পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAMSAAAA ওসব অলক্ষুণে কথা কেন মনে করিয়ে দাও । ত৷ হ’লে আর বাইরে বেরিয়ে পড়েছ কি দুঃখে ! দেখছি প্রতিপদট। সেই অগস্ত্যেরই একচেটে ছিল। কতবার তো প্রতিপদ দেখে বেরুলুম,—ফি-বারেই কি ফিরতে হয় !” একজন সেবায়েৎ বললে, “বাবুজি, যার যে কামনা আছে চাইলে লিন, সঙ্কট থাকে তে ছুটিয়ে লিন। হামি দরোয়াজ খুলিয়ে দিচ্চি ” দরজা খোলবার অাগেই দালানে সব ভক্তিভরে গড়াগড় সাষ্টাঙ্গ হলেন... শ্ৰীকণ্ঠ বললে, “বাবা সবই জানে—তবু বলা ভাল— অধিকন্তু ন দোষায়। কুক্ষণে কুমীরে পেয়েছিল বাবা, দেড় টাকা মাইনে বাড়লে দেখে, কুমীরের চামড়ার সেই স্কটকেট ৫৭ টাকায় নিয়ে ফেললুম। সাত টাকা ফেলেও দিয়েছি, তবু বেটার তাগাদা মেটে না ! তেত্রিশ টাকা মাইনের আর দিলে জরদা, চা-সিগারেট ছাড়তে হয় বাবা। আপনিই বলুন, তাতে ভদ্রসমাজে থাকা যায় ? সোনার বোতাম জন্মের মত বাধা দিয়েছি ! এই কট দিনের জন্যে পরে আসবো ব’লে একবার চাইলুম, ছোটলোক দিলে না। সে স্কটকেস পড়েই রয়েছে বাবা-আরশোলা আর ইদুরে ওপরটা এমন দাগি করে দিয়েছে, সেদিকে আর চাইতে পারি না। তার মধ্যে কেবল ক্লারিওনেটটি পড়ে আছে । তাতে ফু দিলেই সাতাশ টাকা পাওনার সুর শুনিয়ে শিউরে দেয়। একটা উপায় করে দাও বাবা, পাওনাদার বেটার। আর না খেচকায়। কবে নোটিশ দেবে,—সৰ্ব্বদাই সশঙ্ক থাকি । কানাড়া বাজাতে গিয়ে কখন পূরবীতে এসে পড়ি ! এমনি মনের অবস্থা,—সে তো তুমি জানচই। এই দেখ না বাবা-ভস্ত্রসমাজে যখন যা ঢেউ ওঠে, ভদ্ৰলোকের ছেলে—ত তো করতেই হয়। আসবার সময় ১১ টাকায় এই এক জোড়া নিতেই হ’ল –ওই পাহারাওলারা যা পায়ে দেয় তারিরই এই শীর্ণ সংস্করণ–একটু চাচা-ছোল৷ ” • * স্বরেশ প্রার্থনা জানালে, “তুমি আর কি-না জানো প্রভু, কোনটাই বা জানাবো, তিন-তিনটে রাস্তা ছাড়তে বিচিত্র SAM ASASAMAAASA SAAAASJJSJJAJSAMAMAMSMS 9 ہوا \ হয়েছে বাবা । যাদের দোকালে চুল ছাটতুম—কেউ সতের টাকা পাবে, কেউ আট, কেউ ছ’ টাকা । এই দেথ না চুলের অবস্থাটা ; শশে নাপতেতে আবার রিভার্ট করতে হয়েছে, দেখচো তো বেটা কি ক’রে দিয়েছে! হেজেলিন কবে ফুরিয়ে গিয়েছে—শিশি ধুয়ে দাড়িতে বুলিয়ে মনে শাস্তি আনতে হয়। অধিক কি বলবো বাবা, ভিনাসের ছবিখানা কিনে বাধাতে পারিনি , আট টাকা চায় । এক মাস সিগারেট খাইয়ে এক নতুন ইয়ং দোকানদারের দয়ায় বঁধিয়ে, ঘরে টাঙিয়েছিলুম। একদিন গিয়ে দেখি–খোলার চাল চুইয়ে, ময়লা জল পড়ে তার মহিমা মাটি করে দিয়েছে। অশিক্ষিত পরিবারের ফোস কত,—ছবি এসে পৰ্য্যস্ত ওপর দিকে চাইতেন না । দেশে আর্টের তো এই কদর ! সে দেশের কি ভালাই আছে ? সে মরুকগে, এখন কৃপা ক’রে অবৈধ রাস্তাগুলোর ব্যবস্থা ক’রে—অবাধ করে দাও বাবা । তোমার পক্ষে কিছুই কঠিন নয়। প্রয়াগে যাচ্ছি—পাচটা মাথা যেন মুড়তে পারি।” বিনয় সবিনয়ে জানালে, “ঠিক বলচি বাবা, তুমি না রাখলে দেশে ফিরতে পারব না। আজ ছ’ বছর হ’ল পত্নীর হার-ছড়া বাধা দিয়ে ফটো-ক্যামেরা কিনি । সতীশের মুণ্ডে দাৰ্জিলিং যাবার স্ববিধে হ’ল কি-না ; পাড়াগোঁয়ের মত "উইদাউট ক্যামেরা’ যাওয়াও তো যায় না ! ভদ্রোচিত একটা স্কটও বানাতে হ’ল,--সত্তর দিতে হবে, হোম-স্পান কি-না ! —“টাইগার হিলে ষ্ট্যাগু বসিয়ে ফোকাস ঠিক করছি, এমন সময় এক দমকা হাওয়ায় ক্যামেরা গেল খডেড । হার তে গিয়েই ছিল,—ক্যামেরাও গেল। তুমি তো দেখেই থাকবে। আমাকে কেন বাঘের পেটে দিলে না বাবা ! সেই তো বাঘিনীতে খাবে! এখন শরণাগতের উপায় করে দাও বাবা, বাড়ীতে ঢোকবার জো নেই।” রমেশ তার আবিষ্কার সম্বন্ধে জানালে ও মানত করলে । অর্থাৎ এ কাজে কেউ ক্ষম গেলেন না। সকলকে হারিয়ে দিলেন সোনালীবাবু, যেহেতু তিনি উঠে ক্টোচার খুটে বার-বার চোখ মুছলেন । দেখে সকলে