বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હમારે প্রবালী-মাঘ, ১৩৩৭ ७०* उ१, २ों ५8 ইহা বলিলেও সত্য হইবে না, যে, বাঙালী হিন্দুরা লোকহিতকর ঘাহা কিছু করিয়াছে তাহ বাঙালী মুসলমানদের হিতচিন্তা মনে রাখিয়া করিয়াছে। কিন্তু মৌলবী মুহম্মদ য়াসীন, যে, বলিয়াছেন, যে, "হিন্দুর আমাদের শত্রু নহে, কিন্তু আমাদের শ্রেষ্ঠ বন্ধু,” ইহ। কাৰ্য্যতঃ সত্য কথা। তিনি তুর্ভিক্ষ, বন্য, মহামারী প্রভৃতির সময় হিন্দু দাতাদের ও কৰ্ম্মীদের জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে হিতকৰ্ম্মের দৃষ্টাস্তের দ্বারা নিজের উক্তির সমর্থন করিয়াছেন। বাঙালী হিন্দুরা দেশে শিক্ষাবিস্তার ও জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য যত প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অর্থ দান করিয়াছেন, অধিকাংশ স্থলেই তাহা অসাম্প্রদায়িক ভাবে করা হইয়াছে এবং সকল সম্প্রদায়ের লোক তাহা হইতে উপকার পায় ও পাইতে পারে। মুসলমানদিগকে গঞ্জনা দিবার জন্য আমরা কিছু ধলা অচুচিত মনে করি। কিন্তু তাহাদিগকে ইহা স্মরণ করাইয় দেওয়া দরকার, যে, কাৰ্য্যগত অসাম্প্রদায়িকত ও পরার্থপরতায় বাঙালী হিন্দুদের দৃষ্টাস্তের অনুসরণ ও অনুকরণ র্তাহারা করিলে সমগ্র বাঙালী জাতির ও র্তাহাদের উপকার হুইবে । مطمصمس للم মুসলমান বাঙালীদের একটি হিতকর চেষ্টা কয়েক বৎসর হইল মুসলমান বাঙালীর দুর্ভিক্ষাদিতে ধিপন্ন মুসলমানদের সাহায্য করিবার চেষ্টা করিতেছেন। ইহ প্রশংসনীয়। ফরিদপুরে দুর্ভিক্ষের সাহায্যার্থ যে কেন্দ্রীয় খাদেমূ-উল-ইন্সান সমিতি” ( কেন্দ্রীয় নিখিলমানবসেবক সমিতি) প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, তাহ। জাতিধৰ্ম্মনিধিশেষে সকল বিপন্ন নরনারীর সাহায্য করিম থাকেন। ইহা অারও অধিক প্রশংসনীয়। খবরের কাগজে দেখিতেছিলাম, করটিয়াতে মুসলমান ও হিন্দু সভ্য লইয়া গঠিত এইরূপ অন্ত একটি সমিতি কাৰ্য্য করিতেছে । হিন্দুসভার প্রতি বঙ্গীয় হিন্দুদের কর্তব্য (গণ্ড)গোল টেবিল বৈঠকের কতকগুলি হিন্দু সভ্যের প্রকাগু সন্মতি বা গুপ্ত সায় ক্রমে বঙ্গের হিন্দু মুসলমানদের প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন সম্বন্ধে মতভেদের মীমাংসা করিবার ভার সাম্প্রদায়িকতাগ্রস্ত আগা খার হাতে দেওয়া হইতে যাইতেছিল। উক্ত হিন্দু সভ্যেরা গণতান্ত্রিক রীতির বিরুদ্ধ ও জাতীয় একতা বৃদ্ধির পরিপন্থী পৃথক্ নিববর্ণচন এবং মুসলমান বাঙালীদিগকে ব্যবস্থাপক সভায় স্থায়ীভাবে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক প্রতিনিধি দানে সম্মত হইতে যাইতেছিলেন। এই দুই অনিষ্টাশঙ্কার বিরুদ্ধে বঙ্গের কংগ্রেসেরলোকের বিলাতে কোন প্রতিবাদ টেলিগ্রাফ করেন নাই, তাহারা কোন প্রতিবাদ সভার আয়োজনও করেন নাই ; যে-হেতু তাহারা (গণ্ড)গোল টেবিল বৈঠক সম্বন্ধে উদাসীন থাকিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু অনিষ্ট সম্ভাবনায় বাধা দেওয়া কাহারও-না-কাহার ও ত কৰ্ত্তব্য । সেই কৰ্ত্তব্য বঙ্গের হিন্দুসভার কৰ্ম্মীরা পালন করিয়া প্রকৃত ন্যাশন্তালিষ্টের অর্থাৎ স্বাঞ্জাতিকের কাজ করিয়াছেন । প্রতিবাদের টেলিগ্রাম প্রেরণ, প্রতিবাদ সভা আহবান, প্রভৃতি র্তাহাদের উদ্যোগেই হইয়াছে । ইহার দ্বারা তাহার হিন্দুদেরই কল্যাণ করিয়াছেন, এমন নয় ; গণতান্ত্রিক রীতি এবং প্রকৃত ন্যাশন্যালিজমের ( স্বাঙ্গতিকতা বা জাতীয়তার ) রক্ষার সাহায্যও ইহার দ্বারা হইয়াছে । বঙ্গের হিসন্দুভা বঙ্গের কল্যাণের জন্ত আরও অনেক কাজ করিয়া থাকেন। অথচ লজ্জা ও দুঃখের বিষয় এই, যে, ইহার চাদাদাত বাঙালী সভে্যুর সংখ্যাখুব কম। এতদিন ইহার কাজ কতিপয় মাড়োয়ারী বণিকের সাহায্যে চলিয়া আসিতেছিল । ব্যবসাতে মন্দা পড়ায় সে সাহায্য আর পাওয়া যাইতেছে না। হিন্দু বাঙালীদের হিন্দুলভার সভ্য হওয়া এবং টাদা দেওয়া কৰ্ত্তব্য । বঙ্গের শক্তিহীনতার কারণ খাঙালীয়া লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন, বাংলা দেশের লোকসংখ্যা অন্য সব প্রদেশের চেয়ে বেশী হইলেও অনেক