१२8 निटङ क्रांश्रिय न । श्ब्रड भंॉजं # ०२ छैांकाहें निcब ।। অবখ্য টাকা ধীর দেওয়া যেখানে যত নিরাপদ, সেখানেই লোর্কে টাকা তত কম স্বদে দিতে-প্রস্তুত হয়। গভর্ণমেণ্ট ও ধখন অর্থ ঋণ করে, তখন তাঁহাকে বাজারের অবস্থা দেখিয়া কাৰ্য্য করিতে হয়। অর্থাৎ বাজার হার যদি শতকরা ৬২ হয়, তাহা হইলে ১০১২ টাকার প্রয়োজন হইলে, বাৎসরিক ৬ টাকার কম স্বদ দিলে তােহা পাওয়া যাইবে না। বাৎসরিক ৮ টাকা দিলে ১০০ - অপেক্ষা অধিকই পাওয়া যাইবে । স্বদের পরিমাণ ও ঋণকারকের ঋণ শোধ করিবার সঙ্গভিপ্রায় ও ক্ষমতার উপর আস্থা, এই দুইএর উপরই অর্থ ধার পাওয়া নির্ভর করে । অন্যভাবে বলিতে গেলে বলা যায়, যে, কোন ঋণের দলিলের মূল্য, তাহা হইতে যে বাৎসরিক ক্ষুদ নিশ্চিত পাওয়া ধাইবে, তাহারই মূল্য । ইহার প্রমাণ আমরা যুদ্ধের সময়ে পাইয়াছি । শতকরা ৩২ টাকা স্থদের কোম্পানীর কাগজের মূল্য তখন বাজারে খুবই কমিয়া গেল, কারণ মানা কারণে বাৎসরিক ৩২ টাকার জন্য লোকে আর ১৯৯২ টাকা দিতে চাহিল না । আগেই বলিয়াছি, যে ঋণকারকের উপর আস্থা যত প্রগাঢ় হয়, তাহাকে লোকে ততই কম স্বদে টাকা দিতে প্রস্তম্ভ হয় । গভর্ণমেণ্টের উপর এই অস্থিা লোকের সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক এবং গভর্ণমেণ্ট, সৰ্ব্বাপেক্ষা সহজে অর্থ ঋণ পায়। অপরকে ( অন্যান্য কোম্পানী, যথা চা-বাগান, পাটের কল, তেলের কল, লোহার কারখানা, মিউনিলিপ্যালিটি, প্রভৃতিকে j যদি শতকরা ৭২ টাকা স্বদের জন্ত লোকে ১-০২ টাকা দেয়, তাহা হইলে গবৰ্ণমেণ্ট কে হয়ত শতকরা ৬ls স্বদের জন্যই ১০০২ দিতে রাজি হইবে । এ ত গেল সাধারণ কথা । কিন্তু অসাধারণ কথা এই, যে, আমাদের বিদেশী গভর্ণমেণ্ট, প্রায়ই প্রচুর ঋণ “ঞ্জামাদের উপকারার্থে বিলাতে করিয়া থাকে এবং সেই সব ঋণের জদের হার অসাধারণ রকম উচ্চ । যথা, অপর লোকে যদি ১০ • ২ শত টাকা ধার করিবার জন্য বাৎসরিক ৭২ টাকা দিতে বাধ্য হয়, তাহা হইলে এই দেশের ইংরেজ গভর্ণমেণ্ট সাধারণভাবে দেখিলে ইহা অপেক্ষ প্রবৃলীি=উীন্দ্র, ১৩ee , , , [ ২৩শ ভাগ,১ম tিe অল্পহারে স্বদ দিয়া টাকা পাইতে পারে। কিন্তু তাহার পরিবর্ভে আমরা দেখি, স্বদের হার সমানই থাকে । বাৎসরিক ৭ টাকার গবর্ণমেণ্ট, কাগজ ১• • N টাকায় বিক্রয় করা হয় এবং অল্পকালের মধ্যেই দেখা যায় সেই কাগজ ১১৬১২০ মূল্যে বাজারে বিক্রয় হইতেছে। অর্থাৎ বেশী দামের জিনিষ অল্প দামে নিলাম করিলে যাহা হয়, তাহাই এই ক্ষেত্রে ঘাটতে দেখা যায়। গভর্ণমেণ্টের শতকরা ৭২ টাকা স্বদের ১৯৩১ সালে শেtধ্য কাগজ বাজারে ১১৬।১২০ টাকায় বিক্রয় হয়। অর্থাৎ ভারতের লোকেরা পাইল ১০০ টাকা এবং তাহার পরিবর্তে দিল ১১৬১২০ টাকা ! লাভ করিল প্রথম ক্রেতা ! প্রথম ক্রেতা কাহারা ? অধিকাংশস্থলে ইংরেজ । গবর্ণমেণ্টের আর একটি কাগজ (শতকরা ৬২ টাকা স্বদের ) ১০০ তে বিক্রীত হইয়া পরে ১১২।১১৩ তে বাজারে চলিতেছে। এদিকে শতকরা ৭২ টাকা স্বদের কলিকাতা বন্দরের ( ১৯৩১ সালে শোধ্য ) কাগজের বাজার দাম ১০৮ (গভর্ণমেণ্টের কাগজ অপেক্ষ ১২২ কম)। তাতার লৌহ কারখানার ৭২ টাকা স্বদের কাগজও ১০৮২ দামে বিক্রয় হয় । বেঙ্গল টেলিফোনের ৭ টাকা স্বদের কাগজ বিক্রয় হয় তে । কলিকাতা ট্রামওয়ের ৭২ টাকা স্বদের কাগজ বিক্রয় হয় ১০১২ টাকায়। এবং হোয়াইটওয়ে-লেডলর ৭২ টাকা স্বদের কাগজ বিক্রয় হয় - • • ২ টাকায় । ব্রিটিশ বাৰ্ম্মা পেট্রেলিয়াম কোম্পানীর শতকরা ৬ টাকা স্বদের কাগজ ৯৯২ টাকায় বিক্রয় হয় । আর আমাদের ইংরেজ প্রভুর শতকরা ৬২ টাকা স্বদের কাগজ বিক্রয় করিয়া প্রথমতঃ পাইলেন ১০*২ টাকা ; কিন্তু ক্রেতার তাহা আজ বাজারে ১১২।১১৩২ টাকায় বিক্রয় করিতেছে ! " যেখানে আমরা ১১২।১২০ টাকা পাইতে পারি, সেখানে আমরা সুদক্ষ গভর্ণমেণ্টের গুণে পাইতেছি মাত্র ১০ • \ টাকা । বাকিটা যাইতেছে প্রথম ক্রেতার পকেটে। প্রথম ক্রেতারা সচরাচর কাহারা ? কাহাদের লাভের জন্ত, অথবা কোন নিৰ্ব্বদ্ধিতার ফলে গভর্ণমেণ্ট, অধিক মূল্যের কাগজ অল্প মূল্যে বিক্রয় করেন ? ' stesse? > 0 ≤ ||o
