পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o - 獅 در نگارهها so و به . 隱 ృ 然 | o પે, বাংলা জাৰ্ম্মানী প্রবাসী কৃতী বাঙ্গালী ছাত্ৰ— শীদেবকুমার চৌধুরী ডিপ্ল-ইওজ.vস্তর আশুতোষ চৌধুরী মহাশয়ের কনিষ্ঠ পুত্র। স্তর আশুতোষ চৌধুরী মহাশয় বেঙ্গল টেক্লিক্যাল কলেজের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইউরোপীয় কলকারখানার বিষয় বিশেষরূপে পয্যালোচনা করিলার জন্য জাৰ্ম্মাণী গমন করেন । তাহার উদেষ্ঠ ছিল, উক্ত বিষয়ের যে সব উন্নতি দ্বারা জাৰ্ম্মাণ বিগত মহাসমরে বিধ্বস্ত হইয়াও পুনরায় মাথা তুলিয়া জগতের অন্যাঙ্গ জাতির সহিত পুর্কের মত প্রতিযোগিতা করিতে সমর্থ হইয়াছে, তাহ। আমাদের দেশে কিরূপে প্রয়োগ করা যায় তাহার উপায় নিৰ্দ্ধারণ করা । তিনি এ বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করিয়া আসিয়াছিলেন, কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্যবশতঃ ওঁtহার মৃত্যু হওয়ায় সে আশা ফলবতী হয় নাই। তবে তিনি তাহার কনিষ্ঠ পুত্র শ্ৰীদেবকুমারকে এই উদ্দেষ্ঠে জাৰ্ম্মাণ রাপিয়া আসেন। দেবকুমার তথায় সাত বৎসরাধিক কাল যাপন করিয়াছেন এবং ভারতীয়দের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রথম তিনিই বার্লিনের টেক্লিশে হকুঞ্জলে হইতে খনিজবিদ্যায় ডিপ্লোম। পরীক্ষা পাশ করিয়াছেন । জাৰ্ম্মাণীতে এই ডিপ্লোমা পরীক্ষা পূব কঠিন বলিয়া গণা এবং র্যাহারা ইহাতে উত্তীর্ণ হন তাহার বিশেষ সন্মানের যোগ্য বলিয়। বিবেচিত হন । অভিজ্ঞতা অর্জন করিবার জন্ত তিনি আপার সাইলেশিয়ার কয়লার খনিতে, হার্টসে সীসা, রূপা ও দস্তা প্রভূতি ধাতু দ্রবোর খনিতে এবং অষ্ট্রিয়ার অন্তর্গত আইঞ্জেনেয়ার্টস্ নামক স্থানে সার্ডেয়িং ইত্যাদির কাজ করিয়াছেন । ষ্টাপফুর্টেএর ব্রাউন পনি জাৰ্ম্মাণার প্রসিদ্ধ কয়লার খনি ; তথায় তিনি ডিপ্লোমার জন্ত চার বৎসর অধ্যয়ন ও এক বৎসর হাতেকলমে কাজ করেন । এই কৃতী বাঙ্গালী যুবক দেশে ফিরিয়া আসিয়া দেশের বৈজ্ঞানিক উন্নতির যথেষ্ট সাহায্য করিতে পরিবেন আমরা ইহা অাশা করি । মহিলাদের শিল্প-প্রদর্শনী— মহিলাদের হাতের কাজের প্রদর্শনীর দ্বারা নারীশিক্ষা-সমিতি বঙ্গে স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের চেষ্টা করিতেছেন। এ পর্য্যন্ত চারি বৎসরে চারিবার এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হইয়াছে। প্রতিবারে প্রায় ১ • • • ভদ্রলোক ও মহিলা ইহা দেখিতে আসিয়াছিলেন । ইহাতে চরকার কাটা সুতা, সুতী ও রেশমী কাপড়, দরজির কাজ, কাপেট বয়ন, সাদা ও শোভন চুচের কাজ, পুতির কাজ, মাটির জিনিষ গড়ন, নারিকেলের মিঠাই, খেলনা, চিত্র: বাগানের জিনিষ এবং চাটনী ও আচার প্রদর্শিত হইয়াছিল। প্রদর্শিত উৎকৃষ্ট দ্রব্যসমূহের জঙ্গ কয়েকটি পদক ও সার্টিফিকেট পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার পুরস্কার বিতরণ করিয়া ছিলেন স্ত্রীযুক্ত রণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্নী শ্ৰীমতী হলাজিনী দেবী। নারীশিক্ষা-সমিতি এইরূপ প্রদর্শনী দ্বারা বুঝিতে চেষ্টা করিতেছেন, যে, দুঃস্থ মহিলারা কি কি শিল্পের দ্বারা কিছু উপার্জন করিতে পারেন। সমিতির শিল্পবিদ্যালয়ে বিনা বেতনে পচাত্তরটি ছাত্রীকে স্বতী কাট, কাপড় বোন, দরজির কাজ, ছুচের কাজ, কাপড় ও স্বতী রঙীন, ছাপ দিয়া ছিটের কাপড় তৈরী করা, নানা রকম ফলের আচার ও মোরব্ব, কৃত্রিম পুপ রচন, গহন গড় ও কার্পেট বোন শিক্ষা দেওয়৷ হইতেছে। ছাত্রীর শিক্ষা পাইয় যখন নিজেদের বাড়ী ফিরিয়া যাইবেন, তখন তাহদের কিছু মূলধন এবং তাহদের তৈরী জিনি বিীর বন্দোবস্তু দরকার হইবে। তাহার জন্য একটি সমবায় সমিতি স্থাপিত ও রেজিষ্ট্ররী করা হইয়াছে। প্রদর্শন হইতে মহিলারা জানিতে পারেন, এদেশের মহিলার কিরণ স্বনীর কাজ এখনও করিতে পারেন। যাহাঁদের উপাৰ্জ্জনের দরকার তাহার। ইহার দ্বারা উপার্জন করিতে পারেন। যাহাঁদের সেরূপ প্রমুর্তী স্বলাজিনী দেবী দরকার নাই, তাহার। আপনাদের অবসর সময় এইরূপ কাজ করিয়া আনন্সে কাটাইতে পারেন ও নিজ নিজ গৃহ সুশোভিত করিতে পারেন। আমাদের পুরস্ত্রীদের জীবন অনেকট একঘেয়ে। নারীশিক্ষণসমিতি এই প্রদর্শনী ও তাহার সঙ্গে নির্দোষ আমোদপ্রমোদের ব্যবস্থ। করিয়া নারী-জীবনে কিছু বৈচিত্র্য আনিয়াছেন, ইহাও কম লাভ নহে। শ্ৰীযুক্ত লেডী অবলা বস্থ ও ডাহার সহকৰ্ম্মীরা ইহার জন্ত সৰ্ব্বসাধারণের কৃতজ্ঞতার পাত্র । আগামী প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য-সম্মিলন— প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য-সম্মিলনের সভাপতি শ্ৰীযুক্ত লালগোপাল মুখোপাধ্যায় আমাদিগকে জানাইয়াছেন যে, আগ্রাপ্রবাসী यांत्रिकीौद्र “প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য-সম্মিলন”কে আগামী বাৎসরিক অধিবেশনের