পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । কাসিমুদ্দীনের মার্ক ও নব পিকুইক কাসিমুদ্দীনের মার্ক ও নব পিকুইক আদি পৰ্ব্ব পঞ্চাশ বৎসরের অধিক হইল, স্যর আলেকজান্দার কানিংহামের আমলে কাসিমুদ্দীন নামে একজন লোককে কলিকাতার যাদুঘরে কেরানী রাখা হয় । তাহার কাজ ছিল যাদুঘরে রাখিবর কোন জিনিষ আনা হইলে প্রথমেই সেই দ্রব্যটির তালিকা-অতুযায়ী নম্বর তাহার উপর সাদ তৈল-রং দিয়া লেখ ; এবং সেইজন্য সে তাহার পিঠে দ্রব্যটির প্রাপ্তির তারিখ আঁচড়াইয়া রাথিত । ১৮৭৪ সালের ১৯এ জানুয়ারী একটি অতি প্রাচীন অসভ্যযুগের পাথরের জিয় পাথরের কুঠ।র-ফলকে আধুনিক কাসিমুদিনের মাক কুঠার-ফলক যাদুঘরে আনীত হওয়ায় সে তাহার পিঠে ইংরেজীতে 19 –r—74 আঁচড়াইয় লেখে। কিন্তু তাহার ইংরেজী বিদ্যা অত্যন্ত কম ছিল। প্রবাদ আছে যে সে শুধু তিনটি ইংরেজী কথা বলিতে পারিত,—ইয়েস সার, নো সার, ও ভেরি গুড সার ; এবং একদিন কাৰ্য্যাধ্যক্ষ কর্ণেল য়্যালকক তাহাকে, “আজ কেন এত দেরী করিয়া আফিসে আসিয়াছ ?” এই কথ! রাগিয়া জিজ্ঞাসা করায় সে উত্তর দেয়, “ভেরি গুড সার " কাজেই লোকটি মাসের সংখ্যার দুদিকে দুটি ছোট ছোট ড্যাশ, দেয় নাই। কিন্তু ঐ পাথরের ছবি দেখিলেই বালকেও বুঝিতে পরিবে যে লেখা লাইনটা ইংরেজী তারিখ ১৯–১–৭৪, এবং তাহার নীচে ঐ দ্রব্যটির তালিকা-নম্বর ৮৯৬ সাদা রংএ অঙ্কিত আছে । ’ উদ্যোগ পবব/ পঞ্চাশ বৎসর ধরিয়া পাথরট মিউজিয়মে পড়িয়া ছিল। তাহার মধ্যে গণ্ড গণ্ড ইংরেজী ও ভারতীয় পণ্ডিত তাহা দেখিলেন, কিন্তু কাসিমুদ্দীনের এই লেখাটির কেহই আদর করিলেন না । কেনই বা করিবেন ? তাহারা ত সাধারণ মনুষ্য; কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্ট-গ্রাজুয়েট বিভাগের রিসার্চ ? ফেসার নন, তাহারা জীবন্ত সরস্বতীকে নিত্যপূজা, জন্মদিনে বন্দন। প্রভৃতি করিয়া নিজ নিজ মস্তিষ্ক তীক্ষ এবং পকেট ভারাক্রাস্ত করেন না ; তাহার কেহই কলিকাতার নব রিসার্চ-পি-এইচডি হইবার উপযুক্ত নহেন । এমন সময় পুন৷ হইতে দেবদত্ত রামকৃষ্ণ ভণ্ডারকর নামক একজন সংস্কৃতের এম-একে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সভ্যতার পোষ্ট-গ্রাজুয়েট বিভাগের কৰ্ত্ত এবং কারমাইকেল প্রফেসার করিয়া আনা হইল। লোকটির পাণ্ডিত্য এবং অন্যান্য সুবিধাজনক গুণগুলি এত বেণী যে যদিও ঐ পদের বেতন প্রথমে ৭৫০ - মাত্র ঘোষণা করা হয়, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ এখন তাহাকে মাসিক ১,৪০০ বেতন এবং ৪০ ও ২ টাক। ভাড়ার বাড়ী নাম মাত্র একশত টাকায় দেওয়া হইতেছে, অর্থাং নিট ১৭০০২ মাসিক পারিতোষিক । তা ছাড়া পরীক্ষা, পুস্তকসৃম্পাদন প্রভৃতির দক্ষিণ আছে । ভণ্ডারকরের অধীনে ঐ বিভাগে একজন রিসার্চশিক্ষক আছেন, নাম শ্ৰী পঞ্চানন মিত্র। তিনি প্রথম বিভাগে এম্-এ পাস, হাল ফ্যাসানের প্রেমষ্টাদ স্কলার, এবং ইউনিভার্সিটি লেকচারার। ১৯১৮ সালে এই দুই মহাপণ্ডিত মিউজিয়মে ঢুকিয়া রিসার্চ, আরম্ভ করিয়া দিলেন। আমাদের মত সাধারণ লোক অতি