পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্য। ] সঙ্গী পাচ্ছেন না দেখে চলেই এলাম। নইলে এখন না এসে মায়াসারবার পরে এলেও চলত।” 毫 নিরঞ্জন বলিলেন, "এসেছ, ভালই হয়েছে । আশা ত করছি মায়। শীগগির সেরেই উঠবে। আর লোকের অভাবে ইন্দুর আসা না হ’লে, আমাকে বড় মুস্থিলে পড়তে হ’ত। ওকে দেখ বার শুল্বার কেউ নেই, মাইনে-করা লোকের হাতে ভরসা করে বাড়ী থেকে বেরতেও পারি নে। তারা সব বোঝেও না, কোন অবস্থায় কি করতে হযে, কিছু না বুঝে ভ্যাবাচ্যাক খেয়ে থাকে।” - ইন্দু বলিল, “তা ত হবেই। বাঙ্গালী ঝি-চাকর হলেও বা কথা ছিল, এর ত কথাই বুঝবে না অৰ্দ্ধেক । তা চল গাড়ীতে গিয়ে বসা যাক। যা ভীড়, এর ভিতর দাড়াতেই কেমন একটা অসোয়াস্তি লাগে। প্রভাস আমাদের সঙ্গে যাবে ত ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “নিশ্চয়ই । আমার বাড়ী ছাড়া ও আবার কোথা যাবে ? ও ত ঘরেরই ছেলে ।” মন্দ্রিাঞ্জী ভৃত্য একট। ট্যাক্সি জোগাড় করিয়া আনিল । তাহাতে করিয়া জিনিষপত্র সব চাকরের সহিত চালান করিয়া দেওয়া হইল। নিরঞ্জন, ইন্দু এবং প্রভাস বাড়ীর গাড়ী করিয়া রওনা হইলেন । ইদু গাড়ী ছাড়িতেই আবার জিজ্ঞাসা করিল, “মায়ার কি অস্থখ তা ত ভাল করে লেখনি কিছু চিঠিতেও । টেলিগ্রাম থেকে ত কিছুই বোঝা যায় না। খুব কি ঘন ঘন মুচ্ছ হচ্ছে ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “না সে রকম কিছু নয়। মাত্র মুছা হয়েছিল, সেটা ভাঙতে কয়েক ঘণ্ট। দেরি হয়েছিল। কিন্তু মূছ ভাঙার পর থেকে কেমন যেন অদ্ভুত হয়ে আছে, কাউকে চিন্‌তে পাছে না, কোনো কথা মনে আনতে পারছে না।” ইন্দু ভীতভাবে বলিল, “ও মা, সে কি কথা ! তোমরা ত ও সব মান না, কিন্তু গায়ের লোকে শুনলে বলৰে ভূতে পেয়েছে। খাচ্ছে, দাচ্ছে, ঘুমুচ্ছে ত ঠিক মতন ?” নিরঞ্জন বলিলেন, "খাওয়া-দাওয়া করছে বটে, তবে স্বাভাবিকভাবে নয়। সবকিছু নিয়েই গোলমাল مما و يج جسس هنا মহামায়। . SS SSAAASAAA SASAAASAAA AAAA AAAAJJAAAAMAJH AAAA AAAAA x - একবার । t २२३ مہیہ ہبہت بٹالنجمیہ،ءمہمہ، سہ مہیہہ ہمد করছে। ঝি-চাকর কারও ছোওয়া কিছু খেতে চায় নী, কাউকে ঘরে ঢুকতে দিতে চায় না । বামুন ঠাকুর একটা আছে, তাই রক্ষা, সে-ই খাবার-টাবার এনে দিচ্ছে, অঙ্ক সব কাজ নিয়েই হয়েছে মুস্কিল।” ইন্দু বলিল, "এতদিন কে চিকিংস করছিলেন । তারা কি বলেন ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “এখানকার সব ডাক্তারকে ত দেখালাম। কেউ বিশেয কিছু বলতে পারে না। সেই জন্তেই ডাঃ মিত্রকে আনাচ্ছি।” বাড়ী পৌছিতে অনেকক্ষণ লাগিল । ইন্দু বলিল, “বাগানটা ত খুব বাহারের হয়েছে দেখছি।” নিরঞ্জন বিষন্নভাবে বলিলেন, “সব মায়ার নিজের হাতে করা। কত জায়গা থেকে যে ফুলগাছ আনিম্নেছিল, তার ঠিক-ঠিকানা নেই। এর পর সব অমৃত্বে নষ্ট হবে আর কি।” চাকর-বাকর আসিয়া জিনিষপত্র নামাইতে লাগিল । নিরঞ্জন ছোকরাকে বলিলেন, “আপিস-ঘরের পাশের ঘরে এই বাবুর জিনিষপত্র সব নিয়ে রাখ। একটা খাট সেখানে পেতে দে। তুমি আসবে তা ত জানা ছিল না প্রভাস, কাজেই ভাত এখনই পাবে না। জলটল খাও, ইন্দুত রার করবেই, তখন তুমিও খেয়ে। বামুনঠাকুরের রান্না রাত ন’টার আগে কিছুতেই আজকাল আর হয় না।” ইন্দু বলিল, “বেল পড়ে এল, এখন আবার রান্না করে পিণ্ডি গিলতে বসতে পারব না। সন্ধ্যার পর জলটল খাব এখন। সঙ্গেই ফল, মিষ্টি অনেক আছে। প্রভাসকে ভাল করে চা খাইয়ে দিও এখন, তারপর ঠাকুরের রায় যখন হয় খাবে। কাল থেকে সব ঠিক করতে হবে, একজন মেয়েমানুষ সংসারের মাথায় না থাকৃলে চাকর-বাকর কখনও ঠিক করে কাজ করে না ।” প্রভাস বলিল, “কি আশ্চৰ্য্য ! আমার খাওয়াটা এমন একটা কি ব্যাপার ষার জন্তে সবাই এত ব্যস্ত হচ্ছেন ? ষ্টীমারে আমি একবার খেয়েওছি, এর পর যখন হয় খাব। বিদেশে কাজ করি, সারাক্ষ আমার