পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 • سوا প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৭ { ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড কৌতুক দেখিবার জন্য অপর্ণকে লক্ষ্য করিয়া হাসিমুখে বলিল-ওগে কল বেী, ঘোমটা খোল, চেয়ে দ্যাখে, বাপের বাড়ির দ্যাশট। চেয়ে দ্যাখে গো— মুরারী হাসিমুখে অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া রহিল । অপর্ণ লজ্জায় আরও জড়সড় হইয়া বসিল । আরও থানিকটা আসিয়া মুরারী বলিল,—তোমরা যাও, এইখানের হাটে যদি বড় মাছ পাওয়া যায়, জেঠাইম কিনতে বলে দিয়েচেন। এইটুকু হেঁটে যাব এখন। মুরারী নামিয়া গেলে অপর্ণ বলিল-আচ্ছা, তুমি কি ? : দাদার সাম্নে ওইরকম করে আমায়— তোমার সেই দুষ্টমি এখনও গেল না ? কি ভাবলে বল তো দাদা—ছি । পরে রাগের সুরে বলিল-দুষ্ট কোথাকার, তোমার সঙ্গে আমি আর কোথাও ককখনো যাবে না, ককূখনো না, থেকে একলা বাসায় ! -ব’য়েই গেল ! আমি তোমাকে মাথার দিব্যি দিয়ে সেধেছিলুম কি না ? আমি নিজে মজা করে রোধে খাব ৷ -७३ °१७' पिश २ वि ब्लाङ्घात्र हान, उन् ि আমি না জানতামু- আলু ভাতে, বেগুন ভাতে, সাত রী সব ভাতে—কি রাধুনী ! —নিজের দিকে চেয়ে কথা বলে । প্রথম যেদিন খুলনার ঘাটে রেধেছিলে, মনে আছে সব আলুনী ? —ওমা আমার কি হবে! এত বড় মিথ্যেবাদী তুমি, সব আলুন ! ওমা আমি কোথায়— —সব বিলকুল । মায় পটলভাজা পৰ্য্যস্ত । অপর্ণ রাগ করিতে গিয়া হাসিয়া ফেলিল, বলিল— তুমি ভাঙন মাছ খাওনি ? আমাদের এ নোনা গাঙের ভাঙন মাছ ভারী মিষ্টি । কাল মাকে বলে তোমায় १N8घ्नांद ! — লজ্জা করবে না তার বেলায় ? কি বলবে মাকে-ও মা, এই আমার— অপর্ণ স্বামীর মুখে হাত চাপা দিয়া বলিল,-চুপ । ঠিক সন্ধ্যার সময় অপর্ণাদের ঘাটে নৌকা লাগিল। দুজনেরই মনে এক অপূৰ্ব্ব ভাব। শঠবনের সুগন্ধভরা স্নিগ্ধ হেমন্ত অপরাহ্ল তার সবটা سدههای কারণ নয়, নদীতীরে ঝুপ সি হইয়া থাকা গোলগাছের সবুজ সারিও নয়, কারণ—তাদের আনন্দ-প্রবণ অনাধিল যৌবন—ব্যগ্র, নবীন, আগ্রহভরা যৌবন। 豪 德 新 জ্যোৎস্নারাত্রে উপরের ঘরে ফুলশয্যার সেই পালঙ্কে বাতি জালিয়া বসিয়া পড়িতে পড়িতে সে অপর্ণার প্রতীক্ষায় থাকে। নারিকেলশাখায় দেবীপক্ষের বকের পালকের মত শুভ্র চাদের আলো পড়ে, বাহিরের রাত্রির দিকে চাহিয়া কত কথা মনে আসে, কত সব পুরাতন স্মৃতি, কোথায় যেন এই ধরণের সব পুরানো দিনের কত জ্যোৎস্না-ঝরা রাত। এ যেন সব আরব্য উপন্যাসের কাহিনী, সে ছিল কোন কুড়ে ঘরে, পেট পুরিয়া সব দিন খাইতেও পাইত না—সে আজ এত বড় প্রাচীন জমিদার ঘরের জামাই, অথচ আশ্চর্য্য এই যে এইটাই মনে হইতেছে সত্য । পুরানো দিনের জীবনটা এখন অবাস্তব, অস্পষ্ট্রবেশদ্বান্ধেীয়া মনে হয়।T যাইবার পূর্ব রাত্রে অপর্ণ স্বামীকে নানাবিষয়ে সাবধন ও সতর্ক করিয়া দিল । স্বামীর উপর এমন একটা মায়া হয়! এক এক দিন সে ঘুমন্ত স্বামীকে দেখিয়াছে, ভারী স্বন্দর, ভারী পবিত্র, দেখায় । মনে হয় এ মাকুম কখনও কোনো খারাপ কাজ করিতে পারিবে না । দেবতার মতই দেথায় বটে। সত্যই মা বলে পটের মুখ, পটে আঁকা ঠাকুর-দেবতার মত মুখ। কাল সকালের কোন ষ্টীমারে যাওয়া ? রোজ আপিস হইতে আসিয়া যেন মোহনভোগ করিয়া খাওয়া হয়। পিন্টর মাকে সে বার বার করিয়া বলিয়া আসিয়াছে, সে-ই করিয়া দিবে। ঘি যেন একটু বেশী করিয়া খাওয়া হয় । এখন তো খরচ কমিল, বেশী ছেলে পড়ানোর দরকার নাই । আর জানালার পর্দাগুলা গিয়াই যেন ধোপার বাড়ি—এখন আর সাবান দিয়া কে কাচিযে, ধোপার বাড়িই ভাল। পরদিন সকালে চলিয়া আসিবার সময়ে কিন্তু অপর্ণার সঙ্গে দেথা হইল না । অপুর আগ্রহ ছিল, কিন্তু আত্মীয় কুটুম্ব পরিজনে বাড়ি সরগরম-কাহাকেও যে বলে অপর্ণাকে একবার ডাকিয়া দিতে মুখচোর অপু ইচ্ছাটা لاسنسمیہ