পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] তন্ময় হইয়াছিলেন বলিয়া ঋষির সহিত কোন প্রকার বাক্যালাপ করেন নাই। এইরূপে অপমানিত হইয়৷ শিবকে অভিশাপ দেন যে, তিনি ব্রাহ্মণেতর জাতিকর্তৃক লিঙ্গরূপে পূজিত হইবেন । তারপর ভৃগু ব্ৰহ্মার নিকটে যান। সেখানে ব্ৰহ্মাও যথোপযুক্ত শ্রদ্ধা দেখান নাই। তারপর ভৃগু মন্দার-পৰ্ব্বতে বিষ্ণুর কাছে যান। সেখানে তিনি দেখেন যে, বিষ্ণু নাগেরউপরে অধিষ্ঠিত এবং লক্ষ্মী তাহার পদসেবা করিতেছেন।” ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তের প্রকৃতিখণ্ডে প্রকৃতি সম্বন্ধে যথেষ্ট আলোচনা আছে । ইহাতে উল্লেখ আছে যে, প্রকৃতি কৃষ্ণের আজ্ঞায় দুর্গ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, সাবিত্রী এবং রাধা এই পঞ্চমূৰ্ত্তিতে বিভক্ত হন। অধ্যাত্ম-রামায়ণে অদ্বৈত এবং রামভক্তি মুক্তির পথ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। বাল্মীকি-রামায়ণের মত উক্ত গ্রন্থ সাত ভাগে বিভক্ত। তন্ত্রের স্কায় ইহা শিব এবং উমার, কথোপকথনে পরিপূর্ণ। রামকে বিষ্ণু বলিয়া কল্পনা করা হইয়াছে, রাবণ যে সীতাকে চুরি করিয়াছিলেন তাহ মায়ামাত্র । এইগ্রন্থের শেষে সীতার অগ্নি-পরীক্ষার সময় প্রকৃত সীতা লোকচক্ষুর গোচর হন । পদ্ম-সংহিতায় ও লক্ষ্মী-তন্ত্রে লক্ষ্মী বিষ্ণু-নারায়ণের শক্তি এবং জগৎকারণ বলিয়া পূজিতা হইয়াছেন । * মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রে ব্রহ্মাকে সৰ্ব্বোচ্চ দেবতা বলা হইয়াছে। শাক্ত দার্শনিকগণের মতে তিনিই শক্তি । শক্তি যে শুধু শ্ৰীবাচক তাহাই নয়। শক্তিই জননী ; এই শক্তিই শিবের সহধৰ্ম্মিণী পাৰ্ব্বতী, উমা, দুর্গ, কালী ; বিষ্ণুর সহধৰ্ম্মিণী লক্ষ্মী এবং কৃষ্ণের সহধৰ্ম্মিণী কৃষ্ণ। রামানুজ শ্রী-সম্প্রদায় স্থাপন করেন এবং এই সম্প্রদায়ভুক্ত মানবগণ শ্রবৈষ্ণব বলিয়া পরিচিত। এই সম্প্রদায়ের ধারণা যে, প্ৰভু তাহার সহধৰ্ম্মিণী লক্ষ্মীর মধ্য দিয়া সত্য প্রকাশ করেন । রামাম্বুজ বলিয়াছেন— “লক্ষ্মীদেবীর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধায় আমার হৃদয় যেন পরিপূর্ণ इग्न ।” রামারণে শ্ৰীকে ক্ষীরান্ধিতনয়া নামে আখ্যাত করা معجمي

  • Eggeling, p, 850.

লক্ষনী ››ዓ হইয়ছে, কেন-না, তিনি স্বরাক্ষর কর্তৃক সমুদ্র মথিত হইলে উখিত ফেনরাশির মধ্য হইতে অপরূপ রূপলাবণ্যবর্তী মূৰ্ত্তিতে উখিত হন । পুরাণের আখ্যানসমূহ হইতে তিনি যে ভৃগু ও খ্যাতির দুহিতা এবং তিনিই যে রামের সমস্ত অবতার-কালে তাহার পত্নী ছিলেন, তাহা স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। এই বর্ণনাগুলি সমস্তই অপেক্ষাকৃত একালের, কেন-ন, ঋগ্বেদে লক্ষ্মী শব্দের উল্লেখ দেখা গেলেও ইহা ঠিক যে সৌভাগ্যের অধিষ্ঠাত্রী অর্থে প্রযুক্ত হইয়াছে এরূপ নহে । বিষ্ণুর পত্নী অথবা শক্তি-স্বরূপ লক্ষ্মীকে পীতবর্ণে চিত্রিত করা হয়, তাহার আসন পদ্ম বা কমল, হস্তে কখনও কমল, কখনও শঙ্খ, আবার কখনও বিষ্ণুর গদা । জন্মের সময় তাহার এরূপ রূপলাবণ্য ছিল যে, সমস্ত দেবতাই র্তাহার প্রতি অনুরক্ত হন, পরিশেষে বিষ্ণুই র্তাহাকে লাভ করেন। ঐ অর্থাৎ ঐশ্বর্ধ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবীকে যে পদ্মা বা কমলা বলা হয়, তাহার কারণ পদ্ম তাহার অতি প্রিয়বস্তু ; তিনি বরাহীও বটেন, যেহেতু বিষ্ণুর বরাহ অবতারে তিনিই শক্তি ; তিনি যখন বরাহের অঙ্কে উপবেশন করিয়া থাকেন, স্বরাহ তাহাকে জালিঙ্গন করেন । তিনি আদ্যামায়া, জগতের মাড়, তিনি নারায়ণী, বিজ্ঞানী, ইত্যাদি । কখনও তাহাকে ভৃগুকল্প বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে ; কিন্তু দেবরাজের উপর দুৰ্ব্বাসার অভিশাপের ফলে, ত্রিভুবন পরিত্যাগ করিয়া তাহাকে ক্ষীরান্ধিতলে আত্মগোপন করিতে হইয়াছিল। তাহার অন্তধর্ণনে পৃথিবী শস্তন্ত্রশূন্ত হয়। পরে সমুদ্রমন্থনকালে তিনি অপুৰ্ব্ব রূপ ধারণ করিয়া পুনরুখিত হন, এইরূপ প্রসিদ্ধি । বৈষ্ণবেরা লক্ষ্মীকে জগন্ধুর র্তাহারা বলেন, ইনি অঞ্চলে

:

কুম্বা বৈষ্ণবতন্ত্রে থাকিয়াও শক্তি-উপাসষ্ট্রী


.5 ইহাকে আনস্তের প্রতিমূৰ্ত্তি কল্পনা করিয়া পৃথগ ভাবে পূজাৰ্চনা করেন।

জৈনগণ পূর্বে ই ও লক্ষ্মীকে পৃথক ম্বেৰত বলিয়া