পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ষ্টেটাস কথাটি একটি প্রারম্ভিক প্রস্তাবের মধ্যে বসান হউক, তখন সপ্র প্রভৃতির বিরোধিতায় ডাঃ মুঞ্জে প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করিতে বাধ্য হন। এখন ডাঃ মুঞ্জে এবং অপর কয়েক জন "প্রতিনিধি” প্রধান মন্ত্রীকে চিঠি লিথিয়া জানাইয়াছেন, যে, ডোমীনিয়নত্বের কথাটি আগে ধাৰ্য্য হইয়া যাওয়া উচিত । ত্রযুক্ত মুকুন্দরাম রাও জয়কের প্রভৃতি কেহ কেহ বক্তৃতায় বলিয়াছেন, তাহারা আগামী কয়েক সপ্তাহ মধ্যে ডোমানিয়নত্ব সম্বন্ধে স্পষ্ট কোন অঙ্গীকার না পা লে দেশে ফিরিয়া আসিবেন । ঐ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কিন্তু ইংরেজব নিজেদের কাজ হাসিল করিয়া লইবে । তাহার ভারতবৰ্ষ হইতে যাত্রার দলটি এমন বাছিয়া লইয়া গিয়াছে এবং আগা খ। রূপী মূল গায়েনটি এমন বাছিয়াছে, যে, দুচার জন "ছোকরা” চলিয়া আসিলেও তাহাদের উদেশ্ব সিদ্ধির কোন ব্যাঘাত হইবে না । সপু প্রভৃতি র্তাহণদের পক্ষে যথেষ্ট গবম বস্তৃত। করিতেছেন, এবং যুবকদের অসাম্প্রদায়িকত, জাতিভেদের প্রকোপ হ্রাস, মহিলাদের জাগরণ প্রভৃতির সপ্রশংস উল্লেখ করিতেছেন । কিন্তু “চোরা না শুনে পূৰ্ম্মের কাহিনী” । তিনি যাহা বলিতেছেন, তাহা সত্য কথা । তবে কি না, কেবল সত্য যুক্তি প্রয়োগ দ্বারা উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তাহা বহু পূৰ্ব্বেই হইয়। যাই ত । দেশী রাজ্যের রাজার। এই এক ধুয়া তুলিয়াছেন, যে, ব্রিটিশ-শাসিত ভারত এবং দেশী রাজ্যসমূহকে একটি সম্মিলিত রাষ্ট্রে পরিণত করিতে হইবে এবং তাহ ফেডারেগুন দ্বারা করিতে হইবে । ফেডারেশুনে আমাদের আপত্তি নাই । কিন্তু সমগ্রভারতীয় ফেডারেশনটির স্বয়ম্প্রভূত্ব চাই । কিন্তু দেশী নৃপতির বলিতেছেন,তাহাদের নিজের নিজের রাজ্যের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তাহদের এখন যেমন ক্ষমতা আছে পরেও তেমনি থাকা চাই এবং তাহাদের প্রভু থাকিবেন ইংলণ্ডেশ্বর । তাহার মাণে, তাহার এখনকার মত স্বেচ্ছাচারী এবং ইংরেজের অধীন থাকিতে চান এবং তাহাদের প্রজাদের মুখ সুবিধা অধিকার তাহদের মজির উপর নির্ভর করিবে । তাহ مSb----ریاستv বিবিধ প্রসঙ্গ—গোল টেবিল বৈঠক 8૭૧ হইতে পারে না । ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশগুলির লোকদের যে-যে অধিকার আছে ও হইবে, দেশ লোকদেরও সেই সেই অধিকার হওয়৷ চাই। নতুব প্রদেশগুলি ও রাজ্যগুলির মধ্যে সাম্য হইবে না, এবং সাম্য ব্যতিরেকে ফেডারেশুনটা কিভূতকিমাকার হইবে । দেশী রাজ্যসমূহের লোকেরা যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থ৷ চান, তাহা তাহারা তারযোগে বিলাতে যথাস্থানে জানাইয়াছেন । মুসলমান “প্রতিনিধিরা” তাহদের মিঃ জিন্নার ১৪ দফা দাবী বরিয়া বসিয়া আছেন । র্ত্যহাদের মনের ভাব অতি চমৎকার । মুসলমানের যে-যে প্রদেশে সংখ্যাভূয়িষ্ট আছেন, সেখানকার ব্যবস্থাপক সভায় তাহীদের প্রতিনিধির সংখ্য আইন অনুসারে অন্য সকল সম্প্রদায়ের চেয়ে বেশী থাকিবে ; যেখানে তাহারা সংখ্যায় নূ্যন, সেখানে তাহাদের সংখ্যার অনুপাতে প্রতিনিধি যত জন হইতে, পারে, তাহ অপেক্ষ বেশী প্রতিনিধি র্তাহারা চান । সিন্ধু দেশে ও ব্রিটিশ বালুচীস্থানে তাহাদের সংখ্যা বেশী ; সেই জন্য ঐ দুটি অঞ্চলের নিজ নিজ ব্যয় নিৰ্ব্বাহের ক্ষমতা না থাকিলেও ঐ দুটিকে ব্যবস্থাপকসভাবিশিষ্ট প্রদেশে পরিণত করিতে হইবে । উত্তর-পশ্চিম সীমাস্ত প্রদেশে মুসলমানদের সংখ্যা বেশী, অতএব উহাকেও ব্যবস্থাপক সভা আদি দিতে হইবে । অর্থাৎ মুসলমানপ্রধান তিনটি নূতন “প্রদেশ” গড়িতে হইবে, কিন্তু হিন্দুপ্রধান নূতন কোন প্রদেশ গড়া হইবে না । সমগ্রভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় যত সভ্য থাকিবে তাহার এক-তৃতীয়াংশ মুসলমান হওয়া চাই ; যদিও ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষের মুসলমানের উহার সমগ্র লোক-সংখ্যার (২৪,৭০,৭৩,২৯৩এর)এক-চতুর্থাংশেরও কম। ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষ এবং দেশী রাজ্য-সমূহ সম্বলিত সমস্ত দেশটির লোকসংখ্যা ৩১,৮৯,৪২,৪৮০ । তাহার মধ্যে মুসলমান ৬,৮৭,৩৫,২৩৩ । সুতরাং সমস্ত দেশটিতেও মুসলমানের সব অধিবাসীর সমষ্টির এক-চতুর্থাংশের কম। মুসলমানের প্রত্যেক ক্ষেত্রে নিজেদের পক্ষে সুবিধাজনক যুক্তি প্রয়োগ করেন। যে-যে প্রদেশে তাহাদের সংখ্যা বেশী, সেখানে ব্যবস্থাপক সভায় ও সরকারী চাকরীতে রাজ্যের ( ৫,৯৪,৪৪,৩৩১ }