পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] تهیه میبیسی مسیحیی कांश्लि झब्राउ 8०० श्रां ऊँ७ । ७१न युनि se üांकांद्र বিনিময়ে ১ পাউণ্ড,পাওয়া যায়, তাহা হইলে এ দেশের সওদাগর ঐ মোটর-গাড়ী ৬• • • টাকায় কিনিয়৷ আনিয় ৭৫০০ টাকায় বিক্রয় করিতে পারে। "ইহাতে wford outfo (establishment) s watu was বাদ দিয়াও লাভ থাকে যথেষ্ট । কিন্তু মোটর-গাড়ী ক্রয় করিয়া উহার মূল্য পরিশোধ করিবার পূৰ্ব্বেই যদি রূপার মূল্য কমিয়া যায় এবং তজ্জন্ত টাকার বিনিময়মূল্যও কমিয়া ২০ টাকায় ১ পাউণ্ড, হয় তাহ হইলে সওদাগরকে ঐ মোটর-গাড়ীর মূল্যস্বরূপ ৮••• টাকা দিতে হইবে। কিন্তু ভারতবর্ষে ঐ গাড়ীর খরিদ্ধার ৭৫০০ টাকার বেশী দিতে রাজী হইবে না। স্বতরাং এই দেশে মোটর-গাড়ীর ব্যবসাদারের লোকসান হইবে। তাহা হইলে দেখা • যাইতেছে যে, রূপার মূল্য যদি অনবরত পরিবর্তিত হয়, এবং তজ্জন্ত টাকার বিনিময় মূল্যেরও যদি স্থিরতা না থাকে, তাহা হইলে এ-দেশী সওদাগর, আর বিদেশ হইতে জিনিষপত্র আমৃদানী করিতে সাহস পাইবে না। আর, যদি আমৃদ্ধানী করেও, তাহা হইলে সাবধানতার খাতিরে অত্যন্ত চড়াদরে বিক্রয় করিতে বাধ্য হইবে । টাকার মূল্য কমিলে যেমন ভারবর্ষে আমৃদ্ধানী ব্যবসায় লোকসান হয়, তেমনই টাকার মূল্য হঠাৎ বাড়িয়া গেলে বিদেশের যে-সব ব্যবসাদার এই দেশ হইতে তুলা চামড়া ইত্যাদি কিনিয়া লইয়া যায় তাহীদের লোক্সান দিতে হয়। যখন ১৫ টাকার বিনিময়ে ১ পাউণ্ড, পাওয়া যায়, তখন তুলার দাম যদি মণ প্রতি ১৫ টাকা হয়, তাহ হইলে এদেশের তুলার বিলাতী গ্রাহক ১ পাউণ্ড, দিয়া ১৫টি টাকা কিনিয়া একমণ তুলার দাম শোধ দিতে পারে। কিন্তু তুলা কিনিবার পরও দাম শোধ দিবার আগে টাকার মূল্য হঠাৎ বাড়িয়া যদি ১০ টাকায় এক পাউও হয় তাহ হইলে একমণ তুলার দাম অর্থাৎ ১৫ টাকা শোধ দিতে হইলে বিলাতের ব্যবসাদারকে ১০ পাউও ব্যয় করিয়া ১৫ টাকা কিনিতে হইবে। স্বতরাং হয় তাহার লোকসান হইবে, নচেৎ বিলাতে তুলা চড়া দরে বিক্রয় করিতে হইবে। কাজেই টাকার মূল্য বাড়িলে বিলাতের عبےحہ”مےھ* ধিনিময় ও টাকার বাজারে বিনিময় হার AA AA ASASASAM MAMAeeAAA SAAAAA SAA AA ASASASA AAA حصحصحصہ ۔صحصحصحمہ صحمحم۔م۔م۔محصہمہ ص~4۔ Գ8թ ব্যবসাদারগণ সাধারণতঃ আমাদের দেশ হইতে জিনিষপত্র কিনিতে রাজী হয় না। তাহারা তখন সেই-সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য স্বরু করে যেখানে রূপার মূল্যের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাহাদের দেয় মূল্যের কোন পরিবর্তন হয় না। সে অবস্থায় আমাদের দেশের রপ্তানি কমিয়া যায়। টাকার মূল্য কমিলে বা বাড়িলে কেবল যে সওদাগরের ক্ষতি হয় তাহা নহে, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সাধারণ লোকেরও ক্ষতি হয়। কারণ, সওদাগর যাহা আমদানী করে তাহা আমরা দশজনে কিনি, আর দেশবাসী যাহা বিক্রয় করে তাহাই তে রপ্তানি হয়। এই পরিবর্তনে গবর্ণমেণ্টের কার্ষ্যেও বিশৃঙ্খল। উপস্থিত হয়। গভর্ণমেণ্ট, প্রতিবৎসর রেলের ইঞ্জিন, রেলগাড়ী, পুল তৈয়ার করিবার সাজ সরঞ্জাম এবং জলের কলের বড় বড় পাইপ ইত্যাদি বহু জিনিষ বিলাত হইতে ক্রয় করিয়া আনেন । এই-সকল জিনিষের দাম পাউণ্ডে শোধ দিতে হয়। গভর্ণমেণ্ট কে এইজন্য টাকা দিয়া পাউণ্ড ক্রয় করিতে হয়। গভর্ণমেণ্ট টাকা পায় কোথায় ? দেশবাসীর প্রদত্ত করই তাহার প্রধান আয় । বৎসরের প্রথমেই কোন বিষয়ে কত খরচ হুইবে তাহা হিসাব করিয়া গভর্ণমেণ্ট, একটা খসড়া বজেট তৈয়ার করেন, এবং সেই অনুসারে দেশবাসীর নিকট হইতে কর আদায় করেন। টাকার মূল্যের যদি অনবরত পরিবর্তন হয়, তাহা হইলে পূৰ্ব্বোক্ত খরচ মিটাইবার জন্য গভর্ণমেণ্টের কত টাকার প্রয়োজন হইবে তাহ পূর্বেই হিসাব করিয়া তদনুসারে কর আদায় করা অসাধ্য হইয়া উঠে । ইহাতে গভর্ণমেণ্টের কার্ধ্যে বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হয়। টাকার মূল্যের অনবরত পরিবর্তন হইলে গভর্ণমেণ্টের, সওদাগরদিগের এবং ভারতবাসীর যে কি অস্ববিধা হয় তাহা আমরা একে একে দেখিলাম। এই-সব অসুবিধা দূর করিবার নিমিত্ত গভর্ণমেণ্ট টাকার মূল্য চিরস্থির রাখিবার জন্ত সচেষ্ট হইলেন। টাকার মূল্য বাধিয়া দেওয়া তো ঠিক হইল, কিন্তু কি হারে তাহ করা যায় ? টাকার মূল্য টাকায় যে রূপা আছে তাহার দরের চেয়ে ঢের বেশী হওয়া প্রয়োজন । তাঙ্গু ন হইলে টাকার মূল্য ঠিক রাখা অসাধ্য। গভর্ণমেণ্ট, :