পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখা ] মেয়ের মান ዓዓ¢ محجمعممممبستربیتہ.-میہ مہی. পছন্দ হইল । সেখান মুড়িয়া রাখিয়া, তখন সহপাঠী এবং পরমবন্ধু অমৃতকে চিঠি লিখিতে বসিল । সমস্ত মনের প্রাণের কথা লিখিতে লিখিতে চিঠিখানা প্রকাও হইয়া গেল । এদিকে থাবার ঘণ্ট পড়িয়া গেল । এই জিনিষটিতে অনঙ্গের রুচি ছিল অসাধারণ, তাড়াতাড়ি চিঠি শেষ করিয়া সে উঠিয়া পড়িল । চাকরকে মাঝপথে দেখিয় বলিল, “দেখ হে, আমার টেবিলের উপর দুখানা চিঠি রয়েছে, ডাকের খাম যেখানা, সেটা ডাকবাক্সে ফেলে দাও, আর শাদ খামটা অখিলবাবুদের ঘরে দিয়ে এস ” চাকর চলিয়া গেল। খাইয়া দাইয়া অনঙ্গ ঘরে আসিয়া দেখিল চিঠিগুলি নাই । তাহার চিঠি পাইয় মৈত্রেয়ী মনে মনে না জানি কি ভাবিতেছে, তাহাই আন্দাজ করিবার চেষ্টা করিতে করিতে অনঙ্গ ঘুমাইয় পড়িল । সকালেই সে বাহির হইয়া গেল। ইচ্ছা ছিল কিছুক্ষণ বেড়াইয়া, কিছু ফুল কিনিয়া আনিয়া সে মৈত্রেয়ীর সঙ্গে দেখা করিবে। আর একটা দিন মাত্র ত, এইটারই যথাযোগ্য স্থব্যবহার করিতে হইবে । যখন বাহির হইয়া যাইভেছে তখন সন্তোষ দেখিতে পাইয়া ছুটিয়া আসিল, জিজ্ঞাসা করিল, “কোথায় যাচ্ছেন, একলা একলা ?” অনঙ্গ বলিল, একটু দরকার আছে, মাল ঘুরে জিনিষ দু-একটা কিনে ফিরব ।” মাল ঘুরিতে ঘুরিতে রোদ উঠিয়া পড়িল । অবজারভেটরি হিল-এর পথের ধারে একটা বেঞ্চে বসিয়া সে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা করিতে লাগিল । ফুল লইয়া গিয়৷ মৈত্রেয়ীকে সে কি বলিবে ? তাহার বাবা মা যদি আবার সব জানিতে পারিয়া অনঙ্গকে চাপিয়া ধরেন, তাহা হইলেই বিপদ । অল্প বয়সী মেয়েকে ইচ্ছামত চালান যায়, কিন্তু বুড়ে বুড়ীর হস্ত হইতে নিস্তার পাওয়া শক্ত । হঠাৎ রাস্তার দিকে চাহিয়া সে চমকিয়া সোজা হইয়া বসিল । কে ঐ মেয়োট ক্রস্তপদে তাহার দিকে অগ্রসর হইয়া আদিতেছে । মৈত্ৰেয়ী, না ? মৈত্রেয়ীই বটে, সেই চলন, সেই পরিচিত কমলা রং-এর শালের শাড়ী, সেই হাতে ওয়াকিং ষ্টিক্ পৰ্য্যন্ত । বেশী डैहूड खेटैिण्ड श्रणहे भटजौ uहे इज़िछि जहश शाहेख् ইহার জন্য বন্ধুবান্ধব সকলে তাহাকে ক্ষেপাইত। অনঙ্গ গ। ঝাড় দিয়া ঠিক হইয়া বসিল । মেয়েটি একেবারেই মজিয়া গিয়াছে, না হইলে এমন করিয়া ছুটিয়া আসে? এখন ইচ্ছা করিলে অনঙ্গ তাহাকে যে দিকে খুলী চালাইতে পারে। কিন্তু আর যে সময় নাই । মৈত্রেয়ী কাছে আসিয়া পড়িল । অনঙ্গ দেখিল তাহার মুখ অস্বাভাবিক রকম উত্তেজিত । মনে মনে ভাবিল, তা হইতেই পারে, এই সকল ব্যাপারে মেয়ের সৰ্ব্বদাই বেশী বিচলিত হয় । মৈত্রেয়ী সামনে আসিতেই সে উঠিয়া দাড়াইয়৷ বলিল, “একলাই বেরিয়েছেন যে ?” মৈত্রেয়ী গম্ভীর মুখে বলিল, “একলা বেরনোই আজ দরকার ছিল ।” অনঙ্গ একটু বিস্মিত হইল। এতখানি গম্ভীর হওয়ারই কি দরকার ছিল ? অস্তত: অনঙ্গের সামনে ত হাসা যায় ? একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, “বস্কন না, দাড়িয়ে রইলেন কেন ? আমার চিঠি পেয়েছিলেন ?” এতক্ষণ পরে মৈত্রেয়ীর মুখে হাসি দেখা দিল । কিন্তু সে হাসিটাও যেন কেমন কেমন । বেশ কঠিন স্বরে বলিল, “চিঠি পেয়েছি বই কি। তার উত্তর দিতেই ক্ত এলাম ।’’ অনঙ্গ জিঞ্জামুদৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিল মায়, সে হাতের ছড়ি দিয়া সজোরে তাহার মুখে আঘাত করিল। “বাপরে’ বলিয়া চাদরে মুখ চাপিয় ধরিয়া অনঙ্গ সেইখানে বসিয়া পড়িল । চাদরটা দেখিতে দেখিতে রক্তের ছোপে ভরিয়া উঠিল । একজন বাঙালী বৃদ্ধ রাস্ত দিয়া যাইতেছিলেন, তিনি ভীত দৃষ্টিতে এই অদ্ভুত মানুষ দুইটির দিকে চাহিয়া যথাসম্ভব দ্রুত গতিতে অস্তহিত হইয়া গেলেন । মৈত্রেয়ী বলিল, “এই আপনার চিঠির উত্তর । দুঃখের বিষয় আপনি আমাকে যে চিঠিটা লিখেছিলেন, সেটা আমি পাইনি, পেয়েছি অযুতকে লেখা চিঠিটা