পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ یخی سمیعی حیات متحیه جسخ***** [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড সেনাপতিরা বিফল হইয়া ফিরিয়া আসিল, তখন তিনি স্বয়ং সেই সৈন্যদলের ভার লইয়া যুদ্ধক্ষেত্রে গেলেন । এইরূপে ক্লাস্তিজয়ী হতাশাজয়ী বিরাশী বৎসরের বৃদ্ধ আরও ছয় বৎসর ধরিয়া ঘরবাড়ী শহর ত্যাগ করিয়া তাবুতে থাকিয়া সৈন্যদের সঙ্গে সঙ্গে কুচ করিয়া, মহারাষ্ট্রের কত কঠোর নদী পৰ্ব্বত জঙ্গল পার হইতে লাগিলেন, কত গিরিদুর্গ অবরোধ করিয়া জয় করিলেন। অবশেষে কৃষ্ণ নদীর তীরে দেবাপুরে এই অষ্টাশী বৎসরের বৃদ্ধ-দেহ এমন কাতর হইল যে, সমস্ত মুঘলরাজ্য আশা ছাড়িয়া দিল ( ১৭০৫ ), বাদশাহ বুঝিলেন যে, ইহাই মৃত্যুর প্রথম আহ্বান । তখন অতিকষ্টে আহমদনগরে পৌঁছিয়া, আর চলিতে পারিলেন না, বলিলেন— “আহমদনগর আমার ভ্রমণের শেষস্থান বলিয়া লেখ ।” তাহাই হইল, এই শহরে ১৭০৭ সালের প্রথম ভাগে তাহার স্বদীর্ঘ অতুলনীয়-কাৰ্য্যবহুল জীবনের উপর যবনিক। পড়িল । ভারত-ভাগ্য শ্ৰীনগেন্দ্রনাথ গুপ্ত রাজনীতি যদি ইংরাজি পলিটিক্স শব্দের প্রকৃত প্রতিশব্দ হয় তাহা হইলে ভারতবাসীর পক্ষে রাজনৈতিক আলোচনা অসম্ভব, কারণ ভারতবাসী রাজার জাতি নয়। রাজ্যরক্ষার জন্য, রাজায় রাজায় প্রতিস্থাপন বা যুদ্ধবিগ্রহের জন্য রাজনীতির প্রয়োজন । যে জাতি পরের অধীন, যাহার সঙ্গে রাজ্যচালনার কোন সম্বন্ধ নাই, সে জাতি রাজনীতির কি ধার ধারে ? য়ুরোপে সকল জাতি স্বাধীন, তাহার রাজনীতি লইয়া নাড়াচাড়া করিতে পারে। ভারতবাসী কোন স্বাধীন জাতির সমকক্ষ নয়, তাহার আবার পলিটিক্স কি ? যেদিন ভারতবাসী অপর জাতির সহিত একাসনের অধিকারী হইবে সেই দিন হইতে তাহার রাজনীতির আরম্ভ । এখন যাহা কিছু দেখিতে পাওয়া যায় সেই আসন পাইবার চেষ্টা মাত্র । আমাদের পক্ষে রাজনীতির কুট জটিলতা শিখিবার এখনও বিলম্ব আছে। . কথার হিসাবে আমরা অনেকটা অগ্রসর হইয়াছি । ডোমিনিয়ন ষ্টেটস্ ( এ সব কথার বাংলা তর্জমা না করাই ভাল, কেননা তাহা হইলেই রাজনীতির মতন একটা খিচুড়ী পাকাইবে ) পাক কাঠালের তুল্য মনে হয়, হাত বাড়াইয়া পাড়িয়া লইলেই হইল। কাঠাল ভাঙিবার আশায় অনেকে গোফে তেল দিয়া বসিয়া আছেন, কিন্তু কাঠালঠা যে ইচড় আর চিরকাল অপক থাকিবার সম্ভাবন। সে হুশ অল্প লোকেরই আছে। পক্ষান্তরে, লাহোর কংগ্রেসে পূর্ণস্বরাজ অর্থাৎ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষিত হইয়া গিয়াছে। কিন্তু ডুগডুগি বাজাইলেই কেল্লা ফতে হয় না, আর চক্ষু বুজিলেই মুক্তি লাভ হয় না । বিনামূল্যে কিছু পাওয়া যায় না। যে সামগ্রী যেমন দুষ্প্রাপ্য তাহার মূল্য তত বেশী। সিদ্ধি চাও ত সাধনা চাই, বর চাও ত তপস্যা চাই। যাহা আমরা চাই তাহা হারাইয়াছি অনেক কাল, এখন হাত পাতিলেই পাওয়া যাইবে না। দেখিলে মনে হয় আমাদের অনেক দিকে উন্নতি হইয়াছে। কাউন্সিল বড় হইয়াছে, দেশী লোক মন্ত্রী ও শাসন-সভার সভ্য হইয়াছে, দু-একজন দেশী গবর্ণরও হইয়াছেন। ফুলে কিছুই হয় নাই, যেমন ছিল তেমনি আছে। যদি কখন অন্য অবস্থা হয় তাহ। হইলে দেশের লোকের চেষ্টায় হইবে, কোন কমিশনের রিপোর্টে কিংবা কোন নূতন আইনে হইবে না। গোল টেবিলে আর গোলোক ধাধায় যে বিশেষ প্রভেদ নাই, কিছু দিনের পরে তাহ বুঝিতে পারা যাইবে। দুই একটা কথা মোটামুটি বুঝাই। গবর্মেন্টের