পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] কুমার-বাহাদুর বললেন, “এ সত্যটা আমি বিলক্ষণই মানি । সেইজন্তেই গোড়াতেই আমি বেগতিক বুঝে সাবধান হবার চেষ্টা করেছিলুম। যদিও রতন-বাবুর সাহস প্রশংসার যোগ্য, তবু আমার মতে, এক্ষেত্রে কতকগুলো অভদ্র কাপুরুষের হাতে নিজের জীবনকে এমন ভাবে বিপন্ন করা তার পক্ষে বুদ্ধিমানের কাজ श्च नि ।।' —“হঁ্য, বুদ্ধিমানের কাজ যে হয় নি, সে কথা ঠিক ” সবাই ফিরে দেখলেন, আনন্দ-বাৰু ঘরের ভিতরে এসে দাড়িয়েছেন । তিনি ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে কুমার-বাহাদুয়ের সামনে দাড়িয়ে বললেন, “কিন্তু কুমারবাহাদুর, রতন যদি তখন নারীর প্রতি অপমানও গায়ে মেখে শাস্তভাবে চলে আসত, তুবে সে ব্যাপারে বাঙালীস্থলভ চাতুৰ্য্যের পরিচয় পাওয়া গেলেও, মহুষ্যোচিত বীরত্বের পরিচয় পাওয়া যেত না একটুও । এত বুদ্ধিমান হয়েও বাঙালী তবু সায়েবের বুট থেকে নিজের প্লীহাকে রক্ষা করতে পারে না কেন বলুন দেখি ?" নীলকণ্ঠ ՊԵՏ এই আকস্মিক আক্রমণে কুমার-বাহাদুর একেবারে - বোবা হয়ে গেলেন । আনন্দ-বাবু গাঢ় স্বরে বললেন, “রতন! প্রার্থনা করি, তুমি যেন কখনো আমাদের আর দশ জনের মত বুদ্ধিমান না হও! আজি তুমি মার খেয়েচ, তোমার মারা পড়বার সম্ভাবনাও ছিল সম্পূর্ণ । অন্যায়-অপমানের বিরুদ্ধে দাড়াতে পারাই হচ্চে খাটি মানুষের কাজ— মার খেলে বা মারা গেলেও সে মকুব্যত্ব খর্ব হয় না। আমি আগেই চিনেছিলুম তোমাকে মানুষ বলে। আমার ধারণা যে ভুল নয়, আজ তা ভালো ক’রেই বুঝতে পারলুম। তাই আমি তোমাকে আমার শ্রদ্ধা জানাতে এসেচি”—এই বলে তিনি রতনের ছুখানি হাত টেনে নিয়ে নিজের বুকের উপরে চেপে ধরলেন, র্তার দুই চোখ প্রাণের আবেগে ও আনন্দে সজল হয়ে উঠ ল ! ( ক্রমশূ:) স্ত্রী হেমেন্দ্রকুমার রায় নীলকণ্ঠ ওরে মহাসমুদ্রমন্থনে আজি উঠেছে কেবলি বিষ, ওরে বুভুক্ষু, ওরে ও পিয়াসী, আয় যেথা যে আছিল; দ্বন্দ্ব ভুলিয়া আয় তোরা তাই নে রে অঞ্জলি ভরি’, বক্ষের জালা ঘুচিবে তোদের, দুঃখের শর্করী। মন্থদণ্ড দণ্ডই শুধু, মন্দার আর নাই, শেষের বদলে অশেষ দুঃখ বরণ করিয়া তাই দেবতাদানব অভাবে মানব মিলেছি পরস্পরে,— লক্ষ্মী উঠে নি তাইত এবার লক্ষ্মীছাড়ার করে ; নাই স্বধাশশী নাই কৌস্তুভ, নাই সে হস্তী, হয়, এবারে কেবল বিষের ভাগু—সৰ্ব্বনাশের জয় ! আজ আজ ভারতসাগরমন্থনে তাই মিলিয়াছে শুধু বিষ, আয়ু উপবাসী, আয় রে পিপাসী, পীড়িত অহৰ্নিশ,কে আছে কোথায় শিবের মতন অশেষজুঃখভাগী, আয় ছুটে আয় বিষের নেশায়, আয় রে সর্বত্যাগী ; শ্মশানে করিবি আসন আয় রে শবেরে করিবি সার্থী, কে কোথা আছিস অস্থির মালা নে রেনে কণ্ঠ পাতি, নীলকণ্ঠের মত হলাহল নিঃশেযে করি' পান অ-পাওয়া অমৃতে নিখিলের হিতে করে যা রে আজ দান ভয় নাই, ওরে নিঃস্ব, তোদেরি পিতা মৃত্যুঞ্জয় মৃত্যুরে দলি’ চরণে বিশ্ব করিয়া গিয়াছে জয় । শ্ৰী যতীন্দ্রমোহন বাগচী