পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] _ബാ নিদিষ্টসংখ্যক ব্যবস্থাপক সভার সভ্য থাকার বন্দোবস্তে রাজী নহেন । তাহা হইলে কয়েকটি প্রদেশে হিন্দু রাজত্ব, কয়েকটিতে মুসলমান রাজত্ব হইতে পারে। কিন্তু প্রকৃত স্বাঞ্জাতিকের তাহী চান না, তাহার যোগ্যতমের দ্বার। দেশশাসন চান,- সেই যোগ্যতমের যে ধৰ্ম্মেরই লোক হউন । ইহাতে মুসলমানের বলিতে পারেন, সমগ্র ভারতবর্ষে হিন্দুর সংখ্যাই বেশী, সুতরাং হিন্দু রাজত্ব হইবেই জানিয় তাহার এই কথা বলিতেছেন । কিন্তু আগে ত হিন্দুর অপেক্ষিক আধিক্য আরও বেশী ছিল, তথাপি মুসলমানের রাজা হইয়াছিলেন। তখন যে-শক্তির জোরে প্রভুত্ব হইয়াছিল, এখন তাহার সুযোগ নাট, কিন্তু অন্য শক্তির সুযোগ আছে । সুতরাং সংখ্যার আধিক্য ও প্রভুত্ব সমার্থক নহে। বাংলা দেশে মুসলমানদের সংখ্যার আধিকা বশতঃ তাহীদের প্রাধান্ত হওয়াব সম্ভাবনা সত্ত্বে ৪ বাঙালী হিন্দুর মুসলমানদের তাগেই সম্প্রদায়িক নিৰ্ব্বাচন চাহিয়া বসে নাই । ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি এই সন্দেহ আছে, যে, অপরেরা প্রাধান্ত পাইলেই ভিন্নধৰ্ম্মীর প্রতি আবিচার ও স্বধৰ্ম্মীর প্রতি পক্ষপাত করিবে । পক্ষপাতিত্ব করা বিষয়ে কোন লোকই কোন দেশে সম্প্রদায়ের একেবারে নিদের্ণয নহেন । আমেরিকাতেও মিঃ য়্যাল স্মিথ রোমান কাথলিক বলিয়া প্রেসিডেণ্ট হইতে পারেন নাই, এবং ইহুদী, নিগ্রো ও রোমান কাথলিকদের উপর অত্যাচার হয় । তথাপি এই শেষোক্ত তিন শ্রেণীর লোকের আমেরিকাকে ফাস, ইংলণ্ড, জামেনী বা অন্য কোন দেশের অধীন দেখিতে চায় না ; তাহারা নিজেদের দেশকে স্বাধীন রাপিয়াই অত্যাচার, অবিচার, পক্ষপাতের বিরুদ্ধে লড়িতে চায় ও লড়িতেছে । ভারতবর্ষেও ইংরেজরা মুসলমানকে এবং ইংরেজকে সমান চক্ষে দেখে না, দেখিতে পারে না । তথাপি মুসলমানর। অনেকেই ইংরেজের অধীনতাকে স্বরাজ অপেক্ষ বেশী পছন্দ করেন । যখন তাহাদের রাজনৈতিক মনোভাব আমেরিকার ইহুদী, রোমান কাথলিক প্রভৃতির মত হইবে, তখন তাহারা নিজেদের ভ্রম বুঝিতে পরিবেন। বিবিধ প্রসঙ্গ—বাঙালী ছাত্রীর কৃতিত্ব SS MMMMMMAAA SAAAAA AAAAMMMAMMAMMAAA SAASAASSAAAAAAMAAASAASAASAASAAASMMMASAMeA AMMAAASAASAASAASAA AAAS 85న পলতার মহালক্ষী কটন মিল দেশী কাপড় ব্যবহার করা সকলেরই কৰ্ত্তব্য । ইহ কয়েক রকমের হইতে পারে ;–চরখায় কাটা স্বত। হইতে দেশী হাতের তাতে বোনা, দেশী কলে উৎপন্ন স্থত হইতে দেশী হাতের তাতে বোন, এবং দেশী কলের স্থত হইতে দেশী কলের তাতে বোন । যদি প্রত্যেক বাড়ীতে চরখায় স্থত কাটা হইত এবং হাতের তাত চলিত, ভাহা হইলে কলের স্বত বা কলের তাতের কোন সাহায্য না লইয়াও দেশের সকল লোকের জন্য কাপড় উৎপন্ন করা যাইত । কিন্তু অবস্থা যখন সেরূপ নহে, তথন কলের সাহায্যও লওয়া উচিত । দেশী কলের কাপড় যত উৎপন্ন ও বিক্ৰী হয়, তাহার অধিকাংশ বোম্বাই প্রদেশের । অনেক প্রদেশেও-যেমন বঙ্গে— কাপড়ের কল স্থাপিত হইতে পারে। বঙ্গে যত কাপড়ের কল হইবে, তাহার কেবল অংশীদার, ডিরেক্টর ও আফিসের কৰ্ম্মচারীর নহে, কারিগরেরাও বাঙালী যে পরিমাণে হইবে সেই পরিমাণে বাঙালীর বেকার সমস্যার সমাধান হইবে, মানসিক উৎকর্য বাড়িবে এবং আত্মসম্মান বদ্ধিত ও রক্ষিত হইবে । এইজন্য আমরা বাংলা দেশে সুপরিচালিত কাপড়ের কলের সংখ্যাবুদ্ধি দেখিতে চাই । সে দিন পলতার মহালক্ষ্মী কটন 1মল দেখিতে গিয়াছিলাম । ইহা এখন বড় নহে, কিন্তু ক্রমশঃ তাতের সংখ্যা বাড়াইয়া বড় করিবার আয়োজন হইতেছে এবং তাহার জায়গা আছে । ছোট হইতে ক্রমশঃ বড় করার সুবিধ। এই যে, কলের পরিচালকগণ বাঙালীদিগকেই শিখাইয়। লইয়। তাহদের দ্বারাহ তাতের ও অন্তবিধ কাজ চালাইয়া লইতে পারিতেছেন। এখন তীতের কাজে নিযুক্ত কারিগরদের মধ্যে দুইজন ছাড়া আর সবাই বাঙালী । কাজ বেশ চলিতেছে এবং কাপড়ও ভালই হইতেছে। অথচ অদ্য বাঙালী ছাত্রীর কৃতিত্ব কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বি এস সি পরীক্ষায় কুমারী উমা বস্থ পরীক্ষণমূলক মনোবিজ্ঞানে প্রথম