পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

” ૨રના “আর একবার গিয়ে দেখে এস, জাহাজ ভিড়তে কত দেরি । আমার এক ঘণ্টার মধ্যে একবার আপিসে না গেলেই চলবে না।” ড্রাইভার আবার জেটির ভিতরের দিকে চলিল । কিন্তু সে ফিরিয়া আসার আগেই জাহাজের সিড়ি মামানোর ঘড়ঘড় শব্দ, কুলি এবং জনতার চীৎকার নিরঞ্জনকে জানাইয়া দিল যে, জাহাজ ভিডিয়া গিয়াছে। তিনি মোটরের দরজা খুলিয়া নামিয়া পড়িলেন, সঙ্গে একটি মান্দ্রাজী ভৃত্য আসিয়াছিল, তাহার জিন্মায় গাড়ী রাখিয়া ভিতরের দিকে অগ্রসর হইলেন। মাঝ দুৰ্থ ড্রাইভারকেও ফিরিয়া যাইতে দেখিলেন । fঃ আজ ইন্দুর আসিবার কথা, সঙ্গে কলিকাতা হইতে জন বিখ্যাত চিকিৎসক ও আসিতেছেন। ইনি প্রকার স্বায়বিক রোগের বিশেষজ্ঞ । রেজুনের %কিৎসকগণ যখন মায়ার অস্থস্থতা সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই লিতে পারিলেন না, তখন নিরঞ্জন বহু অর্থব্যয়ে এই }শেষজ্ঞ চিকিৎসকটিকে আনয়ন করিবার ব্যবস্থা করিলেন। মায়াকে এই অবস্থায় লইয়া যাওয়াও কঠিন, এবং লইয়া গেলে নিরঞ্জনেরও সঙ্গে যাওয়া প্রয়োজন । }বারে বারে কাজ ফেলিয়া কলিকাতায় গিয়া বসিয়া থাকিলে কাজের বড়ই ক্ষতি হয়, সেইজন্য কলিকাতা যাইবার চেষ্টা আর করেন নাই ।

  • যাত্রীরা যেখানে নামে, বাহিরের লোককে সেখানে o ষ্টিতে দেওয়া হয় না। কাঠগড়ার বাহিরে তাহার শ্রীড়াইয়া থাকে, যাত্রীরা নামিবার ছাড়পত্র সমর্পণ
  • দেথা করিতে পারে। নিরঞ্জন রেলিং-এর কাছে দিয়াই জাহাজের ভেকের উপর ইন্দুকে দেখিতে লেন। সে ব্যগ্র হইয় জনতার দিকে চাহিয়াছিল,

}ত হইলেন। আর কাহারও ত আসিবার কথা না? জাহাজে ইলু ইহার সহিত আলাপ করিয়াছে SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SSMMSMMAMAMSA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS - # * সম্ভব নয়। হিন্দুঘরের মেয়ে সে, হাজার বয়স { ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড । eAAA SAAAAA AAAAMSMSAS A SASAMAMAMAJASASMAAAS হইলেও কখনও নিজে অগ্রসর হইম অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে আলাপ করিবে না। পরিচিত কেহ হইলে নিরঞ্জনও তাহাকে চিনিতেই পারিতেন । ডেক-যাত্রীর ঠেলাঠেলি একটু কমিতেই ইন্দু এবং সেই যুবকটি নামিয়া অসিলেন । চিকিৎসক ডাক্তার মিত্রের সহিত নিরঞ্জন সাক্ষাৎভাবে পরিচিত ছিলেন না ; কাজেই তিনি আসিয়াছেন কি না, এবং নামিয়াছেন কি না, তাহ নিরঞ্জন বুঝিতে পারিলেন না। কাছাকাছি আসিয়া পড়িতেই ইন্দু রেলিং-এর ওপাশ হইতে জিজ্ঞাসা করিল, “মেজদা, মায়া এখন কেমন আছে ?” - নিরঞ্জন বলিলেন, “প্রায় একই রকম। তবে এখন নাইচে থাচ্ছে। আসল রোগ যা তা ত কিছু সারবার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ডাঃ মিত্র এসেছেন ?” ইন্দু ও তাহার সঙ্গী যুবকটি ছাড়পত্র জাহাজ-ঘাটের কৰ্ম্মচারীর হাতে সমর্পণ করিয়া ভিতরে ঢুকিয়া পড়িল । কুলি তাহাদের জিনিষপত্র আনিয়! গাদা করিয়| এক জায়গায় রাথিতে লাগিল। ইন্দু এতক্ষণ পরে নিরঞ্জনের প্রশ্নের উত্তরে বলিল, “ন, ডাঃ মিত্র এর পবের ষ্টীমারে আসছেন, শুক্রবারে এসে পৌছবেন । আমার সঙ্গেই আসছিলেন, কলকাতায় খুব জরুরী ডাক এল একট, তাই আসতে পারলেন না। ভাগো প্রভাস আসছিল, তাই তার সঙ্গে আসতে পারলাম, নইলে আমাকেও আটকে থাকতে হত ।” ..?' যুবক অগ্রসর হইয়া আসিয়া নিরঞ্জনকে প্রণাম করিল। নিরঞ্জন এতক্ষণে তাহাকে চিনিতে পারিয়া বলিলেন, *ও তুমি প্রভাস । এত বছর আগে তোমাকে দেখেদি যে, মোটেই চিনতে পারিনি । তা বেশ, তোমা দেখে খুব খুশী হলাম। মায়। যদি শীগগির সেরে ওd, তাহলে তোমাদের কাজকর্মের কথাও হতে পারবে।” { প্রভাস বলিল, “মায়ার অসুখের কোনো o আমি শুনিনি। আগে যেমন ঠিক ছিল, সেই অচষ্ট্ৰচ আসা ঠিক করে কলকাতায় এসেছিলাম, নিতান্ত সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম ব’লেই এ কথা শুনলাম তখন টিকিট কিনে ফেলেছি আর পিসীমাও আলবার