পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] জিাৰি নিজীবের মত মাটির উপর বসিয়া ছিলাম, জার उiदिब्रा बाहेण्डहिणांभ-७५ ठांशंब्रहे रूष बांशंरक লইয়া এত বড় কাণ্ড হুইতেছিল । জানি না তাহার বুকে এতক্ষণ কি ঝড় উঠিয়াছে, অন্তরের পরতে পরতে কি প্রলয় গর্জিয়া ফিরিতেছে, মর্শে মৰ্ম্মে কি বজ্ৰজাল গুমরিয়া মরিতেছে । জানি না তাহার ঘোমটী-ঢাকা মুখের উপর কি করুণ বেদনা নিরূপায় অশ্রুজলে বহিয়া যাইতেছে। জানি না তাহার সমস্ত স্থখস্বপ্ন ভাঙিয়া তাহাকে কেহ স্বদূর অন্তরীক্ষ হইতে পৃথিবীর কঠিন মাটির উপর আছড়াইয় ফেলিয়া দিয়া, কি নিৰ্ম্মম পেষণে তার বক্ষপঞ্জরের অস্থিগুলি ছেচিয়া দিতেছে। জানি না লজ-দুঃখ-অপমানে মরিস হইয়া কত কাতর প্রার্থনায় সে বিধাতার পাশে মৃত্যুর আশ্রয় যাচিয়া লইতেছে ! ( > ) পাচ সাত দিন কাটিয়া যাওয়ার পর, সেদিন সন্ধ্যায় আকাশ ফাটিয়া জ্যোৎস্না ঝরিয়া জলস্থল চরাচর সব ভাসাইয়া দিতেছিল। বিশ্বপ্রাণীর মনগ্রাণের সকল দ্বিধাদ্বন্ধ সকল গ্লানি সকল অভিযোগ সেই জ্যোৎস্নার অঞ্চলে মুখ লুকাইয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। ঘরের মধ্যে বিছানার উপর মৃতবং পড়িয়া ছিলাম। খোলা জানালা দিয়া বিশ্বের আনন্দবার্তা বহিয়া একরাশ চাদের আলো আমার গায়ের উপর লুটিয়া পড়িয়াছিল। জ্যোৎস্কার সে অলস স্পর্শে আমার বুকের প্রলয় তীব্রতর इङ्ग्रेग्न क्रश्म्नि किब्रिएङ|छ्रेल । মা বাহির হইতে ডাকিলেন—“আমল, ঘরে আছিস বাবা ?” “ši l’o উত্তরের সঙ্গে-সঙ্গে মা ঘরে জাসিয়া ঢুকিলেন, আমাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন—“এই ভর সঙ্ক্যেয় শুয়ে' আছিল। যা বাবা, বাহির থেকে একটু ঘুরে, আয় । এমন কল্পে' কদিন বঁাচ বি ।” জননীর শেষ কথাটি অতি সত্য । এই কয়েকটা দিন যে কিরূপে কাটিয়া গেল সে-বিষয়ে আমার জ্ঞান ছিল না, কিন্তু এইটুকু জানা ছিল—যদি স্বার কিছুদিন সেইরূপে কাটিতে থাকে, তবে বেশীদিন বাচিব না। cोब्रि शृङ्गा ૧a૭, মা একটু থামিয়া আপন মনে বলিতে লাগিলেন —“এ মেয়েটার সঙ্গে আর পারা গেল না। রাতদিন পাড়ায়-পাড়ায় ঘুরে বেড়াবে-এতখানি রাত হ’ল কোনো উদিশ নেই। যাই দেখিগে—কোথায় গিয়ে পড়ে’ মরেছে—” বলিয়া বাহির হইয়া গেলেন। মা'র কথিত cभरग्न-ञांभांद्र उग्रेौ *उनल । বাহিরে আসিলাম। বারান্দায় দাড়াইয়া চাহিতেই জ্যোৎস্নালোকে ও-ঘরের বfরান্দার উপর সন্ধ্যাভারাকে দেখিলাম। অন্যদিন হইলে দৃষ্টি ফিরাইয়া লইতাম, কিন্তু আজ কি মনে করিয়া চাহিয়া দেখিলাম। সন্ধ্যাকে বিধবার বেশে এই ভালো করিয়া দেখিলাম । অন্তদিন দেখিতে সাহস করি নাই। আগুন লাগিয়া ঘর পুড়িয়া যাওয়ার পর গৃহী যেই বিষাদ-শাস্ত মূৰ্ত্তিতে দগ্ধ গৃহের ভস্মের উপর বসিয়া থাকে, ঠিক সেই মূৰ্ত্তিতে সন্ধ্যাতারাকে দেখিলাম। সৰ্ব্বস্ব লুট হইয়া গেল, উদ্ধারের কোন উপায় খুজিয়া না পাইয়া, দুঃখবেদনার যন্ত্রণার অবসাদে মানুষ যেমন ৯ সৌম্য হইয়া যায়, সেই সৌম্য মূৰ্ত্তিতে সন্ধ্যাকে দেখিলাম। সমস্ত বুক জুড়য়া একটা প্রশ্ন—শুধু একটা প্রশ্ন উঠিল—আমার বৌদি কেন মরে নাই-পদ্মার আবৰ্ত্তোত্মত্ত সলিল-সমাধি হইতে কেন ফিরিয়া আসিয়াছে ? কেহ উত্তর দিল না। বুকের প্রশ্ন বুকে গুমরিয়৷ মরিতে লাগিল । মনে পড়িল একদিন এই বৌদির মৃত্যুর জন্ত ঈশ্বরের উপর বিদ্রোহী হইয়া উঠিয়াছিলাম। আজ আবার তার জীবনের জন্ত বুকের মধ্যে সেই বিশ্লোহ জাগিয়া উঠিল। কিন্তু আর না। আর এমন করিয়া জলিয়া মরিব না। সন্ধ্যাত এখন আর আমার সন্ধ্যা নয়—সে যে আমার বৌদি। এ আমার সেই বৌদি—যাকে না দেখিতেই বুকের মধ্যে শুধু ছবি দাঙ্কিয়াই ভালোবালিয়া ফেলিয়াছিলাম। সে-দিন লে বৌদি ছিল—আজ কেন থাকিবে না ? ঐ ত সারাগায়ের শুভ্র বসনে বৌদির নীরব মহিমা জড়াইয়া জামাকে আশীৰ্বাদ করিতে আজ সে আমার মুখ চাহিয়া, বসিয়া আছে।