পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্য J ASA SSASAS AAAMMAMM AMA S AMMeA SAeeS পুরাণে রাঢ়ের ইতিহাস তাহার “অর্থশাস্ত্রে" ইতিহাসকে লেদের মধ্যে গণন৷ ইতিহাস কি ? তিনি লিথিয়াছেন, "পুরাণ, ইতিবৃত্ত" আখ্যায়িক, উদাহরণ, ধর্মশাস্ত্র, ও অর্থশাস্ত্র,--এইগুলি ইতিহাস।” অপরাহ্লে ইতিহাস-শ্রবণ রাজাদিগের কর্তব্য ছিল । ইতিহাস নামের এই ব্যাপক অর্থ ধরিলে বুঝিতে পারি, মহাভারতকে কেন ইতিহাস এবং কেন পঞ্চমবেদ বলা হইত। শুক্রাচার্য লিখিয়াছেন "এক রাজকুত্যাদি বর্ণনচ্ছলে যাহাতে প্রাচীন বৃত্তান্ত কথিত হয়, তাহার নাম ইতিহাস। ইতিহাসের অপর নাম পুরাবৃত্ত।" ৰেটল্যই ধরি আর শুক্ৰচাৰ্যই ধরি, ইতিহাস এক বিপুল বিদ্যা। স্মৃতিশাস্ত্রই কি অল্প ? শুক্রাচার্য বলেন, “বেদ-অবিরোধক ধর্ম স্মরণ যাহাতে আছে, আর যাহাতে অর্থশাস্ত্রের কীর্তন আছে, তাহার নাম স্মৃতি।” পুরাণ কি ? “যাহাতে হষ্ট প্রতিস্থষ্ট, বংশ, মন্বন্তর, এবং বংশানুচরিত কীর্তিত হয়।" পুরাণে ও অমরকোষে পুরাণের এই পঞ্চ লক্ষণ স্বীকৃত হইয়াছে। তথাপি, পুরাপরম্পর-কথন, পুরাণ শব্দের নিরুক্তি। সত্যবতী-পুত্র অদ্ভুতকর্ম ব্যাস অষ্টাদশ পুরাণ ও ভারত-আখ্যান লিখিয়া সত্যই অমর হইয়। রহিয়াছেন। ইহাদের শ্লোকসংখ্যা পঞ্চ লক্ষ । মৎস্ত পুরাণ (৫৩ অঃ ) লিখিয়াছেন, “সর্বশাস্ত্রের প্রথমে পুরাণ, তার পর লেদ । কল্পাস্তরে মাত্র একখানি পুরাণ ছিল। অনেক কাল পরে ধর্মশাস্ত্র ও পুরাণসমূহ প্রবর্তিত হয়। কালে লোকে পুরাণ গ্রহণ করে ন দেখিয়া আমি ব্যাসরপ ধারণ করিয়া যুগে যুগে তাহ সংগ্ৰহ করি! পূর্বগণ পুরাণসমূহকে পুরাকালের ইতিবৃত্ত বলিয়া জানেন।" এইরূপ বাক্য অন্ত দুই এক পুরাণেও আছে। যে জাতিই দেখি পুরাণই তাহার প্রথম অবলম্বন । তখনও বেদও পুরাণের মধ্যেই থাকে, এবং বেদেও পুরাকালের বাত্ময় প্রবুষ্ট হয় । কালে ভাগ হইয়৷ নানা শাস্ত্র রচিত হয়। বেদব্যাসের পূর্বে বহ, পৌরাণিক কথা লোকসমাজে শ্রত হইত। তিনি সে সকল বাত লইয়া অষ্টাদশ সংহিতা কুরিয়াছিলেন। তাহাতে আপ্যান, উপপ্যান, গাথা ও কল্পশুদ্ধি ছিল। স্বয়ং দৃষ্ট বিষয়ের কথন, আখ্যান ; শুত বিষয়ের কথন, উপাখ্যান । পিত্রাদি দ্বারা গীত বিঘর, গাথা ; আর কল্প, শাস্ত্র ও বিধিমতে শুদ্ধি নির্ণয় কল্পশুদ্ধি। মহাভারত প্রধানতঃ আখ্যান। পুরাণের অধিকাংশ উপাখ্যান। ব্যাসের শিষ্য-পরম্পরা ছিলেন । প্রথম শিষ্য, স্থত রোমহর্ষণ। এই সকল শিষ্যও নুতন সংহিতা করিয়াছিলেন, এবং ব্যাসের পুরাণে নুতন নুতন বিষয় যোজিত করিয়াছিলেন । ক্ষত্রিয় পিতা ও ব্রাহ্মণী মাতার সন্তানেৰ নাম, সুত ছিল । ইহাদের মধ্যে কেহ পুরাণ-বক্ত, কেহ সারথি, কেহ বা রধকার হইত। এ কালের পুরাণ-পাঠক ও পুরাণ-কথক সেই পূর্বকালের সুত-স্থানীয়। যাত্র গায়কও স্বতের অনুবর্তন করে। দেশের ইতিহাসের পক্ষে রাজবংশাশ্বচরিত মেরুদণ্ড স্বরূপ বটে, কিন্তু প্রজাসাধারণের ধর্ম অর্থাৎ আচার ব্যবহার, নিত্যনৈমিত্তিক কর্ম তাহাতে পাওয়া যায় না। এ বিষয়ের নিমিত্ত রামায়ণ ও মহাভারত, পুরাণ ও ধর্মশাস্তু আছে। কিন্তু ইতিহাসের আকর স্বরূপ গ্রহণ করিতে হইলে এই সকল গ্রন্থের দেশ ও কাল জানা আবগুকী সকল স্মৃতিশাস্ত্র যেমন এক কালে কিম্বা এক দেশে প্রণীত হয় নাই সকল পুরাণও হয় নাই। কেহ কেহ_পুরাণের কাল-নির্ণয় করিয়াছেন। শুনিয়াছি, মহামহোপাধ্যায় শ্রীহরপ্রসাদ শাস্ত্রী দেশও নির্ণয় করিয়া “এসিয়াটিক সোসাইটি"র জন্ত দুই খণ্ড পুস্তক লিখিয়াছেন। কোন পুরাণের কোন কৌটিল্য করিয়াছেন । কষ্টিপাথর—পুরাণে রাঢ়ের ইতিহাস AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAS AAAAA AAAA AAAAMAMMSMAAAMAAAJAASAMAMSAAA AMAMMAMMMAMMMAM AMAMMAAMeeeMA AMA AMM MM MMMMMMMeeMMMM ૨G:ગ

দেশ কোন কাল অনুমতি হইয়াছে, আমি অবগত নই। অন্তের কৃত কাল-নির্ণরও দেপিতে পাই নাই, দেখিষার মধ্যে একখানি দেপিয়াছি। আমার এক মরাঠি বন্ধু উপহার দিয়াছিলেন। বইখানি মরাঠি ভাষার লিখিত । নাম “পুরাণ নিরীক্ষণ" : কর্তা শ্ৰীযুত ত্র্যম্বক গরনাথ কালে ; ধাম, মুম্বই পনবেল। ইনি অষ্টাদশ মহাপুরাণের বর্তমান রপ, প্রণয়ন-কাল ও কয়েকটি প্রসিদ্ধ রাজবংশের রাজগণের কাল-নির্ণয়ে যত্ব করিয়াছেন । ইহা পুরাণের এক চমৎকার নিদর্শক। এগানে দুইখানি পুরাণের দেশ ও কাল অনুসন্ধান করিয়া যৎকিঞ্চিৎ ইতিহাস সঙ্কলন করিতে বসিতেছি। এই প্রবন্ধে পুরাণ খলিলে “বঙ্গবাসী"র সংস্করণ, এবং 'কলি' বলিলে পুরাণকার বুঝিতে হইবে। (১) বৃহদ্ধর্ম পুরাণ বেদব্যাস অষ্টাদশ মহাপুরাণ ও মহাভারত প্রণয়ন করিয়াছেন। অস্তান্ত মুনিও ব্যাসের পুরাণের সদৃশ পুরাণ লিথিয়াছেন। এই সকল পুরাণ, উপপুরাণ। পুরাণ অষ্টাদশ, উপপুরাণও অষ্টাদশ। এইরূপ গণ্য হইলেও, উপপুরাণের সংখ্যা নির্দিষ্ট হয় নাই। অষ্টাদশের অধিক উপপুরাণ আছে। বৃহদ্ধম পুরাণ, একখানি উপপুরাণ। অষ্টাদশ উপপুরাণের যে নাম পাওয়া বায়, তাহার মধ্যে এই পুরাণের নাম নাই। যথা, মৎস্য পুরাণে ( ৫৩ অঃ ), “জগতে যে সকল উপপুরাণ প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছে, তাহদের বিবরণ বলিতেছি । (১) পদ্মপুরাণোক্ত নরসিংহচরিত অবলম্বনে নরসিংহ পুরাণ ; (২) কীর্তিকেয়-বর্ণিত নন্দামাহাত্ম্য যাহাতে কীর্তিত হইয়াছে, তাহ নান্দী পুরাণ ; (৩) যাহাতে শাশ্ব সম্বন্ধীয় বিবরণ এবং বহল ভবিষ্যৎ কথানক আছে, তাহা শাম্ব। বুধগণ পুরাণসমূহকে পুরাকল্পের বৃত্তান্ত বলিয়াই জানেন। এইরূপ আদিত্য সংজ্যক আর এক পুরাণ কীর্তিত হয়।” অতএব দেখা যাইতেছে, মৎস্য পুরাণের বর্তমান সংস্করণের সময়ে উক্ত চারি উপপুরাণ স্বপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, এবং সেই চারিটিও মহাপুরাণ হইতে নির্গত হইয়াছিল। কম পুরাণে (১ অঃ ), এবং গরুড় পুরাণে ( পুৰ্ব, ২২৭ অঃ ) অষ্টাদশ উপপুরাণের নাম আছে । উভয়ে একই নাম, একই প্লোকে প্রদত্ত হইয়াছে। সে সকল নামের মধ্যে বৃহন্ধর্ম পুরাণ নাই। পরে, দেখা যাইলে এখনি ত্রয়োদশ খ্ৰীষ্ট শতাদের শেষের দিকে রাঢ়দেশে প্রণীত হইয়াছিল। এই বৃহন্ধর্ম পুরাণে ( পূর্ব থও, ২৫ অঃ) অষ্টাদশ পুরাণ ও অষ্টাদশ উপপুরাণের নাম আছে। এই পুরাণ মতে ১৮ খানি উপপুরাণের নাম এবং তুলনার নিমিত্ত কূর্ম ও গরুড় পুরাণোক্ত নামও দেওয়া যাইতেছে। কুর্ম ও গরুড় পুরাণে বৃহদ্ধর্ম পুরাণে ১। সনৎকুমার (জাদি ) ১ জাদি লীরসিংহ ২ অাদিতা স্বগন্দ ৩ বৃহন্নারদীয় শিবধর্ম ব1মণীশ্বর ৪ নারদ দুবাসস্ 6 नमौश्रत्र ৬ নারদীয় ৬ বৃহন্নন্দীশ্বর ৭ । কাপিল ৭ • শাস্ব - বামন ৮ ক্রিয়াযোগসার ৯ উশনস ৯ । কালিক। ১ ও ব্রহ্মাও ১• । ধর্ম ১১ বারণ ১১ । বিষ্ণুধর্মোত্তর ১২ কালিকা ১২ । শিবধর্ম