পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88२ খারাপ হইয়াছে। অথচ তাহাকে পঞ্জাবের জেল হইতে র্তাহার নিজের জন্মভূমি গুজরাটের কোন জেলে না পাঠাইয়া মুদুর কোইম্বার্টুর জেলে পাঠান হইয়াছে। তিনি এত দুৰ্ব্বল হইয়াছেন, যে, কোইম্বাচুরে তাহাকে রেলগাড়ী হইতে চেয়ারে করিয়া নামাইতে হইয়াছিল। তাহাকে জেল হইতে থালাস দিলেই ভাল হয়। তাহা সরকার বাহাদুরের অভিপ্রেত না হইলে, তাহাকে গুজরাটের স্বাস্থ্যকর কোন স্থানের জেলে রাখিয়া তাহার মনোনীত কোন চিকিৎসকের চিকিৎসার অধীনে রাখা উচিত। নিদিষ্ট কালের জন্ত তাহার স্বাধীনত থাকিবে না র্তাহার কারাদণ্ডের ইহাই আইনসঙ্গত অর্থ ও উদেখ, র্তাহার আয়ুহাস উহার আইনসঙ্গত উদ্দেশু নহে। জেলে পণ্ডিত মোতীলাল নেহরুর স্বাস্থ্য অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় তাহাকে ছাড়িয়া দিতে হইয়াছে। তিনি এখনও সুস্থ হন নাই। শীঘ্ৰ তাহার শরীর নিরাময় হউক ভারতীয় জনসাধারণ এই ইচ্ছা করিতেছেন। নৈনি জেলে পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয়ের জর হইয়াছিল । তিনি এখনও দুৰ্ব্বল আছেন । গান্ধীজীর ওজন কমিয়া গিয়াছে । অন্য অনেক নেতা ও অমস্থ । সকলে সুস্থদেহে জেলের বহিরে স্বাধীন ভারতে নিজ নিজ জীবনের কার্য্য করিতে পারিলে আনন্দের বিষয় হইবে। নারাহরণ দমনার্থ সরকারী চেষ্টা গত ২৭শে মাচ্চ পুলিসের এসিষ্টেণ্ট ইনস্পেক্টর জেনার্যাল বঙ্গের সমুদয় রেঞ্জ বা চক্রের ডেপুটী ইন্‌স্পেক্টর জেনার্যালদিগকে নারীর উপর অত্যাচার সম্বন্ধে একটি চিঠি লিখিয়াছেন। তাহাতে লেখা হইয়াছে, “কিছুকাল হইতে এই বিষয়ে সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে অনেক আলোচনা ও মতপ্রকাশ হইয়া আসিতেছে। এইরূপ কথা বলা হইয়াছে, যে, পুলিস নারীনিগ্রহের অভিযোগে যথাযোগ্য তদন্ত করে না । গবন্মেটি বিবেচনা করেন, যে, হিন্দু মুসলমান যে-কোন লোক এরূপ অপরাধ করে, তাহার শাস্তির জন্ত সৰ্ব্বপ্রকার চেষ্টা করিতে হইবে । অতএব প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড আমি আপনাদিগকে এই অনুরোধ করিতেছি যে, আপনি আপনার অধীন পুলিস সুপারিন্টেণ্ডেণ্টদিগের মনে এই ধারণ জন্মাইয়া দিবেন যে, এই শ্রেণীর ঘটনা গুরুতর মনে করা আবশ্যক । তাহাদিগকে এই রকম মোকদম সম্বন্ধে বিশেষ নোট রাখিতে বলিবেন । র্তাহারা দেখিবেন যেন সার্কেল ইনস্পেক্টরদিগের সাক্ষাৎ তত্ত্বাবধানে এগুলার তদন্ত হয়। এরূপ কোন মোকদ্দমায় আসামীদের শাস্তি ন হইলে সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট তাহার বিস্তারিত রিপোর্ট আপনাদের নিকট পাঠাইবেন , আপনারা আপনাদের মন্তব্যসমেত তাহা ইনস্পেক্টর-জেনার্যালের অবগতির জন্য পাঠাইবেন । তিনি আরও এই ইচ্ছা করেন, যে, আপনার জেলা ও মহকুমার পরিদর্শনবিষয়ক নোটসমূহে নারীহরণ সম্বন্ধে সংক্ষেপে আপনাদের মত প্রকাশ করিবেন, এবং ঐ রকম মোকদ্দমার হ্রাস বা বৃদ্ধি, ফলাফল, জেলা ও মহকুমার লোকসংখ্যা, লোকসংখ্যার কত অংশ হিন্দু ও মুসলমান, তাহদের সংখ্যার শতকরা কতজন ঐরূপ অপরাধ করে, ইত্যাদি তথ্য লিখিবেন । ঐ রূপ মোকদ্দমার তদন্তে পুলিসের কোন ঔদাসীন্য বা দোষ আপনাদের গোচর হইলে তৎসম্বন্ধেও মন্তব্য প্রকাশ করিবেন ।” এই চিঠিটি প্রায় নয় মাস পূৰ্ব্বে লেখা হইয়াছে । চিঠিটি অনুসারে কাজ হইলে সুফল হইবারই কথা । চিঠিটি লিখিত হইবার আগে এবং পরে বঙ্গে নারীহরণ ও তাহার অভিযোগ কত মাসের মধ্যে কত হইয়াছে, কত মোকদ্দমায় আসামীদের দণ্ড হইয়াছে বা হয় নাই, ইত্যাদি তথ্য জানিতে পারিলে, উহা ফলপ্রদ হইয়াছে কি ন বুঝা যাইবে । এই রকম অপরাধ হিন্দুরা বেশী করে, ন মুসলমানের বেশী করে, তাহা জানা অপেক্ষা ইহা দমন করাই বেশী আবখ্যক । কাহার বেশী বদমায়েস, তাহ জানিবার বেশী চেষ্টা করিলে, কোন কোন কৰ্ম্মচারী এক শ্রেণীর লোকদের বিরুদ্ধে মোকদমাগুলিতে অবহেলা করিতে পারে, কোন কোন কৰ্ম্মচারী বা অন্ত শ্রেণীর আসামী সম্বন্ধে ঐরুপ অবহেলা করিতে পারে। অতএব, শ্রেণীবিভাগ ও শ্রেণী অনুসারে সংখ্যা নির্ণয়ের দিকে বেশী