やパり2” একমাস পরে এখান হইতে বদূলি হইয়া তিনি প্রথমে পোকুকু পরে মনিওয়াতে গমন করেন, এখানে ডাক্তার সুরকার ধৰ্ম্মর কথ্য ভাষার পরীক্ষায় ūrā‘s ga I got to Lower Standard পরীক্ষণযু যোগ্যতার সহিত উত্তীর্ণ হইয়া দুইশত টাকা পুরস্কার পান । এইস্থানে তিনি জনৈক মাদ্রাজী এপথিকারী সিবিল সার্জনের অধীনে কাৰ্য্য আরম্ভ করেন। এই ব্যক্তি ঘোর বাঙ্গালী-বিদ্বেণী ও দুৰ্ম্মথ ছিলেন । ডাক্তার সরকারকে প্রায় প্রত্যহই এই মাদ্রাজীর দুৰ্ব্ব্যবহারের জন্য অশবর্ষণ করিতে হইত। ছয় মাস পরে এপথিকারী সাহেব বদলি হইয়। অন্যত্র গমন করিলে ডাক্তার সরকার হাফ ছাড়িবার অবসর পান এবং র্তাহার পরিবারবর্গকে দেশ হইতে আনয়ন করেন । এখানে তিন বৎসর কায্য করিবার পর তিনি শোয়েবে সহরে বদলি হন । রামলাল-বাবুর শরীর এখানে ক্রমে স্বস্থ হইতে থাকে। তিনি মনেওয়া প্রবাসকালে তথাকার ডেপুটি কমিশনর ও এসিটাণ্ট, এঞ্জিনীয়ার প্রভৃতি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিগণের অর্থ-সাহায্যে একটি ক্লাবের সূত্রপাত করেন এবং কোর্ট, হাউসের নিকট একখণ্ড জমি লইয়া ক্লাব-গুস্থও নিৰ্ম্মাণ করান ; কিন্তু তিনি শোয়েবোতে চলিয়া আসিলে সেক্লাব ও নবনিৰ্ম্মিত গৃহও লোপ পায় । শোয়েবো হইতে য়েমেথেন এবং তথা হইতে বদলি হইয়। রামলাল-বাৰুভার্মেীতে আগমন করেন। এখানে এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটে যাহাতে ডাক্তার সরকারের উন্নতির পথ মুক্ত হয় । ১৮৯৭-৯৮ জন্ধে যখন চীনত্ৰহ্ম সীমান্তে অভিযান প্রেরিত হয়, তখন “ller Commissioner" for qfrom Czigtää ( 1.4 ব্রহ্মদেশের ছোটলাট সার হাৰ্ব্বার্টু হোয়াইটু ) মহাশয় সেই সীমান্ত-কমিশনের জন্য একজন “আই-এমএস,” অফিসার চাহিয়াছিলেন । কিন্তু ভারতগবর্ণমেণ্ট, তখন উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশীয় যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় উক্ত পদের কৰ্ম্মচারী দিতে অস্বীকত হইয়া ডাক্তার সরকারকে সম্পূর্ণ উপযুক্ত বিবেচনা করিয়া তাহাকেই অভিযানের মেডিকেল অফিসার নিযুক্ত করিয়া পাঠান । Majesty's প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩es ! २७* छाँग, »न पंस এই-কমিশনে আট জন য়ুরোপীয় কৰ্ম্মচারী ছিলেন এবং পাঞ্জাবী ডোগরা সিপাহীর অভিযানের রক্ষক ছিল। এখানকার কাধ্যে ডাক্তার সরকার বিশেষ প্রশংসা ও থ্যাতি অর্জন করেন। কমিশনের কার্য্য শেষ হইলে পর তিনি শোয়েবোতে ও পরে থারাওয়াড়ীতে কৰ্ম্ম করেন। থারাওয়ার্ডী প্রবাসকালে ১৯০০ খৃষ্টাবো তিনি “সন্তান-শিক্ষা” নামক পুস্তক প্রণয়ন করেন। শোয়েবো হইতে যাইবার কালে স্থানীয় যুরোপীয় এবং দেশীয় জনসাধারণ সকলেই তাহাকে বিদায় দান করিতে কষ্টবোধ করিয়াছিলেন। থারাওয়ার্ডী হইতে পুনরায় তিনি ভামো সহরে বদলি হন। এখানে অল্প দিনের মধ্যেই তাহার যোগ্যতার প্রমাণ পাইয়া ভামোর সিভিল সার্জেন কাপ্তেন লেথব্রিজ, ১৯০১ খৃষ্টাব্দে *I gas-of-sco Cocoa-"The work he has done has always been excellent and he has a thorough knowledge of his profession. He is a very well-read man and knows the routine of office work as thoroughly as any I have come across Character and bearing exemplary.” ভামোতে অবস্থানকালে ডাক্তার সরকার তথায় “Indo-Burman Reading and Tennis Club” নামে এক সমিতি স্থাপন করেন ও তাহার সেক্রেটারী হন। তিনি তথাকার বাঙ্গালী ও বৰ্ম্মী ভদ্রলোকদিগকে প্রত্যহ ডাকিয়া আনিয় একস্থানে মিলিত হইতে এবং ক্রীড়াদিতে যোগদান করিয়া ঐক্য-স্থত্রে আবদ্ধ হইতে অভ্যস্ত করিতে বহু চেষ্টা করিয়াছিলেন । তাহার উদ্যোগ ও উৎসাহে ক্লাবের কায্য স্বন্দর ভাবে পরিচালিত হইয়াছিল। শিক্ষিত দেশীয়গণের মধ্যে একটি উৎসাহ ও নবজীবনের সাড়া পড়িয়াছিল। কিন্তু রামলাল বাৰু ভামো ত্যাগ করিলে পর ধীরে ধীরে প্রবাসে বাঙ্গালীপ্রতিষ্ঠিত ও বহুসভ্যগঠিত মিলনস্থানটি লোপ পায় । তিনি যে যে স্থানে অবস্থান করিয়াছেন, সেই সেই স্থানেই এক-একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করিয়াছেন । তিনি জাতীয় ও জনহিতকর যে-কোন
