পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] “রাজদর্শনে সাধুর কি লাঙ ? এক থাকি, হরি ভজন করি, মাটীতে শুই, ভিক্ষান্নে উদর পূর্ণ করি । আনন্দ করিয়া ভগবানের নাম গাহিয়া দিন কাটাই । হে রাজন! কষ্ট করিয়া তোমার কাছে যাই কেন ? সৰ্ব্বদা পরোপকার কর, দুজনকে দূরে রাখ। যে ব্যক্তি . প্রকৃত দেশভক্ত, এমন লোক বাছিয়া রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত কর । যাহারা অসহায় তাহাদিগকে রক্ষা কর । তুমি সুবই জান, আমার সঙ্গে দেখা করিয়া লাভ নাই।-- ভগবানে বিশ্বাস হারাইও না, সমর্থরামদাসের মধ্যে নিজেকে দেখ, তোমার জন্ম ধন্য । তুকা বলে, আমার কথা শোন, তোমার কল্যাণ হইবে।” এই উত্তর পাইয়। শিবাজীর শ্রদ্ধা বাড়িল, তিনি স্বয়ং তুকারামঞ্জীর দর্শনে গেলেন । তুকারাম তখন মূহুন এক অভঙ্গে তাহাকে উপদেশ দিলেন :–‘‘শিবাজী, শোন । রামদাসে স্থিরনিষ্ঠ রাখ । তিনিই তোমার গুরু, র্তাঙ্গাকে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম কর । পাণ্ডুরঙ্গ তোমাকে রক্ষা করিবেন, তুমি একমাত্র রামদাসের শরণ লও।” প্রায় আট হাজার অভঙ্গ রচনা করিয়া ( অধিকাংশই মহারাষ্ট্রীয় ভাষায়, কতকগুলি ব্ৰজভাষায়ঞ্চ ) পুষ্টাব্দে অর্থাৎ ৪১ বৎসর বয়সে ( জ্ঞানকোশের মতে ১৫৭৩ শকে অর্থাৎ ১৬৫১ খৃঃ তুকারাম পরলোকগমন করেন । শিবাজী ঐ বৎসরই সমর্থ গুরু রামদাসের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করিয়া সাধু-দত্ত উপদেশের মধ্যাদা রক্ষা করিলেন ।

  • BR

তুকারামের গুরু কে, ইহা লইয়া কিছু আলোচনা করিবার আছে। প্রায় ছয় সাত মাস পূৰ্ব্বে মদীয় অগ্রজ ঐযুক্ত কুযুদ্ধবন্ধু সেন মহাশয় এ বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া বলেন যে, চৈতন্যদেবই তুকারামের গুরু ছিলেন । লক্ষে হইতে প্রকাশিত ‘মাধুরী’ নামক হিন্দী পত্রিকায় গত আশ্বিন সংখ্যায়ু তুক্কারাম ও প্রচৈতন্ত, এই উভয়ের মধ্যে একটা যোগসূত্র স্থাপন করিবার চেষ্টা श्ब्राzइ.-बारणाब्र निशाहे भशब्रॉड़े-गांधू छूकांब्राप्भब्र মন্ত্রগুরু ছিলেন, এইরূপ নির্দেশ করা হইয়াছে। এবিষয়ে তুকারাম ও শ্রীচৈতন্য • মহারাষ্ট্রলনকাশে কুকাম ক্ষক প্রবন্ধ জটব্য با همصحفه در استان سباستیسیسی سیستم اس సెఫిని ‘क्षांौङ्ग' প্রমাণ নিয়ে পাঠকদের অবগতির জন্তু দেওয়া গেল । e s" তুকার মনে গুরু পাইবার জন্ত একটা ব্যাকুলত আসিল, গুরু গুরু বলির তিনি পাগলের মত হইলেন । কিন্তু ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা শুদ্রকে মন্ত্র দেওয়া অঙ্কুচিত মনে করিতেন। গুরু না পাইয়া সাধু শেষে পাণ্ডুরঙ্গঙ্গীর নিকট প্রার্থনা করেন, – তুমিই আমাকে দীক্ষা দাও । ভক্তের নিষ্ঠা দেখিয়া ভগবানের মন টলিল, বাঞ্চণকল্পতরু তাহার বাঞ্ছা পূর্ণ করিলেন। ইহা লইয়া তুকারামের অভঙ্গ আছে, তাহার ভাবাথ এই প্রবন্ধের প্রথমভাগে দেওয়া হইয়াছে । অন্য একটি অভঙ্গের ভাধাথ নম্নরূপ :– ‘গঙ্গাস্নান করিতে যাওয়ার সময় গুরুদেব কৃপা করিয়া দর্শন দিলেন, আমার নিকটে ভিক্ষা চাহিলেম, মাথার উপরে হাত রাখিলেন । হাত রাথিতেই আমার বাহ্যজ্ঞান লোপ পাইল । আমাকে তিনি শ্রীরাঘব, কেশব ও শ্রীচৈতন্তের কথা শুনাইলেন । বাবাজী নিজের নাম বলিয়া দিলেন, রাম-কৃষ্ণ-হরির মন্ত্র দিলেন ; মাঘী শুক্ল দশমী, বৃহস্পতিবার, তুকাকে গ্রহণ করিলেন।” আর একটি অভঙ্গে "গৌরহরি' বা শ্ৰীগৌরাঙ্গের নাম স্পষ্ট করিয়া দেওয়া হইয়াছে, পাঠকের অবগতির জন্ত বঙ্গাক্ষরে তাহা উদ্ধৃত করা গেল । কসে শুক্ল চে পায় বাপ কসে শুক্ল চে পায় । টেক ॥ वर्धनी:ख्ठ अलl झर्नन fछ५८ञ ॥ মংত্র দালে যাদোরায় । রাম কুঞ্চ হরী মংত্র দীধলে । মস্ত কেলে গুস্ট্র রায় ৷ বাপী—৷ ১ ৷৷ মাঘ দী দশমী চে দিবসে । কৃপা কেলা হরী রায় ৷ মংত্র দেতা সিদ্ধ ঝালো । মস্ত কালে গুরুরীর | বাপী—৷ ২ ৷৷ ক্ষণে ভুকোবা ঐক জন হে। ভজা গুরু চে পায় ॥ লাল দাস কর জোড় নী মাগে । ভজ গৌর হরী রায় । বাপা ৰসে গুরু চে পায় । ও । अहे श्रउव चश्नाcद्र दला घाब cष, चबर वैष्णोब्राच তুকারামজীকে মন্ত্র দেন । কিন্তু সময় হিসাবে শ্ৰীগৌরাঙ্গ তুকারামের বহু বৎসর পূর্ববর্তী ; এই অসঙ্গতির সামঞ্জস্ত কি ভাবে করা যায় । শিবাজী, রামদাস, তুকারাম সকলেই ইতিহাসে স্বপ্রসিদ্ধ, সকলেরই আয়ুষ্কাল স্থনির্দিষ্ট ।