পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(૧8 লাঠি উচাইয়া দাড়াইয়া আছে। কিন্তু বস্তুত: সমর্থকদের সংখ্যা পচাত্তরও নহে। কারণ একটি সংশোধক প্রস্তাব হইয়াছিল, তাহার সমর্থকদিগকে বাদ দিতে হইবে । সমগ্র-এশিয়া শিক্ষা কনফারেন্স কাশীতে সমগ্র-এশিয়া শিক্ষা কনফারেন্সের প্রথম অধিবেশন হয়। এরূপ একটি কন্‌ফারেন্সের আইডিয়া যাহার বা যাহাঁদের মাথায় আসিয়াছিল, তাহার প্রশংসা ; কিন্তু ইহার উদ্যোক্তারা যথোচিত বন্দোবস্ত করিতে পারেন নাই। কেন-না, এশিয়ার অধিকাংশ দেশ হইতে কোন প্রতিনিধি আসেন নাই, সামান্য দুই এক জন লোক চীন ও জাপান হইতে আসিয়াছিলেন, এবং ভারতবর্ষেরও সব প্রদেশ হইতে যথেষ্টসংখ্যক শিক্ষক ও অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের নেতৃস্থানীয় বহু অধ্যাপক কনফারেন্সে যান নাই—যদিও এলাহাবাদ হইতে অধ্যাপক মেঘনাদ সাহার মত প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক গিয়াছিলেন । উদ্যোক্তারা যদি এমন কোন ভারতীয়ের নামে এশিয়ার সব দেশে নিমন্ত্রণ পাঠাইতেন, র্যাহার নাম ভারতবর্ষের বাহিরেও স্বপরিচিত, তাহ হইলে ফল ভাল হইতে পারিত। তাহা না করিয়া তাহারা এমন এক জন লোককে সম্পাদক করিয়াছিলেন যিনি দক্ষ শিক্ষক হইলেও যাহার নাম র্তাহার প্রদেশের বাহিরে প্রসিদ্ধ নহে । প্রথমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সভাপতি করিবার প্রস্তাব হয়, কিন্তু যখন টেলিগ্রাম করিয়া জানা গেল যে, তিনি ডিসেম্বরে দেশে ফিরিবেন না, তখন জগদীশচন্দ্র বস্নকে অন্তরোধ করা হয়। তিনি রাজী না হওয়ায় ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের স্বাস্থ্য কেমন আছে সন্ধান লওয়া হয়। তাহাকেও না পাওয়ায় অধ্যাপক রাধাকৃষ্ণনকে সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করা হয়। তিনি বাগিতার সহিত মৌখিক একটি সুন্দর বক্তৃতা করিয়াছিলেন, বিলম্বে নিৰ্ব্বাচিত হওয়ায় অভিভাষণ লিখিবার সময় তিনি পান নাই। সমগ্র-এশিয়ার কনফারেন্স আইডিয়াটি যত বড়, $4. প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ { ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড জিনিষটি কাজে সেরূপ হয় নাই। এমন একটি বড় যোগ ও আইডিয়ার ক্ষুদ্র পরিণতি দুঃখের বিষয় । কনফারেন্সটি যে আশানুরূপ হয় নাই, যোগ্য লোকদের এরূপ মত অধ্যাপক রাধাকৃষ্ণম্ পড়িয়ছি ও শুনিয়াছি। এ বিষয়ে একটি ਨਿਠਿੰ হইতেও কিছু উদ্ধৃত করিব চিঠিখানি বা তাহার কোন অংশ ছাপিবার জন্য লিখিত হয় নাই । যিনি লিথিয়াছেন, তাহার অনুমতি না লইয়াই কোন কোন কথা উদ্ধৃত করিতেছি । ইহাও বলা দরকার, তিনি প্রতিনিধি হইয়। কাশী যান নাই, প্রতিনিধি হইবার ইচ্ছাও তাহার ছিল না ।

  • ಏಕ್ಶ এশিয় টক কনফারেন্স আমাদের ভাল লাগে নি। জিনিষটা আসলে যত বড় তেমন কিছুই হয় নি। অল-এশিয়াটিক কিছু হচ্ছে বলে বোধই হচ্ছিল না । ইন্টেলেকচুয়েল দিক থেকে কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না,” প্রদর্শনীতে দেখবার বিশেষ কিছুই ছিল না । আমরা প্রদর্শনী দেখে নিরাশ হয়েছি। শুধু চীন থেকে