পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বাড়তে চোখে পড়ল যে পাতায় উপুড় হয়ে বইট। পড়েছিল, পেট হ’ল একটা গল্পের স্বারgের পৃষ্ঠা ; গল্পের শিরোনাম ‘ট্রেনের পথে, আর নীচে লেখকের নাম শ্ৰীক মক দাস ।” আরে, এ যে তার নিজেরই নাম । চট করে মেথেটির সঙ্গে কথা চালাবার একটা উপায় মনে এল । বইখান মেয়েটিকে ফেরৎ দিতে দিতে কনক মুদু হেসে বললেন, “কি পড়ছিলেন ট্রেনের পথে ?’ মেয়েটিও BJBBBB BB BB BBB BBYYSDGS BB BBB কেন নিজের রুমাল দিয়ে ধুলো বাড়তে গেলেন ? আপনার রুমাল নিশ্চয় একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে । গাড়ীর নীচেট। ধা হয়ে রয়েছে ধূলোয় ধূলোয়।’ কনক সে কথার উত্তব না দিয়ে বললে, “নিজের লেখা .কউ পড়ছে, এর আগে কোনোদিন দেখবর সেী ভাগ। চষ্ট্রনি, তাই আপনি গল্পটা এত মন দিয়ে পড়ছেন দেপে বেশ নতুন রকম মনে হচ্ছে ।" মেয়েট সোজা হয়ে বসল –কথাটা বোধ করি বা সৰ্ব্বতে তার দেরি হ’ল ; একবার মাসিক পত্ৰখানার দিকে তাকাল আবার কনকের মুখের দিকে তাকাল । বলল, "টেনের পথে গল্পটা বুঝি আপনার লেখা ? আপনি বুঝি একজন বড় লেখক ?’ কনক উত্তর দিল, “লিখলেই খন লেখক হওয়া যায়, তখন সে নামটা এড়াই কি করে ? কিন্তু বড় কি ছোট সে বিচারের ভার তো আপনাদেরই গতে । তবে গল্পট। আপনি যখন মন দিয়ে পড়ছেন, তখন নিজেকে ভাগ বান বলেই তো মনে হচ্ছে ? মেয়েটি একটু কৌতুহলের সুরে বললে, ‘হ্যা, গল্পটার প্লটট বেশ নতুন ধরণের। এ ধরণের গল্প তো আমাদের বাংলায় বেশী দেখি না, বরং ইংরেজী ম্যাগাজিনে দেখা-টেখা যায় । তা আপনি এ প্লট পেলেন কোথায় ? নজের জীবনের অভিজ্ঞতায় লিখেছেন না কি ? গল্পটার প্লট নিয়ে কথা চালাবার ইচ্ছা মোটেই ছিল ন| কি যে তার প্লট, আর কি বা তার সূতন, যা নাকি ইংরেজী ম্যাগাজিনের পাতায় ছাড়া দখবার জো-ই নেই, তা তার একেবারেই অজানা ! কথা কইতে গিয়ে একটা বিপদ ঘটাক আর কি ! তবু কনকের ট্রেনের পথে زي جني উত্তর তো একটা দিতে হয় ! সংক্ষেপে সে বললে, ‘কতকটা বটে ’ মেয়েটি ছাড়ে না। আবার সেই কথাই । বলল, “কিন্তু এ-রকম অভিজ্ঞতা তো আমাদের দেশে , ৪যু শক্ত । মেয়েটির যা চিত্র দিয়েছেন আপনি, এ-যেন ইংরেজ মেয়ে ব’লে মনে হয় ; বাঙালীর ঘরের মেয়ে ঠিক এ রকম তে। প্রায় দেখা যায় না । কা’কে দেখে লিপেড়েন বলুন তো ! ভাল-রে ভাল ! কে এক কনক দাস এক বাঙালীর মেয়েকে মেম সায়েবের মত ক’রে থাড়া ক’রে কি গল্প লিখেছে—-ত সে-ই জানে ; এথন তার কৈফিয়ং দিতে হবে কনককে ? উদ্যের পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে আর কাকে বলে ? এর চেয়ে যে কথা না-ক ওয়াই ছিল ভাল। কপাল আর চুল দেখেই সময়ট কাটিয়ে দিলে ভাল হ’ত । যে জন্যে কথা কোথায় যাবে, একলাই বা যাওয়া-আসা করে কেন, সে-সব কথা তে। ‘ঘে তিমিরে সেই তিমিরে’ই রইল । মাঝ থেকে কে এক কনক দাসের 'ট্রেনের পথে’র মেম-ভাবাপন্ন নায়িকা নিয়ে তাঁর প্রাণ যায় ! যাহোক কিছু একটা উত্তর না দিলেও নয় । কনক বলল, “সবটাই কি আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞত ? লিখতে বসলে কত কি তো মন থেকে গড়েও নিতে হয় । আর তা ছাড়া বাঙ্গালীর মেয়ের মধ্যে কি আর ইংরেজরমণীস্থলভ কোনো গুণ থাকা এতই আশ্চৰ্য্য ? ধরুন, আপনাকে নিয়েই যদি গল্প লেখা যায় তাহ’লে ঠিক বাঙালী মেয়েদের সেই জড়সর ভাব আর সঙ্কোচ বজায় রখে আপনার চিত্ৰ জাকৃতে গেলে কি তা ঠিক সত্যি হবে ?” নিজের কথা বলবার রুতিত্বে কনক উৎফুন্ন হয়ে উঠল । ঠিক প্রসঙ্গেই তো এসে পড়া গেছে। এইবার তো মেয়েটিকে নিজের সম্বন্ধে এই প্রশ্নের একটা কিছু উত্তর দিতে হবে । চট্‌ করে কথা মনে আসা, চট্‌ করে মাথায় বুদ্ধি খেলা—এই সবই তে হ’ল লেখকদের গুণ ! সে সব গুণই তো কনকের চরিত্রে বর্তমান দেখা যাচ্ছে । ভাই যদিও ঠিক ঐ ট্রেনের পথে গল্পট তার নিজের লেখা নয়, তবু লেখকসুলভ সকল গুণ বৰ্ত্তমান রয়েছে কওয়া,--মেয়েট কে,