পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] এসেচে বুড়ী-ছাড়ো ছিঃ-লক্ষ্মীটি—ওরকম দুষ্ট.মি করে না—লক্ষ্মী— হারণের মা ঘরের গায়ে ধাক্কা দিয়া বলিল—৪ বেীমা ভোর হয়ে গিয়েচে । ওঠে, ওঠে, ঘড়াঘটগুলো বার করে দেবে না ? পাটব্যবসায়ে মন্দা ২৭৩ অপু হাসিয়া উঠিয়া আঁচলের গিঠ খুলিয়৷ দিল । আপিস কামাই করিয়া সেদিনটাও অপু বাড়ীতেই রহিয়৷ গেল । ক্রমশঃ পাটব্যবসায়ে মন্দ প্রতিবিধানের পথ শ্ৰীসুধীরকুমাব সেন পৃথিবীব্যাপী এক অভূতপূৰ্ব্ব আর্থিক অসচ্ছলতার ফলে কাচা মাল হিসাবে ও কলের তৈরী জিনিষ হিসাবে পাটের রপ্ত নী কমিয়া যাওয়ায় এবং পাটের চাষ খুব বেশী করিয়া হওয়াতে পাটের উৎপাদন বাড়ায় বাংলা দেশে পাট-ব্যবসায়ে ভয়ানক মন্দা পড়িয়ছে । চাষী দেখিতে পাইতেছে যে, পাট যে দরে বিক্ৰী হইতেছে তাহাতে শুধু যে চাষের খরচ পোষাইবে না শহাই নয়, ক্ষেতের পাট কাটিয়া ঘরে তোলাও ভুল ইবে । هی ठू গত কয়েক বৎসর লক্ষ্মী খুব কৃপা করিয়াছিলেন । স্বসময়ে আশাকুরূপ বর্মণ হইয়াছিল, উৎপাদনও হইয়াছিল প্রচুর। যে-বৎসর চড়াবাজার থাকিত তার পরের বৎসর দর ততটা উঠিত না, তবুও বৎসরের পর বৎসর পাটে বেশ ভাল লাভ পাওয়া গিয়াছে । খুব আয় দেখা যাইতেছিল, পাটচাষের জমিও দিন দিন বাড়িতেছিল, এই বংসর দেখা গেল যে, ১৯২৬ সনের পরে আর কখনও বেশী পরিমাণ জমিতে পাটচাষ হয় নাই, এবারকার শস্যও হইয়াছে চমৎকার । কিন্তু বেচাকেন। এবার বেশী নাই –একেবারেই নাই বলিলেই চলে । অবস্থা যখন এই দাড়াইয়াছে তখন প্রত্যেকেরই ইহার প্রতিবিধানের উপায় চিন্তা করা উচিত, কারণ, ইহার একটা সমাধান হইলে সকলেরই সমস্ত মিটিবে। যে-জমীদার সদর খাজনা জোগাইবেন তিনি নিজে খাজনা আদায় করিতে পারিতেছেন না। অন্যহারে মৃত্যু ও সৰ্ব্বনাশের পথে বসিয়া চাষী আজ এক পয়সাও খাজনা দিতেছে না । মহাজন, মাড়োয়ারী, সমবায়ু ঋণদান সমিতি ও সমবায় পাট সমিতিগুলিরও দুৰ্দ্দিন উপস্থিত। প্রত্যেক ব্যবসায়েরই অবস্থা সঙ্গীন ; চাষীর হাতে টাকা না থাকিলে—বাংলা দেশের শতকরা সত্তংটি লোকই চাষী-ব্যবসায়ে জোর ধরে না । সরকারের পরোক্ষভাবে অনেক টাকা লোক্সান হইবে, কারণ আমদানী-রপ্তানী না থাকায় রেলপথের ও ডাক বিভাগের আয় কমিয়া যাইতেছে । অনেক দিক হইতেই অনেকরুপ প্রস্তাব আসিতেছে । ভারত-সরকার রাষ্ট্রীয় গোলমালে, আয়হাসে ও আইনঅমান্ত আন্দোলনের ঘূর্ণিপাকে পড়িয়া স্পষ্ট কহিয়াছেন যে, তাহার কোনোরূপ সাহায্য করিতে পরিবেন না। বাংলা সরকার বোধ হয় সামান্ত কিছু তাকাভি' বীজ শস্তের ঋণ দিয়া গৃহস্থদিগকে সাহায্য করিবেন ; কিন্তু যে জমিদারবর্গ সদর খাজন| বিষয়ে কিছু স্ববিবেচনার দাবী করিতেছে তাহারা বা চাষীরা কেহই তাহাতে সম্বষ্ট হইবে না । গৃহস্থদের ঋণদান করিলে মহাজন বা ব্যবসায়ীদের হয়ত একটু স্ববিg_ হইতে পারে ; কিন্তু তাহাও এত কম যে ধর্তব্যের মধ্যে নয় } প্রস্তাবগুলি প্রধানত এই ধরণের—(ক) শশু কাটিবার জন্য টাকা সরবরাহ করা ও শস্ত মজুত করিয়া রাখ ; (থ) আগামী বৎসরের জন্য উৎপাদন-হ্রাসের ব্যবস্থা করা ;