পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ৷ উড়িষ্যার মগুণ-শিল্প శిలిసి S AASAASAASAASAAAS SAASAASAASAAAS বাহিরের বারান্দায় জীর্ণ কাঠের রেলিং ধরিয়া অন্ধকারের দিকে চাহিয়া ভাবিতেছিল —স্বরেশদা-দের কেমন চমৎকার বাড়ী কলিকাতায় ! ইলেকটিক পাখা, আলো, ঘরগুলি কেমন পরিপাটী সাজানো, মেয়েটির কেমন সুন্দর কাপড় পরণে। চারিটা না বাজিতে চা, জলখাবার, চারি দিকে যেন লক্ষ্মীশ্ৰী, কিছুই অভাব নাই । তাহাদেরই যে কি হইয়াছে, কোথায় মা আছে একটি পড়িয়া, সে কলিকাতা সহরে এই রকম ছন্নছাড়া অবস্থার পথে পথে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, পেট পুরিয়া আহার জোটে না, পরণে নাই কাপড় --- ক্রমশঃ উড়ষ্যার মণ্ডণ-শিল্প শ্ৰীদেবপ্রসাদ ঘোষ জীব-শিশুমাত্রেই কতকগুলি স্বাভাবিক ও সহজাত সংস্কার লইয়া জন্মগ্রহণ করে। এই সকল সংস্কার কোথা হইতে আসে তাহা নির্ণয় করিবার ভার বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিকদের উপর আছে। যদিও আমরা এই রহস্য ভেদ করিতে পারি না, তথাপি ইহাকে একটি প্রাকৃতিক সত্য বলিয়া মানিয়া লইতে বাধ্য হই। বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিশুর যেমন জীবনের পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে থাকে, সেই সঙ্গে তাহার সংস্কার বহিজগতের শিক্ষার প্রভাবে প্রস্ফুটিত হইতে থাকে। এই অন্তর্জগত ও বহিজগতের ঘাত-প্রতিঘাতের ফলে যে সকল স্নগ্ধ সংস্কার প্রবুদ্ধ হইয়া উঠে আমরা তাহাকেই স্বভাব বলি । মানুষ মণ্ডণপ্রিয় জীব। কেন যে মাতুম কেবলমাত্র আপনার জীবনযাত্রার উপযোগী বস্তু হুষ্টি করিয়াই ক্ষান্ত হয় না এবং কেন যে সে সেই সকল বস্তুকে উজ্জল, সুন্দর, ও বিবিধ কারুকাৰ্য্যে মণ্ডিত করে তাহার কারণ দার্শনিকের গবেষণার বিষয় হইলেও বৰ্ত্তমান প্রবন্ধের আলোচ্যবিষয় নয়। এই প্রশ্নের উত্তরে এইটুকুমাত্র বলা যাইতে পারে যে, ইহা একটি সংস্কার। এই সাৰ্ব্বজনীন সংস্কার এতই গভীর ও বদ্ধমূল, ইহার প্রেরণা এতই অদম্য ও বলবতী যে,.কেহই ইহা অতিক্রম করিতে পারে না। যাহারা ভগবৎবিশ্বাসী এবং ঈশ্বরকে স্রষ্ট বলিয়া ভক্তি করেন, তাহারা অবশ্ব বলিবেন যে এই সংস্কার-সৌন্দৰ্য্যলিঙ্গা ও সৌন্দৰ্য্য স্তষ্টি ও অনুভূতির জন্য এই গভীর আকাঙ্ক্ষ— এ সকলই যিনি উপনিষদে “সত্যং শিবং স্বন্দরং” বলিয়া অভিহিত হইয়াছেন তাহারই দান। এই সৌন্দৰ্য্যলিঙ্গ যে আদিম মানবকে বর্বরতার অন্ধকার হইতে সভ্যতার শুভ্র আলোকে লইয়া আসিয়াছে, তাহা অতি সহজেই অনুমেয় এবং প্রমাণপ্রয়োগদ্বারা বুঝান যাইতে পারে। মাতুম যে আপনার স্বই রূপরসাদির মধ্যে আপনার সত্ত্বাকে স্পর্শ করে তাহা চিত্রকরের একাগ্রতা, গায়কের তন্ময়ত এবং শিল্পীর ভাবুকত হইতে বেশ বঝিতে পারা যায়। আদিম মানব কোনও জিনিষকে আপনার ব্যবহারোপযোগী করিয়াই নিরস্ত হয় নাই । সে এই অদম্য মগুণপ্রিয়তার বশবৰ্ত্তী হইয়। স্বহস্তনিৰ্ম্মিত সামান্য প্রস্তরফলক, অস্থি, ছুরিক বা পরিধেয় বস্ত্রকেও তৎক্ষণাৎ চাকচিক্য ও কারুকাৰ্য্যদ্বারা স্থশোভিত ও নয়নাভিরাম করিয়া এক অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ উপভোগ করিয়াছে। - শিল্পমাত্রেই কল্পনাপ্রস্থত। সৌন্দর্যা অনুভূতির সহিত কল্পনার গভীরতার সম্বন্ধ আছে। শিল্পী যে সৌন্দর্য্য কৃষ্টি করিয়া থাকে, প্রধানতঃ সেই স্বষ্ট বস্তুকে শিল্পীর কল্পনা কতটা সুন্দর ও মনোহর করিয়াছে, সৌন্দৰ্য্যবিচারের তাহাই মাপকাঠি । “সকল শিল্পই মূলত মগুণশিল্প,” এই উক্তি অত্যন্ত সত্য। কোনও