পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

;"" . وروسته له : | প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড jদখতে দেখতে সমাজের ভিত্তি বদলে যাচ্চে— #পৗছবে কেউ বলতে পারবে না। সেখানকার A ও চিত্তবৃত্তি দিয়ে এখানকার অবস্থার বিচার A। চরিত্রের আদর্শ সম্বন্ধে মেয়েদের মনে বহুলের যে আদর্শ সংস্কারগত হয়ে গেছে আমাদের দেশে তার মূলে আঘাত পড়েনি, অবশ্ব আমাদের ভৈাবের মধ্যে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই একথা বলা জতুক্তি, কিন্তু তাকে নিয়ে বাইরে থেকে যত অতিরিক্ত বাধাবাবি করতে যাব ততই সেটা ব্যাবিতে এসে দাড়াবে। এই সংশয়কে অগ্রাহ করার দ্বারাই একে বিনাশ করা যায়। পরস্পরকে বিশ্বাস করার দ্বারাই সমাজের হাওয়৷ নিৰ্ম্মল হয়। একথা কখনোই সত্য নয়, যে, তুকিস্থানের কড়া পাহারার আড়ালেই মেয়েদের মনের শুচিত রক্ষিত য় ; ঠিক তার উণ্টে । যাকে বিশ্বাস করিনে সে খাসের অধোগ্য হয় ; যতই অযোগ্য হয় তত কড়াক্কড় করতে হয় । মানবচরিত্রের ভিতরে ও বাইরে সর্বত্রই আছে, উত্তেজন আরো বেশি। বস্তুত: । মামুষের মনকে বিশুদ্ধ করা যায় না, বাড়িতে চরিত্রের মূলে দুৰ্ব্বলতা ও দ্ধা আসে। ভিতরের মানুষের পরেই রোয়ানের পরে নয় । যার চরিত্রকে স্মায় রাখতে চায় তারা গোড়া ব্যবস্থা করে। সংশয়-কণ্টকিত লেই ভিতরে ভিতরে মামুষের ফলা হয়। আমি মেয়েদের ইজন্য তাদের আমি সন্দেহের রাখতে দেখলে ব্যথা পাই । গনো দুনিবার লক্ষণ কারো র্যোর সঙ্গে স্নেহের সঙ্গে তাকে গ্ন দিতে হবে । যেখানে সে কানো ফল হয় না, যেখানে সে শরূক করতে হয় । ত{ করতে চেয়ে মামুষের প্রতি শ্রদ্ধাই জে চাই চিরসহিষ্ণু অমুকম্প । t { { খোলা বাতাসে কোনো কোনো অতি দুৰ্ব্বলনে রোগে ধরে—তাই বলেই নিখিলের পক্ষে বদ্ধ বাতাসই নিরাময় ও নিরাপদ বলে গণ্য করতে পারিনে। খোল বাতাসেই ব্যাধির বিরুদ্ধে শরীর হস্কৃঢ় হয়। মেয়েদে আস্তরিক আত্মগৌরব আমরা যেন কিছুতেই দুৰ্ব্বল ন করি। যাকু—এ সব কথা বিশেষ করে বার-বার করে বলার দরকার হয় তার কারণ বাহিক আগুফললাভেৰ লোভে আমরা আভ্যস্তরিক সফলতাকে প্রায় নষ্ট করে ফেলি। ইতি ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ । [ শ্ৰীমতী আশা দেবীকে লিখিত ] বালি ভারতবর্ষের যে শিক্ষাপ্রণালী ও শিক্ষাব্যবস্থা আছে তার পঙ্গুত। আমরা সবাই জানি। কিন্তু উপায় নেই পেটের দায়ে ছেলেরা এই ব্যর্থত স্বীকার করে নিতে বাধ্য-কিন্তু জীবিকার জন্যে শিক্ষা মেয়েদের তেমন অপরিহায্য হয়নি। এইজন্য বৰ্ত্তমান অবস্থায় আমাদের দেশে বিদ্যাদানের উৎকৃষ্ট প্রণালী মেয়েদের জন্তেই প্ৰবৰ্ত্তন করা সম্ভবপর। যদি করে তুলতে পারি তবে এবারকার মতো এইটেই আমার শেষ সার্থকত হবে । ভাতুসিংহের পত্রাবলী সেদিন আমার হাতে এসে পৌচেছে । পড়তে পড়তে শাস্তিনিকেতন আমার চারদিকে মূৰ্ত্তিমান হয়ে উঠল। ভুলে গেলুম যে আছি পশ্চিম সমুদ্রের পারে । আমার কোনো লেথাতেই শাস্তি নিকেতনের রূপ এমন রসপূর্ণ হয়ে জাগেনি। নিজের কীৰ্ত্তি নিয়ে অহঙ্কার করা শাস্ত্রে নিষিদ্ধ আছে, তবু সত্যেঃ খাতিরে বলতেই হচ্চে, এই চিঠিগুলির পরিধি দুই ডাকঘরের দুই কিনারার মধ্যেই পরিসমাপ্ত নয়—আর কালের যে-সীমান আমার আকস্মিক সাতাশ বছর বয়সের মধ্যেই কিছু দিনের জন্যে আষদ্ধ ছিল, পত্রাবলী তাকে অনেক দূর ছাড়িয়ে গেছে। রাণুকে যে চিঠিগুলি লিখেছিলুম, বঙ্গবাণীর নিত্য ঠিকানায় সেগুলি পৌচে্ছ । ইতি ৫ই সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯ । [ শ্ৰীমতী ভক্তি দেবীকে লিখিত ) { বার্লিন হইতে ডাৰেkপ্রতি ...বাইরের সকল কাজের উপরেও একটা ੋਕੜ t