পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা 1 কহিল, "না, না, তার তাড়াতাড়ি আসবার কোন দরকার নেই ; তিনি এখন একটু বিশ্রাম করুন।” তাহার পর হঠাৎ মনে হওয়ায়, যে, বিশেষ কোন প্রয়োজনের জন্ত হয়ত জয়ন্তী স্বমিত্রাকে অন্তঃপুরে পাঠাইতে চাহেন, স্থমিত্রার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কহিল, “আপনার যদি কোনও দরকার থাকে ত অনায়াসে যেতে পারেন। আমি না হয় ততক্ষণ বিমান-বাবুকে ধরে নিয়ে আসি ৷” সুমিত্রা ব্যস্ত হইয়া কহিল, “না, না, আপনার কোথাও যেতে হবে না। তিনি কখন আসবেন, কোন দিক দিয়ে আসবেন, তার ঠিক কি ? আমার কোনো দরকার নেই, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।” জয়ন্তী স্বরেশ্বরের দিকে পিছন ফিরিয়া চক্ষের এক জুবোধ্য কটাক্ষে কল্পকে কি ইঙ্গিত করিয়া কহিলেন, “কিন্তু বাড়ীর ভিতর তোমার একটু দরকার আছে সুমিত্ৰা ।” - - স্বমিত্র। সে ইঙ্গিতের মৰ্ম্মভেদ করিতে কিছুমাত্র চেষ্টা না করিয়া বলিল, “কি দরকার মা ?” কন্যা যে সহসা এ প্রশ্ন করিয়া তাহীকে বিপন্ন করিবে তাহা জয়ন্তী একেবারেই আশঙ্কা করেন নাই । তিনি মনে করিয়াছিলেন ইঙ্গিতের সহিত দরকার আছে বলিলেই সুমিত্র গৃহাভ্যন্তরে চলিয়া যাইবে । তাই কোন প্রয়োজন নির্দেশ করিবেন সত্বর স্থির করিতে না পারিয়া বিমূঢ়ভাবে কহিলেন, “কাপড়টা বদলে আসবে।” স্বমিত্রা সবিস্ময়ে কহিল, “কেন ?” “আষাঢ় মাসে নৰ্ম্মানের বাড়ী থেকে তোমার ইংলিশক্রেপের যে শাড়ী আর ব্লাউস ত'য়ের হয়ে এসেছিল সেইটে পরে’ এস। এ কাপড়টায় তোমাকে তেমন মানাচ্ছে না ।” জয়ন্তীর কথা শুনিয়া স্থমিত্রার মুখ আরক্ত হইয়া উঠিল। একজন বাহিরের লোকের সম্মুখে পরিধেয় বস্ত্র ও তাহার শোভনশীলতা সম্বন্ধে এরূপ আলোচনা কুরীতি বিরুদ্ধ বলিয়া ত ঠেকিলই, কিন্তু তদপেক্ষ অনেক বেশী’ অন্তায় মনে হইল স্বরেশ্বরের সমস্ত পরিচয় এবং প্রবৃত্তি বিশেষরূপে অবগত হইয়া এবং তাহাকে নিমন্ত্রণ রাজপথ AMAMAMAeeeAeMMMeeeSeMMMA AeeA AMAMMMAMAMAMA SeAAAA 4& করিয়া বাড়ী লইয়া আসিয়া, তাহার সম্মুখে জকারণ উচ্ছ্বাসের সহিত নৰ্ম্মানের বাড়ীর ইংলিশ ক্রেপের পোষাকের উল্লেখ করা ! ইহার দ্বারা যে শুধু রূরেশ্বরকেই আহত করা হইয়াছে তাহা নহে, সে নিজেও বিশেষরূপ অপমানিত ও লাঞ্ছিত মনে করিল। কিন্তু কোন প্রকার মন্তব্য প্রকাশ করিলে পাছে আলোচনাট আরও আপত্তিকর অবস্থায় উপনীত হয় এই আশঙ্কায় সে জোর করিয়া সহজভাব ধারণকরিয়া কহিল, “ত হ'লে তুমি স্বরেশ্বর-বাবুর কাছে থাক মা, আমি কাপড়টা বদলে আসি । আমার কিন্তু একটু দেরী হবে।” জয়ন্তী প্রসন্ন-কণ্ঠে কহিলেন, “ত হোক, আমি স্বরেশ্বরের কাছে আছি।” নৰ্ম্মানের বাড়ীর পোষাকের উল্লেখে স্বরেশ্বর আহত বা অপমানিত বোধ করে নাই, কারণ জয়ন্তীর প্রকৃতির ধারা তাহার অজ্ঞাত ছিল না ; তাই সে এই কৌতুকপ্রদ আত্ম-প্রচার দেখিয়া একটু পুলকিতই হইয়াছিল। কিন্তু জয়ন্তীর নির্দেশ অনুসরণ করিয়া সুমিত্রা যখন নিৰ্ব্বিবাদে বস্ত্র পরিবর্তন করিতে প্রস্থান করিল তখন সে বাস্তবিকই মনের মধ্যে একটা আঘাত অনুভব করিল। মনে হইল, মন শূন্ত দেহকে এত সহজে ও এত অবলীলাক্রমে বিদেশী আবরণে আচ্ছাদিত করিতে যাহার কিছুমাত্র বাধিল না, মাধবীর নিষ্ঠা-পুত স্থতার রুমাল তৈয়ারী করিয়া তাহাকে উপহার দেওয়া পগুপ্রম হইয়াছে । পূৰ্ব্বদিন হইতে মনের মধ্যে একটা কোন দিকে যে রশ্মিরেখা দেখা দিয়াছিল তাহা নিমেষের মধ্যে সরিয়া গেল, এবং কিছু পূৰ্ব্বে শরীর ও মন ব্যাপিয়া যে উদ্যম এবং উদ্দীপনা সমস্ত বিশ্বে ছড়াইয়া পড়িতে চাহিতেছিল তাহা অপস্থত হইয়া গেল। একবার মনে হইল সুমিত্রা ফিরিয়া আসিবার পূৰ্ব্বেই গৃহ পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া যায়, কিন্তু ধৈর্য্যশীল চিকিৎসক ৰেমন আশাহীন অবস্থাতেও রোগীকে পরিত্যাগ করে না ঠিক সেই হিসাবে সুরেশ্বর অপেক্ষা করিয়া রহিল। জয়ন্তী কহিলেন, “মেয়েটা এমম নি-সেধো যে কখনো কোন ভাল জিনিষ পরতে যদি চায় ! দেখো না, কুটুট। কেমন সুন্দর ইংলিশ মভ ক্রেপের । কিন্তু হ’য়ে পৰ্য্যম্ভ 穩 حمایی خیریه رسانههای یحییر