পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা] কিছুই লিখে রাখ না, তোমাদের কোনো পরিচয় কেন তোমরা রেখে যাও না ?" তখন ভাট, খালে শুধু তখন কাজ। গরজী দুই এক জন তাতেই নৌকো ঠেলে ঠেলে চলেছে । বাউল তাই দেখিয়ে বললেন, “বাবা, এই যে গরজের চোটে নাও ঠেলে এর চলেছে, এদের চিহ্নই পড়ে থাকবে এই কাদায়। এদের এই চলাটাই কি সহজ । সহজ চলা চলেছে দেখ নদীতে যে সব ডিজী চলেছে পালে। তাদের কি বাবা কোনো চিহ্ন রইল পিছনে ? আমরা যে বাবা সহজের পথিক, আমরা চিহ্ন রেখে যাই কেমন ক’রে ?” এই-সব আউল বাউলারা পুথির শাস্ত্রের ধার ধারেন না, পণ্ডিতজনের ধুদের করেন অবজ্ঞা, এরাও রাখেন না পণ্ডিতদের কোনো তোয়াক্কা। বরং বেশ রসিকতার সঙ্গেই র্তাদের দেন উড়িয়ে । শস্যের গোলায় মাঝে মাঝে নেংটে ইছর ঢোকে। তখন যদি তার উপরে শস্যের ভার এসে পড়ে তখন চাপে সে মারা গিয়ে শুকিয়ে তার মধ্যেই পড়ে থাকে। এমন একটি শুটুকে নেংটে ইদুরকে দেখিয়ে রজবজী বলেছিলেন, “আহ। বেচারা যেন পণ্ডিত | জ্ঞানরাজ্যের মত খাদ্যের রাজ্যে ঢুকলো খেতে, কোথায় তা খেয়ে হজম ক’রে হবে পুষ্ট, না তারই চাপে মরে শুকিয়ে আজ ওর এই দশা।" পণ্ডিতেরা সংস্কৃত ও দুরূহু ভাষার বেড়া দিয়ে “জনধিকারী” “অপাংক্তেত্ব” লোক-জনকে তাদের তত্ত্ববাদের বাইরে রাখেন ঠেকিয়ে। বাউলদের তো জার সংস্কৃত বা ছক্কহ ভাষা নেই। তারা তাই বেড়া দেন দুৰ্ব্বোধ্য হেঁয়াঙ্গীর । বাউল নিতাইকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, “কেন আমাদের পদগুলি হেঁয়ালীতে ইসারায় অদ্ধিতে সন্ধিতে এত ঢাকা ? বাঘের মত জোর তো নেই বাৰ, তাই শজারুর মত থাকতে হয় কাটিয়ে । ওই গুলোই আমাদের কাটা । সংসার শুদ্ধই এই ভাব । প্রাণের জন্যে ফলায় ফসল। বাইরের শত্রুর থেকে বাচাবার জন্তে দিতে হয় আবার কাটাগাছের বেড়া । সে কাটা না যায় খাওয়া, না যায় পরা, না লাগে আর কোনো কাজে । ভাব অম্বুরাগের বস্ত ষে चन नl cबांटक, नl यांप्न, ना उंकों क८ब्र, cन-दे इनि বাংলার প্রাণবস্তু Ե( Ց

  • Asurar

আবার এসে বসে অনুরাগী যুগলের মাঝে, তবে কি হবে তাদের গতি ? সরে বসবার ঠাইটুকুও যদি তাদের না থাকে তবে কথা বলতে হরে এমন ভঙ্গীতে যে, ওই ব্যক্তি আপনা হতে যাবে উঠে। যদি তাতেও সে না উঠে, তবে যা-কিছু বলা তা চালাতে হবে সাধে ইসারায় হেঁয়ালীতে । রসের রসিকদের জন্তে যদি রেখে যেতে হয় কোনো পদ তবে তাতে এমন একটু অসম্ভবের সন্ধি দেব রেখে, যে সে শুনেই বুঝে নেবে ষে এর বাইরে কিছু নেই, এর ঢুকতে হবে ভিতরে। খোলার উপর ছোবড়া বলেই তো নারকেলের ভিতরে ঢুকতে হয় বাবা।” সহজ পথের পথিক হলেও তাই এদের হেঁয়ালীতে কথা কইতে হয়। তা এসব পদও এরা লিখে পুথিতে সঞ্চয় করে রাখে না | শাস্ত্রের হাতে মার খেয়ে খেয়ে শাস্ত্রের উপর ওদের ধরে গেছে বিষম বিতৃষ্ণ । আবার পাছে সঞ্চয় করে করে ওরাই আর একটা শান্ত্র গড়ে তোলে তাই ওদের ভয় । বলে, “এক শাস্ত্র ভেঙে বেরিয়ে এলাম কি আর এক শাস্ত্র গড়ে তুলতে " আসল বাউলরা তাই না লেখে কোনো পুথি, আর অন্তকে যদি দেখেছে বসেছে তাদের পদ লিখতে, তবে যায় ভড়কে। তাই মাঝে মাঝে যে-সব বাউলিয়া পুথি মেলে, বুঝতে হবে তাতে আছে সব ভাসা ভাসা তত্ত্ব ; নয় তো সহজ সৰ সাধনার বিকার । খাটি গভীর পদ সেখানে পাবার আশা জুরাশা। 弱 পুথির মধ্যে সঞ্চয় না করলেও এদের মনের মধ্যে থাকে অনেক অনেক পদের ভাণ্ডার । কোনো কথার প্রসঙ্গ উঠলেই এরা তার জবাব দেন গানে । ঠিক প্রসঙ্গ-মত একটান-একটা পদ এদের মনে এসে পড়বেই। সাদা কথায় বড়-একটা জবাব এরা দেন না। গানেই কেন জবাব দেন একবার জিগ্যেস করায় কেন্মুলীতে বাউল হরিদাস বলেছিলেন, “আমরা পার্থীর জাত কি না, তাই মাটিতে ছাটতে শিখিনি বাৰা, জানি শুধু উড়ে চলতে।” বেদ শাস্ত্ৰ হ’ল এদের মতে প্রাচীন সব মহোৎসবের এটাে পাতায়ু সঞ্চয়। এর বলেন, “ভবিষ্যতে ৰে আবার মহোৎসব হতে পারে এই ভরসা যাদের নেই তারাই তো