পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ –কংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্বাহক কমিটির বাঙালী সভ্য &SS হইতেছে—ইহার রহস্য বুঝা ভার। যাহা মরিতে বসিয়াছে, তাহাকে মারিবার জন্য সম্প্রতি সকল প্রদেশেই দমননীতি খুব জোরে চালান হইতেছে। ইহারও রহস্য বুঝা ভার। কোন দুটা ঘটনা বা ব্যাপার সমসাময়িক হইলে, কিংবা কালে একটা অন্যটার কিছু পূৰ্ব্ববর্তী হইলে, উভয়ের মধ্যে কাৰ্য্যকারণ সম্পর্ক থাকিবেই, এরূপ বলা যায় না। সেই জন্য, ১২ই নবেম্বর গোলটেবিল বৈঠকের অধিবেশন ও তাহার আগের কিছু দিন হইতে দমন কাৰ্য্য প্রবল ভাবে চালান, এই দুইয়ের মধ্যে কোন সঙ্গন্ধ নিশ্চয়ই আছে বলা যায় না । কিন্তু সম্বন্ধ থাকিতেও পারে। ইংরেজ সাংবাদিক ব্রেল ফোর্ড সাহেব ভারতবর্ষে সত্যাগ্ৰহ প্রচেষ্টা সম্বন্ধে সাক্ষাৎ জ্ঞানলাভ করিতে আসিয়াছেন । র্তাহার মতে কংগ্রেস গোলটেবিল বৈঠকে যোগ না দিয়া অবিজ্ঞের কাজ করিয়াছেন । এহেন ব্যক্তিও বলিতেছেন, গোলটেবিল বৈঠককে সফল করিতে হইলে ভারতবর্ষে রাজনৈতিক বন্দীদিগকে খালাস দিয়া দেশের মধ্যে একটা শান্ত ভাব আনা উচিত। তিনি ইংরেজ এবং রাজনীতিজ্ঞ বলিয়া সাংবাদিক মহলে ইংরেজীভাষী জগতে র্তাহার নামও আছে । অতএব গোলটেবিল বৈঠকের উদ্দেশ্বসিদ্ধির জন্য ভারতবর্ষকে ঠাণ্ড করা যে দরকার, তাহ মানিয়| লওয়া যাইতে পারে । তিনি বলিতেছেন, রাজনৈতিক কয়েদীদিগকে মুক্তি দিয়া দেশকে শাস্ত করিতে, কিন্তু ঠাণ্ডা করিবার আর একটা উপায় আছে। যথা, দমননীতি খুব জোরে চালাইয়া দেশে এমন অবস্থা উৎপন্ন করা যাহাতে কেহ টু শব্দটি করিতে না পারে। এই প্রকারে দেশকে শাস্ত করার অদ্যপ্রকার সার্থকতাও আছে । যখন এক দল লোক চূড়ান্ত স্বাধীনতা চায়, এবং তাহাঁদের কাজের দ্বারা দেখায় যে তাহারা পূর্ণস্বরাজের জন্ত সৰ্ব্বত্যাগে প্রস্তুত হইয়াছে এবং প্রাণপণ করিয়াছে, তখন অন্ত কতকগুলি লোককে দেশের প্রকৃত প্রতিনিধি বলিয়া জগতের কাছে ঘোষণা করিয়া তাহাদিগকে স্বরাজের মত কিছু একটা দিবার অঙ্গীকার করিয়া লোকদিগকে “ঠাণ্ডা” করিয়া ফেলা যায়, যদি তাহদের সাড়াশব্দও কেহ আর না পায়, তাহা হইলে সহছেভুলায়িতব্য - মডারেটদিগকে বিশেষ কিছু দিবার অঙ্গীকার করা দরকার হয় না। চরমপন্থীদের সাড়াশব্দ কিছু আর না পাওয়া গেলে, মডারেটদেরও স্বর বেশী চড়াইবার সুযোগ থাকে না—তাহারা পরোক্ষভাবে এ ভয় দেখাইতে পারেন না, যে, তাহাদের দাবী অগ্রাহা করিলে চরমপন্থীদের দল পুরু হইবে এবং প্রভাব বৃদ্ধি পাইবে । কিন্তু চরমপন্থীরা কাৰ্য্যক্ষেত্রে সক্রিয় থাকিলে, মডারেটরা জানেন র্তাহাদের দাবী বেশ উচু না করিলে দেশে ফিরিয়া তাহারা ভাঙা কলকেও পাইবেন না। অতএব, এই সব কারণে চরমপন্থী সত্যাগ্রহীদিগকে ”ঠাণ্ডা” করিয়া গোলটেবিল-বেষ্টনকারী নরম ব্যক্তিদিগকে নরমতর বা নরমতম করা আবশ্বক বিবেচিত হইয়৷ থাকিতে পারে । ইতি ( গগু)গোল টেবিল বৈঠকের প্রাক্কালে দমননীতির প্রকোপ-বৃদ্ধির আনুমানিক নিদান । কংগ্রেস কার্য্যনিৰ্বাহক কমিটির বাঙালী সভ্য কাগজে দেখিলাম, শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত পুনৰ্ব্বার কারারুদ্ধ হওয়ায় কংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক কমিটিতে সভ্যের যে পদটি খালি হইয়াছে, তাহাতে শ্ৰীযুক্ত হেমপ্রভা মজুমদার নিযুক্ত হইয়াছেন। র্তাহার বিরুদ্ধে আমাদের বলিবার কিছু নাই । আমাদের কেবল ইহাই মনে হয়, যে, কংগ্রেস কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক কমিটির কাজ করিতে হইলে প্রত্যেক সভ্যের ইংরেজীতে কিংবা অন্ততঃ হিন্দুস্থানীতে করণীয় সব কাজের ভাল করিয়া আলোচনা করিবার ক্ষমতা থাক চাই— সভোর পদ কেবল সন্মানের পদ নহে। সংবাদটি পড়িলে এই প্রশ্নও মনে আলিবার কথা, ধে, বঙ্গের অন্যতম প্রধান কংগ্রেস-নায়ক বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির

  • বৈয়াকরণের মাফ কজুিবন। مم-مم-سسسه-----------