ধের পর দুর্গে ইংরেজদিগের অধীনস্থ সিপাহীরা অবস্থান করিত-পরে সন্ধি অনুসারে ইংরেজ দুর্গ ছাড়িয়া চলিয়া গেলেন । * সিন্ধিয়াবংশ বেশ নিৰ্ব্বিবাদে দুর্গে নিজের শাসন

  • শেষাংশ মূল মারাঠী গ্রন্থ “মাঝা প্রবাস" বা “১৮৫৭ সালচী বণ্ডেচ হকীকতের" সাহায্যে লেখা । এই পুস্তকটির আলোচনা ‘সাহিত্যে ( আষাঢ় ১৩১৭ পৃ ১৮১ ও শ্রাবণ ১৩১৭ পৃ ২১৮) প্রযুক্ত সখীরাম গণেশ দেউস্কর মহাশয় প্রকাশ করিয়াছিলেন। —লেখক