পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] রাজমাতা . (:

      • -- حمام عمملہ--ہمہمہممتسیم ہی۔

मूलश्ञाश्गकोन ছাড়িয়া দিয়া সখের থিয়েটারের দলে ঢুকিয়াছে। সংসারের পানে সে চাহিয়াও দেখে না। সময় বা অসময়ে হৈ-হুৈ করিয়া আসিয়া দু-বেলা আহার সারিয়া যায় এবং দীর্ঘ দিনমান ও রাত্রি বাহিরেই কাটাইয়া দেয়। উপার্জনের অকুযোগ করিলে সাত ভাগের একভাগ জমি দেখাইয়া মাতাকে বুঝাইয়া দেয়—এই অন্নের গ্রাস তার দ্যায্য পাওনা ! অরুণ মনোযোগ দিয়া লেখাপড়া করে । সংসারের দিকেও তার টান আছে । দশমীর রাত্রিতে নিজের জমানে দু-এক পয়সা দিয়া মায়ের জলখাবারের মিষ্টান্ন কিনিয়া অনে, একাদশীর দিন তাহাকে কাজকৰ্ম্ম করিতে দেয় না । ভাইদের অfদর করে, পড়া বলিয়৷ দেয় । সকলেই বলে, “এই ছেলেই তোমার সকল দুঃখ দূর করবে ।” ম। অন্তৰ্যামীকে ডাকিয় মনে মনে বলেন, “রাজরাণী হতে চাই না, ঠাকুব ! তুমি শুধু এদের বাচিয়ে রেখে ” জ্যেষ্ঠকা মেনকা সংসার মাথায় করিয়া রাখিয়াছে । ষ্টাড়ি হেঁসেল ভাড়ার সমস্তই তার জিন্মায়। ভাইবোনদের খাওয়ার পরিচর্য্যা অল্প খরচে নিত্যনূতন ব্যঞ্জনের আস্বাদন, রোগে সেবা, রোদনে সাত্বনা, সমস্তই তাহার নিপুণ করের স্পর্শে ও স্নেহ স্বকোমল অস্তরের সন্নিধ্যে সুচারুরূপে সুসম্পন্ন হয় । মধ্যম উষ বিবাহের পর সেই যে শ্বশুরবাড়ী প্রস্থান করিয়াছে, পাচ বৎসরের মধ্যে আর পিত্রালয়ে আসে নাই । বিবাহের সময় দেনাপাওনার কি সামান্য ক্রটি-বিচ্যুতি না-কি ঘটিয়াছিল—তাহারই ফলে তাহার পরমাপ্রয়ের সকল পূজনীয় ব্যক্তিরাই এই স্বব্যবস্থা করিয়াছিলেন। এমন কি পিতার মৃত্যুর পরও সে ব্যবস্থার বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম হয় নাই। - তৃতীয় রমার বিবাহ কিন্তু অনেক দেখিয়া-শুনিয়া সং গৃহস্থের ঘরেই দিয়াছিলেন। মাত্র দুই বৎসর श्झेल ♛झे सख्कॉर्थी সম্পন্ন হইয়াছে। উল্প পৃক্ষই ..? যথাসাধ্য সাধ-আজ্ঞা করি গীতির গুৰু জীৱ । রাখিয়াছেন। পিতার মৃত্যুতে রমা বড় কান্নাটাই দিয়া ছিল। রমার শ্বশুর নিজেই অভিভাবক হইয়ু কাণ্ডকৰ্ম্মের বিশৃঙ্খলা ঘটিতে দেন নাই। রমার স্বামী পশ্চিমে কোথায় চাকরী করে । ছোট উম। খেলাঘর বাধিয়া—পুতুলের বিবাহ দিয়, সই গঙ্গাজল, বকুলফুলের সঙ্গে হাসি-কান্না, কলহ-পুতির চর্চা করিয়! এইভাবে তাহার ভাবী জীবনকে সত্যকার ংসারের জন্য তৈয়ারী করিতেছিল। তাহার খেলাঘরে পুতুলের বিবাহ উপলক্ষ্যে ছোট ছোট ভাইগুলি হটতে বড় দিদি পর্য্যন্ত সাদরে নিমন্ত্রিত হইয়া কাকরের চাউল, কাল-কাসুন্দ ফলের বীজের ডাউল ও নানাপ্রকার পাতার তরকারী পরিতৃপ্তির সহিত ভোজন করিতেন । আহারাস্তে দক্ষিণার ব্যবস্থা করিতে সে ভূলিত না। কয়েক খণ্ড খোলামকুচি ঘসিয়া ঘসিয়া পয়সার আকারে তৈয়ারী করিয়। রাখিত । বৃহৎ সংসার কিন্তু দিনে দিনে অচল হইয়া উঠিতেছিল। শিশির বাড়ীতে শুধু যখন-তখুন, ভোজন করিয়া যাইত না, সঙ্গে সঙ্গে কিছু পয়সাও জোরজবরদস্তি করিয়া আদায় করিত। মেনকা বলিত, “হঁ| রে শিশির, সংসারের এই অবস্থা —তুই একবারও ভাবিস না। কমল সেই কোথায় না খেয়ে না প’রে দুঃখে কষ্টে রোজগার করে ১৪টি টাকা পাঠায়, তাই না চলে ?” শিশির উত্তর দিত,— “ইস্—তাতেই যেন চলে ! জমির ধান হয় না ? তা থেকে কিছু বেচে পয়সা জমালেই "পার। দাও চার জানা আজ একজনকে দিতে হবে।” .* তর্কবিতর্ক করিয়া কোন ফল নাই, দিতেই হইত। মেনকা রাগ করিয়া দু-এক দিন পত্নসা দেয় নাই, ফলে ঘরের দু-একখানা বাসন বা অন্ত কোন