পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭১৪ مہمہم حصہ:صہ محاص আছেই, অধিকন্তু র্যাহার অকপট পূৰ্ব্ব মত নূতন কাগজটির মতের সঙ্গে . এক। অকপট দেশসেবক বেতনভোগী সম্পাদক পাওয়া যায় ; বেতন লইয়া কাজ করিলেই কোন চারিত্রিক হানি হয় না। কিন্তু ভাড়াটিয়া মত ও ভাড়াটিয়া লেখা দ্বারা দেশের কল্যাণ ত ইয়ই না, কাগজও ব্যবসা হিসাবে এদেশে দাড়ায় কিনা সন্দেহ । “এদেশে" বলিবার কারণ এই, যে, আমাদের নানা দুৰ্গতিসূত্ত্বেও এখনও লোকের এই বিশ্বাস আছে ও বিশ্বাস করিবার কিঞ্চিৎ কারণও আছে, যে, সংবাদপত্রসকল দেশের কল্যাণের জন্য অকপট স্বাধীন মত প্রকাশ করিয়া থাকেন । দুঃখের বিষয় ফরমাইস অনুযায়ী ভাড়াটিয়া মত ও ভাড়াটিয়া লেখা এদেশেও চলিতেছে ; কিন্তু পাশ্চাত্য নানাদেশে যতটা চলিতেছে, এখনও এদেশে ততটা চলে নাই । এইজন্য দেশী ধনিকদের কাগজ এদেশে সব সময়ে ভাল না চলিতেও পারে। কেবল বেতনভোগী লোকদের দ্বারা চলে, মালিক লেপেন না, বা লিথিতে পারেন না, এমন কাগজ কলিকাতাতেই আছে ; এবং ব্যবসাহিসাবেও ভাল দাড়ায় নাই, এই শ্রেণীর এরূপ কাগজের দৃষ্টান্তও কলিকাতা শহরে আছে। جمعیتہجیمینہ= ভীলদিগের সমাজ-সংস্কার শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্র রায় মহাশয়ের "ভারতের মানুষ’ (Man in India) নাফুক নৃতত্ত্ব-বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রে শ্ৰীযুক্ত এ ভি ঠাক্কর ভালদিগের সমাজ-সংস্কার বিষয়ে একটি বহুতথ্যপূর্ণ প্রবন্ধ লিপিয়াছেন। শিক্ষিত ভারতবাণী ইহা পাঠ করিলে উপকৃত হইবেন বলিয়া নিয়ে উহার অতুবাদ দেওয়া গেল । “পাচ মহলের ভাল অধিবাসীগণ সমাজসংস্কার বিষয়ে স্বরাটের বা বড়োদাব নবসারি প্রাস্তের কালিপরজগণ অপেক্ষ কিছুমাত্র পশ্চাৎপদ নন্থে । কিছুদিন পূৰ্ব্বে উাহারা ঝালোদ তালুকের অন্তর্বত্তী একটি গ্রামে অনেকে সমবেত হন। প্রায় পঞ্চাশখানি গ্রাম হইতে গ্রামের দলপতি এবং পাটেলগণ প্রতিনিধিরূপে উপস্থিত হন এবং বিরাহসংক্রান্ত নিয়মাবলী এবং খরচাদি স্থির করেন। প্রবাসী—ভাদে, `මෂෂ AMeMAMeeAeeAeMAMAAAA [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAA AAASA SAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA SAAAA AAS AAAAA AAAAS AA SAASAASSAAAASS AAAA AAAAMMAMAAAS SSAAAASAAAA তাহারা আরো স্থির করেন, যে, উৎসব-সময়েও মদ্যপান করা হইবে না এবং পণ্ডবধ করা হইবে না, প্রত্যহ স্বান করা হইবে, এবং নারীগণকে অস্থবিধাজনক অলঙ্কার পরান হইবে না। তাহারা এই যে সকল বিষয়ে ংস্কারের চেষ্টা করিতেছেন, ইহা একেবারে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া, বাহির হইতে কেহ তাহাদিগকে উৎসাহিত করে নাই । মদ্যপানই তাহীদের সর্বাপেক্ষা অনিষ্টকর শক্ৰ । “প্রায় পাচ বৎসর পূৰ্ব্বে গুরু গোবিন্দের প্রভাবে ইহাদের মধ্যে মদ্যপান পরিত্যাগের আদর্শ এবং অন্যান্ত বহুপ্রকার সংস্কারের আদর্শ দেখা দেয় ৷ ভীলদিগের ভিতর শত শত মাহুষ এখনও তাহার শিষ্য। দলে দলে ভীল এখন এইসকল ভক্তদিগের দৃষ্টান্ত অনুকরণ করিতেছে এবং শারীরিক পরিচ্ছন্নতা, বিবাহ ও শ্রাদ্ধ বিষয়ক নিয়মাদি ও আহার বিহার প্রভৃতির সংস্কারে মনোযোগী হইয়াছে। দক্ষিণ গুজরাটের কালিপরজদিগের মত ইহাদের সংস্কারের মূলে কোন দেবদেবীর আবির্ভাব ও আদেশ নাই । কয়েকজন শিক্ষিত ব্যক্তি এবং প্রভাবশালী পাটেলই আপনাদের সম্প্রদায়গুলিকে যথার্থ হিতকর সমাজ-সংস্কারে নিয়োজিত করিয়াছেন । "খোলা মাঠে গাছতলায় প্রায় এক হাজার ব্যক্তি সমবেত হয় । নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলি সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় । “( ১ ) কন্যার পিতা বরের পিতার নিকট হইতে ১০১ টাকার বেশী পণ লইতে পরিবেন না । তাহার ভিতর ৫০ টাক। কন্যার অলঙ্কার প্রস্তুত করিবার জন্য ব্যয় করিতে হইবে। যদি কেহ অধিক পণ গ্রহণ করেন, তাহা হইলে তাহাকে দণ্ড স্বরূপ, যত টাকা অধিক গ্রহণ করা হইয়াছে, তাহার দ্বিগুণ অর্থ প্রদান করিতে হইবে। (২) বাগদানের সময় মদ্যের পরিবৰ্ত্তে গুড় বিতরণ করা হইবে । ( ৩ ) যুবক-যুবতী গোপনে পলায়ন করিলে তাহ আর বিবাহ বলিয়া স্বীকৃত হইবে না। এবং কেহ যদি এইরূপ পলায়নে সাহায্য করে পঞ্চায়েত তাহাকে দণ্ডিত করিবেন । ( ৪ ) কেহ যদি অপরের বিবাহিত পত্নীকে (যাহাকে পঞ্চায়েতের অনুমতি