পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৮ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড অনেক লোক মনোনীত করিয়াছেন কি না কেমন করিয়া বলিব ? পরচিত্ত অন্ধকার । কিন্তু গোল টেবিল বৈঠক গণ্ডগোল টেবিল বৈঠকে পরিণত হইবার বিশেষ সম্ভাবনা ও আশঙ্ক আছে । তাহা যদি হয়, তখন ব্রিটিশ গবন্মেষ্ট ও জাতি জগৎকে বলিতে পারিবে, “এই দেখ ভারতবর্ষের একটি ক্ষুদ্রাকার নমুন ; ইহারা নিজেরাই জানে ন তাহারা কি চায়, স্বতরাং আমরাই তাহাদের কল্যাণের জন্য প্রধানত: সাইমন রিপোর্ট অনুযায়ী একটি স্বব্যবস্থা করিতে বাধ্য হইলাম।” গোল টেবিল বৈঠক গণ্ডগোল টেবিল বৈঠকে পরিণত হইবার আশা কিংবা তাহাকে গণ্ডগোল টেবিল বৈঠকে পরিণত করিবার ইচ্ছা অনেক ইংরেজের ছিল ও আছে বলিয়া অল্পমান করিবার যথেষ্ট কারণ আছে । তাহাদের একটা মুখপত্র “ইংলিশম্যানে”র নিম্নমুদ্রিত মন্তব্য পড়ুন। উহা ৮ই সেপ্টেম্বরের “ইংলিশম্যানে” বাহির হইয়াছে। “The interests represented, are too diverse for agreement, the range of subjects too, great for 譬響 consideration in the time at disposal. Yet it is, well that this should be shown to the world. The inevitable rangor,” “a will be to give ്ഠൂ, ~ (misി" তাৎপৰ্য্য। "যে-সব লোকসমষ্টির প্রতিনিধি লওয়! হুইয়াছে তাহাদের স্বার্থ এত বিভিন্ন যে, ঐকমত্য অসম্ভব ; যতটুকু সময় পাওয়া যাইবে তাহাতে এত বেশী বিবেচ্য বিষয়ের “কেজো” বা ফলপ্রদ বিবেচনা অসম্ভব। ভথাপি পৃথিবীকে ইছা প্রদশিভ হওক্স জ্বাল। সাইমন কমিশন রিপোর্টের গুরুত্ব বৃদ্ধি ইহার শনিবাৰ্য্য ফল হইবে।” শুনিয়াছি আইনে এইরূপ বলে, যে, কোন কথা কাজ বা ব্যবস্থার স্বাভাবিক বা অনিবাৰ্য ফল যাহা, বক্ত কৰ্ম্মী ব। ব্যবস্থাকারীর উদেশ্ব তাছাই ছিল বলিয়া ধরি লভয়। ন্যায়সঙ্গত। ইহা যদি সত্য হয়, তাহ হইলে গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন এবং কতকগুলি নানা মতের লোক তাহাতে হাজির করার উদ্বেগু কি এই ছিল যে, উহ গণ্ডগোল টেবিল বৈঠকে পরিণত হইয়া ভারতবর্ষের অসামর্থ ও মতভেদ জগদ্বাসীর নিকট স্বম্পষ্ট করে? ইঙ্গ-ভারতীয় বৈঠকের কাজ ও কাজের প্রণালী লওনে ইঙ্গ-ভারতীয় কনফারেন্সে কি কাজ হইবে, কিরূপ প্রস্তাবসমূহের আলোচনা হইবে, আলোচনার প্রণালী কিরূপ হইবে, এবং বৈঠক প্রত্যেক প্রস্তাব সম্বন্ধে মীমাংসা ও সিদ্ধান্তে কিরূপে উপনীত হইবেন, তাহ ন৷ জানিয়া যাহারা ভারতবর্ষ হইতে উহাতে যোগ দিবার জন্য যাইতেছেন, তাহদের কাহারও বুদ্ধি নাই ও স্বদেশপ্রেম নাই বলিতে পারি না ; কিন্তু তাহদের বুদ্ধি ও স্বদেশপ্রেম কি-জাতীয় বুঝিতে পারিতেছি না। লর্ড আরুইন বলিয়াছেন, দাসত্ব হইতে আরম্ভ করিয়া পূর্ণস্বাধীনতা পৰ্য্যন্ত কোন রকম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ভারতবর্ষের উপযোগী তাহার আলোচনা কনফারেন্সে হইতে পারিবে। কথাটা তিনি গম্ভীরভাবে বলিয়াছিলেন, না কিঞ্চিৎ উত্ত্যক্ত হইয়া বিন্দ্রপচ্ছলে বলিয়াছিলেন, জানি না। কিন্তু যেভাবেই তিনি উহা বলিয়া থাকুন, উহার মধ্যে সত্য আছে। ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে কেহই ডোমিনিয়ন ষ্টেটাসের কম কিছু চান না। অন্তদিকে অনেক বিখ্যাত ইংরেজ এবং ভারতপ্রবাসী অধিকাংশ ইংরেজ-সমিতি বলিতেছে, যে, বৰ্ত্তমানে ভারতবর্ষের যে যে অধিকার আছে, তাহাও কমাইয় তাহাকে মঙ্গী-মিণ্টে আমলের অবস্থায় বা তাহারও আগেকার অবস্থায় আনা হউক। সাইমন কমিশন রিপোটেও ভারতীয়দিগের অধিকার কিছু কমাইবার এবং লাটদের ও আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা কিছু বাড়াইবার স্বপারিস আছে । সুতরাং লগুনের বৈঠকে ভারতবর্ষের কেবল রাষ্ট্রীয় উন্নতির আলোচনাই হইবে, অবনতির আলোচনা হইবে না, এরূপ বলা যায় না । তাহ হইলে আমাদের তথাকথিত প্রতিনিধির কি বড়জোর এই বলিতে লগুন যাইবেন, “হে প্রভুগণ, আমাদের আরও অবনতির ব্যবস্থা করিও না,” এবং এই প্রার্থনার সপক্ষে যুক্তির অবতারণা করিবেন ? এতদিন নিস্ফল ভিকুকতা করিয়াও র্তাহাঙ্গের সাধ মিটিল ন! ? অবশ্ব পূর্ণস্বাধীনতা বা ডোমিনিয়ন ষ্টেটাসের