পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግቕይ8 o আর পায়ের গোড়ায় অগুরু-বৰ্ত্তিকা ধুইয়ে ধুইয়ে দিকপালদের উপবীত রচনা ক’রে দিচ্ছে । রাণী অন্তমনে ফুলের পাথায় একটা বঁকা রজনীগন্ধাকে সিধে করবার চেষ্টায় সেটাকে মলিন ক’রে শেষে ছিড়ে ফেললেন। এমন সময় অন্তঃপুরের প্রধান প্রহরিণী অন্তঃপুরবংশিকার বাণী মৃদুস্বরে ব’লে উঠল—“সতর্ক ! সতর্ক!" অর্থাৎ মেয়ে-মহলে পুরুষ ঢুক্ছে, মেয়ের সন্থত হও। - পরমুহূর্তেই দাসী এসে খবর দিলে অমাতা ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি রাণীর চরণদর্শনের প্রার্থী । রাণী ভিতরে আসতে আজ্ঞা করলেন। ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি ডগমগ হাস্য ও গদগদ চক্ষু নিয়ে বুকের কাছে হাত দুটো একত্র করে ঘরে প্রবেশ করলে । তার চোখে কি হাসিতে শ্রদ্ধার চিহ্ন মাত্র ছিল না, ছিল গর্ভ-চাটুকরের রুত্রিম সম্বমের ধুই অভিনয় । প্রভূর সাম্নে পোষ৷ কুকুরের কান যেমন ক’রে লুটিয়ে পড়ে তার ড্যাবডেবে চোথের প্রান্ত দুটুে। তার আকৰ্ণ মুখবাদানের সঙ্গে তাল রাখতে গিয়ে তেমনি ক’রে ঝুলে পড়েছে । “মহারাণীর জয় হোক" ব'লে ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি রাণীর পাধের কাছে একটা রক্তকম্বলের আসনে ধপাং ক’রে বসে পড়ল। ফুলের পাখীখান। তার দিকে ফেলে দিযে রাণী জিজ্ঞাসা করলেন—“আজকে ক্রোরের কি খবর ?” . “ক্রের ক্রোড়স্থ ! হিঃ !” ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তির উচ্চারিত শেষ অক্ষরটা হাসি কি ষ্টেচ কি কি টেকির ট্যাকচ, তা:বিশেষজ্ঞ ছাড়া বলতে পারে না। রাণী ভুরু কুঁচকে বললেন—“আমি তোমার অনুপ্রাস শুনতে তোমায় ডাকিনি ।" “হিঃ ! তবে ? বেণী রচনা করতে হবে ?" “ন, তোমার মাথা মুড়িয়ে ..” “হিঃ ! ঘোল ঢেলে...” *ীভলtয় আস্তাবল থেকে তার নিজস্ব ঘোড়টি एषांāिcच...**

  • তাতে চড়িয়ে রাজকোষের পাতাল-ঘরে সিদ্ধ কাটুতে পাঠাতে হবে।”

- “সাবধান, ইস্ত্ৰমূৰ্ত্তি ! রাজপুরীর ইট-কাঠের ও কান अाएछ् ।' R প্রবাসী-আশ্বিন, లిలిe [ २७* छांग, »म थ७

  • किङ झांड निcग्न ५ व्र याघ्र न!, ५ब्रूङ *ांबूरन ম’লে দিতাম।”

“ইন্দ্রমূৰ্ত্তি p. “আচ্ছ, ইট-কাঠে রসায়ন প্রয়োগ করা যাবে। কান থাকৃলই বা, মুখ জন্মের মত বন্ধ হবে।" “ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি !...তোমার দুঃসাহস যাচ্ছে...তোমার মরণ ঘনিয়েছে।" ধনশ্ৰীয় সাম্নে এলে ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তির আজকাল রসিক স্থা করবার শক্তিটা কেমন যেন হঠাৎ ফেপে ওঠে, সে বললে,—"মরণ ঘনিয়েছে?...কেন, মরণ কি মোষের দুধ—?...যে খাম্‌কা ঘন হ’য়ে উঠল ?” "না, মোষের দুধ নয়, মোষের মালিক যম ! তুমি মরূবে।” “মহারাণী ভবিষ্যৎ বলতে পারেন দেখছি, আমি মরব। কিন্তু সেজন্যে কিছুমাত্র ভাববেন না। তার আগেই টাকার কলসীগুলো আপনার দরজায় পৌছে দিয়ে যাব। কোনো ভয় নেই।" “ভরসাই বা কি ?” “আচ্ছা, আজ রাত্রেই পৌছে দেব । এত সন্দেহ করেন ?” “সন্দেহ নয়,...তোমারই ভালোর জন্তে । টাকা অামার ঘরে থাকলে, মুখ ফুটে কেউ কিছু বলতে পারবে না। ও আমার স্ত্রীধন যৌতুকের টাক, স্নানাগারের ব্যয় নিৰ্ব্বাহার্থে বাপের বাডী থেকে পেয়েছি। আর তোমার ঘরে যদি অভ টাকা ধরা পড়ে, মারা যাবে খে। শকটাবের ছেলে শকটাবের চেয়ে কম ভয়ানক মনে ক'র' না।” ভয়ানক বেড়ে “কি করতে বলেন ?" “শ্ৰীমান সিংহাসন পেলেই, ওদের বন্দী করতে বলি ।...সেনাভোজ্যের নাম ক'রে রাজকোষে চুরির অপরাধে ।” “মহারাজের দণ্ডমূদ্রাঙ্কিত শ্ৰীবৰ্দ্ধন শ্রেষ্ঠীর ফর্দগুলো যে শঙ্কটারের ছেলের হাতে ; সেগুলো যদি হস্তগত না করা যায়, তা হ’লে ?”