পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SA SAASAASAASAASAAAS দাসীয় মত পুরুষের সেবা করিবে ইহাই সে ধরিয়া লইয়াছিল। কিন্তু ঘরে মা-বোনের যে রূপ সে দেখিয়াছে, এই মেয়েটির রূপ তাহ হইতে অনেকখানিই বিভিন্ন । এ যেন পুরুষের সমকক্ষ, এ যদি কাহারও সেবা করে তাহা অনুগ্রহ করিয়া করিবে, অবনত হইয়া নহে । ইহাকে মাথা ইেট করাইবার, কাদাইবার ইচ্ছাও যেন অনঙ্গের মনে ক্রমে জাগিয়া উঠিতেছিল, অবশ্ব সে বিষয়ে সে সচেতন ছিল না । সন্তোষের কল্যাণে শীঘ্রই তাহার আলাপ করিবার সুযোগ জুটিয়া গেল । সকাল বেলা চা খাওয়া শেষ করিয়া সে সবে বেড়াইতে বাহির হইবার জোগাড় করিতেছে, এমন সময় সস্তোষ ছুটিয়া আসিয়া তাহার ঘরে ঢুকিল । বলিল, “অনঙ্গবাবু, আজ বিকাল চারটায় আমাদের ওখানে চা খাবেন, বেরিয়ে যাবেন না কিন্তু ” মনে মনে অত্যন্ত খুশী হইয়া, মুখে একটু ঔদাসীন্তের ভাব আনিবার চেষ্টা করিয়৷ অনঙ্গ জিজ্ঞাসা করিল, “কেন আজ তোমাদের ওখানে কি ?” সন্তোষ বলিল, “আমার জন্মদিন আজ । কলকাতায় থাকৃতে আমার সব বন্ধুদের নেমস্তন্ন করি, এখানে ত আপনি আর বন্ধুদা ছাড়া আর কেউ বন্ধু নেই, তাই আপনাদেরই নেমস্তন্ন করছি।” অনঙ্গ বলিল, “আচ্ছা যাব,” বলিয়া সে বাহির হইয়৷ গেল। মনটা তাহার আনন্দ আর উত্তেজনায় কানায় কানায় ভরিয়াছিল। আজ হয়ত মৈত্রেয়ীর সহিত আলাপ হইবে, সে কি অনঙ্গের চেহারায়, মার্জিত কথাবাৰ্ত্তায় আকৃষ্ট হইবে না ? তাহার হয়ত অনেক ছেলের সঙ্গে আলাপ আছে, অনঙ্গকে হয়ত বিশেষ ভাল কিছু লাগিবে না। তবু অনঙ্গ চমক লাগাইবার যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে। তাহার চেহারাটা অন্ততঃ সাধারণ বাঙালী যুবক অপেক্ষ অনেকটাই ভাল, তাহা মৈত্রেী স্বীকার না করিয়াই পরিবে না । চায়ের নিমন্ত্র" খাওয়া কোনো জন্মে অনঙ্গের অভ্যাস ছিল না। নিঃসম্পৰ্কীয়া মেয়েদের সঙ্গে আলাপ পরিচয়ও সে কোনোদিন করে নাই । বলিয়া বলিয়া সে মনে মনে কেবলি নিজেকে তালিম দিতে লাগিল ; কি সে বলিবে, মেয়ের মান SMMMAMASAMMAMAMMMMSAM AMMM Øፃኔ SAMSAASAASAASAASAAMAAA AAAA AAAASAASAASAA কেমন করিয়া চলিবে ফিরিবে । কিরূপ পোষাক করিয়া যাইবে তাহাও স্থির করিয়া রাখিল । অবশেষে বেলা এগারোটায় সস্তোষের জন্য একটা ফুটবল কিনিয়া সে ফিরিয়া আসিল । চারটা আর বাজিতেই চাহে না । অনঙ্গ ত অস্থির হইয়া উঠিল। ঘড়ি দেখিতে দেখিতে আর ঘর-বাহির করিতে করিতে বেলাটা কোনোমতে কাটিয়া গেল । তিনটা বাজিতে-না-বাজিতেই সে পোষাক-পরিচ্ছদ পরিতে আরম্ভ করিল । চারিটা বখন বাজিল তথন অনঙ্গ প্রায় বিবাহের বরের মত সাজিয়া ফিট্‌ফট হইয়া বসিয়া আছে। নিজেই যাইবে, না সন্তোষের জন্য অপেক্ষা করিবে তাহাই ভাবিতেছে, এমন সময় সন্তোষ আসিয়া তাহার হাত ধরিয়া হিড়হিড় করিয়া টানিয়া লইয়া চলিল । বসিবার ঘরে বেশী লোক ছিল না, মৈত্রেয়ী ও তাহার বাবা এবং একটি অপরিচিত যুৱক, অনঙ্গ বুঝিল এইটিই বন্ধুদা। সস্তোষের মা পাশের ঘরে জলখাবার গুছাইতেছিলেন, তিনি তখনও আসেন নাই। অনঙ্গ ঘরে ঢুকিতেই অখিলবাবু বলিলেন, "এস বাবা, তুমি যদিও আমাদের অচেনা, তবু সন্তোষের কাছে গল্প শুনে শুনে অনেক কালের পরিচিত বলেই মনে হয় ।” অনঙ্গ তাহাকে নমস্কার করিয়া সামনে ষে চেয়ারখান পাইল তাহাতেই বসিয়া পড়িল। তাহার বড় অপ্রতিভ লাগিতেছিল, কোনো শিক্ষিতা মেয়ের এত কাছে কোনোদিন সে আসে নাই। পাছে কোনো রকম বোকামী করিয়া বসে এই ভয় তাহাকে পাইয়া বসিয়াছিল । তাহার কান দুটা ক্রমেই লাল হইয়া উঠিতেছিল। মৈত্রেীকে আজ তাহার চক্ষে রীতিমত স্বন্দর লাগিল । মনে মনে স্বীকার করিল যে, রংকালো হইলেও মানুষ সুন্দর হইতে পারে। সে ষে কি রং-এর পোষাক, কি গহন পরিয়াছিল, তাহা অনঙ্গের অনভিজ্ঞ দৃষ্টিতে বিশদ ভাবে ধরা পড়িল না, কিন্তু সৰ জড়াইয়া একটা সহজ স্ত্রর অস্থস্থতি তাহার মনকে আচ্ছন্ন করিয়া কেলিল। অনিবাৰু ধন দিলেন, “.ु चा