পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] লাগল। সীতাকুণ্ড মুঙ্গের থেকে পাচ মাইল দূরে । মাত্র তিন মাইল এসেছি, দেখি গাড়ীর সঙ্গে ছুটুতে ছুটতে আসছে দুটি লোক,--তারা পাণ্ড । আমরা তীর্থ করতে যাচ্ছি না, মৃতরাং বিশেষ কিছু প্রাপ্য নেই জেনেও তাদের ছোটার বিরাম নেই । তখন অগত্য একজনকে আমাদের গাড়ীর পিছনে বসতে বললাম। সীতাকুণ্ডে গাড়ী এসে দাড়াতেই সে-ই অগ্রগামী হয়ে আমাদের নিয়ে চলল। চারিধারে ইঁট দিয়ে বাধীন লোহার রেলিঙে ঘেরা দড়িলাম। কুণ্ডের আয়তন ষোল সতের বর্গফুট-জল বেশ স্বচ্ছ ও পরিস্কার । কুণ্ডের অনেক জায়গাতেই তল। থেকে বৃদ্ধ উঠে ওপরে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে : সীতাকুণ্ডের সামনে এসে &g *ঠার বিবাম নেই । যেন বুদ্ধ,দৃ গুলি একসঙ্গে গাথা- একটা নিদিষ্ট সময়ের অবসালে কে যেন একটি একটি ক’বে তাদের ছেড়ে নিচ্ছে । দেখতে দেখতে আরও কত -- জায়গায় বুদ্ধ, উঠতে লাগল। পদের দু-এক আবার দাড়াতে ই উত্তা / অল্প ভব করলাম, জলে অ{ঙ ল ডুবিয়ে বোঝা গেল ধে জল বেশ গরম । ধাত্রীর ...ক হই এ জলে স্বান করে না, স্পশ করেই ক্ষান্ত হ’তে হয়। পূৰ্ব্বে একবার একজন ইংরেজ সৈনিক বাজি রেখে এই কুণ্ড সাতার দিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় এবং তার মৃত্যু হয় । জলের উত্তাপ কিন্তু সব সময়ে সমান থাকে না ; গ্রীষ্মের প্রারম্ভ হ’তে উত্তাপ কমতে থাকে, বর্ষার সময় উত্তাপ সবচেয়ে বেশী হয় । এই কুণ্ডের অল্পদুরেই আরও দুই-তিনটি উষ্ণ প্রশ্ৰবণ আছে। fয়শ বৎসর পূৰ্ব্বে এই সীতাকুণ্ডের একশ’ গজ দূরে একট। উষ্ণ প্রস্রবণের সন্ধান পাওয়া যায় ; তদানীন্তন কলেক্টার ফিলিপ সাহেবের নামাতুসারে এর নাম হয়েছে ফিলিপ কুণ্ড । কেলনার কোম্পানী এর জল নিয়ে সোডাঙয়াটার ও লেমনেড তৈরি করেন। এই কুণ্ডগুলি একই সরলরেখায় অবস্থিত এবং এরা একই প্রশ্ৰবণের স্থির ক’য়ে গেল । কুণ্ডের উপরের 2 স িছুড়ে পার হয়েছিল, তখনই সেখালেই মুঙ্গের দুর্গ

  • Wanderings of a Pilgrim, by Fanny Parks.

8ፃ » অংশ বলে অনুমিত হয় । সীতাকুণ্ডের ঘের জায়গার মধ্যে আরও চারটি কুণ্ড আছে ; তাদের নাম যথাক্রমে— রামকুণ্ড, লক্ষ্মণকুণ্ড, ভরতকুগু ও শক্রম্নকুণ্ড । অপরিস্কার এবং প্রস্রবণের কোনো লক্ষণই নেই । ফিরবার সময় গাড়ী পীরপাহাড়ের পথ ধরল। কিছু পথ যেতেই দূরে এক পাহাড়ের ওপর ছবির মত একট। সুন্দর বাড়ী চোখে পড়ল। চারিদিকে সমতলক্ষেত্রমাঝখানে মাথায় এক সুন্দর মুকুট পরে দাড়িয়ে আছে পীরপাহাড় । যে পীরের নামানুসারে এই পাহাড়ের নাম, তার নাম কেউ জানে না ; কেবল আছে তার এক সমাধি-মন্দির ঐ পাহাড়েরই মন্দিরের তলায় বৎসরে একদিন বহুলোক সমবেত হয়ে । তাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে যায়, একটা মেলাও বসে । পাহাড়ের তাদের জল ওপর । সেই তলায় এসে গাড়ী থেকে নামতেই সামনে দেখ গেল একটা সমাধি—মনে হ’ল কোনো মুসলমানের, কিন্তু সেট। একজন কাশ্মীরী মহিলার সমাধি । তানি বেকেট র্তার স্বামী কাপ্তেম বেকেটের সঙ্গে এই পীরপাহাড়ে শ্ৰমত্তা তিনি ঘোড়ায় চড়ে কখনও একলা পাশের গ্রামে একদিন রাস্তায় তিনি গ্রামবাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান i+ বাস করতেন । কখনও স্বামীর সঙ্গে, বেড়াতে যেতেন ! পথ ধরে আমরা ওপরে চললাম। তিন দিকে শস্যশুiামল ক্ষেত্রের ওপর সুয্যের শেযরশ্মি পড়ে তাদের সুন্দর করে তুলেছে । গাছের ঝোপের মধ্যে দিয়ে কোথাও ছোট ছোট কুঁড়েঘর গ্রামের নিদর্শনস্বরূপ দেখা যাচ্ছে । অপরদিকে প্রশাস্তসলিল ভাগীরথী ; তার বহুদূরব্যাপী তীরভূমি পাহাড়ের তলায় এসে ঠেকেছে । মনোরম স্থানে এই বাড়ীটি নিৰ্ম্মাণ ক’রে সেনাপতি গুরগন থা তার কবিদ্যুষ্টিরও পরিচয় দিয়েছেন । বহুদিন ধরে এই বাড়ীই বিহারের Belvedere ছিল । সেনাপতি ও বড় বড় কৰ্ম্মচারী কেউ এলে এই বাড়ীতেই তাকে ভোজ দেওয়া হ’ত । ভোজের আসরে সেনাপতি গুরগন থার এইখানে ব’সে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ইংরেজের 으

  • Bengal : Past and Present, Wol. VI.