পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 هنه میرسی بی بی سدههای متخاصمه ۹ হে মেঘ স্বমহান্‌! জলের কোশা তব উপুড় করি" দাও ধরণী পর, নদী ও খাল বিল সলিলে ভরি’ ভরি’ উছুসি' ছুটে যাক উভরতর, কর হে সিঞ্চন তোমার শীত স্নেহ— ঘৃতের সাথে তাহা মিশিয়া যাক্ । যে গাভী বধহীন, তাদের তরে আজ স্বপেয় জলাশয় ভরিয়া থাক্ । مسس ہم سہامیہ یہ ہے۔ হে মেঘ মহীয়ান্‌! যখন হুঙ্কারে ভরিয়া তোল তুমি সকল দেশ, গরজি’ গরজিয়া বজ্র বিকাশিয়া যখন পাপী-জনে কর হে শেয, প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩e [ २●* डांगं, sञ थ७ অখিল বিশ্ব এ তখন সুখে হাসে o হরষে হয়ে ওঠে সে পরিপুর, ধরণী পরে যত তৃণ ও তরু লতা জীবের হয় সব দুঃখ দূর । করেছ বর্ষণ, হে মেঘ সদাশয় ! থামায়ে দাও এবে জলের ধার, সুগম করি' দিলে মরুভূ-মাঝে পথ সিক্ত করি’ জলে বক্ষ তার, ওষধি যত কিছু ভোজন-উপযোগী করিয়া দিলে তুমি, সলিলধর ! সকল লোকে তাই তোমার স্তুতি করে স্মরিয়া তব কাজ শুভঙ্কর । ঐ প্যারীমোহন সেনগুপ্ত রাজপথ [ v ) জন্মদিনের বিষয়ে সুরেশ্বর এই প্রকার একটা বিপ্লব লইয়া উপস্থিত হওয়ায় প্রমদাচরণ ভিন্ন অপর সকলেই ঈষৎ পীড়িত বোধ করিতে লাগিল । সুরেশ্বরের এই আচরণকে অনধিকার উপদ্রব মনে করিয়া জয়ন্তী মনে মনে বিরক্ত হইলেন ; বিমান ইহাকে স্বদেশীতার সীমাতিরিক্ত আতিশয্য বলিয়া বিবেচনা করিল ; স্বরম ভাবিতে লাগিল যে এই অনাবশ্যক দ্বন্দ্বের কোনো প্রয়োজন ছিল না ; সজনীকান্ত বিশেষ কিছু না ভাবিয়াই স্বরেশ্বরের প্রতি বিমুখ হইয়। রহিল ; এবং শিষ্টাচারের অনুরোধে মুখে মুরেশ্বরের পক্ষ গ্রহণ করিলেও সুমিত্রার মনের মধ্যে বিরোধেরই মত একটা কোন বৃত্তি জাগিয়া উঠিতে লাগিল । শুধু অনাহত প্রমদাচরণ স্বমিত্রার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া প্রশান্তমুখে কহিলেন, "তা হ'লে এবার দেখছি তোমার জন্মদিন মতাস্তরে দুদিন পড়ছে।” বলিয়া তিনি হাসিতে লাগিলেন । সজনীকান্ত মুখখান অদ্ভুত ভঙ্গীতে বক্র করিয়া কহিল, “গোস্বামী-মতে আজ ।” এই সবিদ্রুপ মস্তব্যে একটা মৃদু হাস্যতরঙ্গ বহিয়া গেল। ইহার দংশন ও আঘাতের দিকে কোন প্রকার মনোযোগ না দিয়া প্রমদাচরণ কহিলেন, “আর ভূস্বামীমতে পরাহে ।” বলিয়া অপরিমিত হাসিতে লাগিলেন । প্রমদাচরণের হাস্যধ্বনির মধ্যে কথা কহিয়া কোন ফল ছিল না । হাসি থামিলে জয়ন্তী কহিলেন, “যে মতে যে দিনই হোক, কালকের জন্যে যখন সব উযযুগ হয়েছে তখন বাকিটুকুর জন্যে সুরেশ্বরকে কাল আসতেই হবে।” একবার স্বমিত্রার প্রতি চাহিয়া জয়ন্তীর দিকে ফিরিয়া স্বরেশ্বর স্মিতমুখে কহিল, “কিন্তু আমি ত কালকের জন্তে কিছুই বাকি রাখি নি। তা ছাড়া আপনারাও যখন আমাকে আজ একেবারে নামঞ্জুর করলেন না, তখন আপনাদের দিক্‌ থেকে যোগ দেওয়ারও ত কিছু বাকি থাকৃল না।” যদিও এই কথার দ্বারা স্বরেশ্বর পরদিন আসিবার