পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] „ ador that Turcmenistam, being on à very low level of civilization, has preserved a good many oustoms of the distant past. However, the recent laws, passed in order to combat the selling of women into marriage and child marriages, had produced the desired effect.” তুর্কমেনিস্তানের মত মরুপ্রদেশে ছয় বৎসরের মধ্যে আপাতত ১৩০টা হাসপাতাল স্থাপন ক’রে এর লজ্জ পায়—এমনতর লজ্জা দেখা আমাদের অভ্যাস নেই ব'লে বড় আশ্চর্য্য বোধ হ’ল । আমাদের ভাগাদোষে বিস্তর ডিফিকন্টিজ দেখতে পেলুম, সেগুলো নড়ে বসবার কোনে লক্ষণ দেখায় না তাও দেখলুম, কিন্তু বিশেষ লজ্জা দেখতে পাইনে কেন ? সত্যি কথা বলি, ইতিপূৰ্ব্বে আমারও মনে দেশের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে আশা করবার মত সাহস চলে গিয়েছিল । খৃষ্টান পাদ্রীর মত আমিও ডিফিকা স্টজের দেখে স্তম্ভিত হয়েচি—মলে মানুষ, এত বিচিত্র জাতের হিসাব মনে বলেচি, এত বিচিত্র জাতের মুখতা এত পরস্পরবিরুদ্ধ ধৰ্ম্ম, কি জানি কতকাল লাগবে । স্বামীদের ক্লেশের বোঝ, আমাদের কলুষের আবর্জন নড়াতে : সাইমন কমিশনের ফসল যে আবহাওয়ায় ফলেচে, স্বদেশ সম্বন্ধে আমার প্রত্যাশীর ভীরুতা সেক্ট আবহাওয়ারই । সোভিয়েট রাশিয়াতে এসে দেখলুম এখানকার উন্নতির ঘড়ি আমাদেরই মত বন্ধ ছিল, অন্তত জনসাধারণের ঘরে---কিন্তু বহু শত বছরের অচল ঘড়িতেও আট দশ বছর দম লাগাতেই দিব্যি চলতে লেগেচে । এতদিন পরে বুঝতে পেরেচি আমাদের ঘড়িও চলতে পারত কিন্তু দম দেওয়া হ’ল না । ডিফিকলটিজের মন্ত্র আওড়ানোতে এখন থেকে আর বিশ্বাস করতে পারব না। এইবার বুলেটিন থেকে দুটি একটি অংশ উদ্ধৃত করে চিঠি শেষ করব :– ... “The imperialist policy of the Czarist generals. ಸಿಸ್ನಿ'ಘಿ'iಸಿ? ಸ್ಟ್ಗPPY V maಿಗ * মনে আছে অনেক কাল হ’ল, পরলোকগত অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় একদা রেশম-গুটির চাষ প্রচলন সম্বন্ধে রাশিয়া সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের পত্রাবলী AMAeAMMMASAMMAAASAAAAASAAAA &ఫి( উৎসাহী ছিলেন। তারই পরামর্শ নিয়ে আমিও রেশমগুটির চাষ প্রবর্তনের চেষ্টায় নিযুক্ত ছিলুম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, রেশমগুটির চাষে তিনি মাঞ্জিষ্ট্রেীয় কাছ থেকে যথেষ্ট আহ্লকুল্য পেয়েছিলেন । কিন্তু যতবার এই গুটি থেকে স্বতো ও স্বতো থেকে কাপড় বোন৷ চাষীদের মধ্যে চলতি করবার ইচ্ছা করেচেন ততবারই ম্যাঞ্জিষ্ট্রেট দিয়েছেন বাধা । “The agents of the Czar's Government were ruthlessly carrying out the principle of ‘i)ivide and Rule' and did all in their power to sow hatred and discord between the various races. National animosities were fostered by the Government and Muhammedans and Armenians were systmatically incited against each other. The ever-recurring conflicts between the-e two nations at times assumed the form of massacres.” হাসপাতালের সংখ্যাল্পতা নিয়ে বুলেটিন-লেখক লজ্জা, স্বীকার করেচেন বটে, কিন্তু একটা বিষয়ে গৌরব প্রকাশ না ক’রে থাকতে পারেন নি – “It is an undoubted fact, which even the worst enemies of the Soviets cannot deny : for the last eight years the peace between the races of Azerbaijan has never been disturbed.” ভারতবর্যের রাজত্বে লজ প্রকাশের চলন নেই, গৌরব প্রকাশেরও রাস্ত দেখা যায় না। এই লজ্জা স্বীকারের উপলক্ষ্যে একটা কথ। পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার। বুলেটিনে আছে সমস্ত তুর্কমেনিস্তানে শিক্ষার জন্য জন-পিছু পাচ, রুবল খরচ হয়ে থাকে। রুবলের মূল্য আমাদের টাকার হিসাবে আড়াই টাক। পাচ রুবল বলতে বোঝায় সাড়ে বার টাকা । এই বাবদ কর আদায়ের কোনো একটা ব্যবস্থা হয়ত আছে,কিন্তু সেই কর আদায় উপলক্ষ্যে প্রজাদের নিজেদের মধ্যে আত্মবিরোধ ঘটিয়ে দেবার কোনো আশঙ্কা নিশ্চয় স্থষ্টি করা হয় নি। ইতি ৮ই অক্টোবর ১৯৩০ । [ ঐযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ করকে লিখিত ] কল্যাণীয়েষ্ণু, so. স্বরেন, তুর্কেমেনদের কথা পূৰ্বেই বলেচি, মরুভূমিবালী তার, দশ লক্ষ মাহষ । এই চিঠি ত{য়ই পরিশিষ্ট ।