পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سطة ني. প্রবাসী—আধাঢ় ১৩৩৭ SAMMAMAMAAMMMiAMMAAA AAAASASASS মনে চটিয়াছিল—শুধু অপুর মনে আর বেশী আঘাত দিতে ইচ্ছা না থাকায় সে বিরক্তি চাপিয়া গেল । অপু বলিল,—হল্লোড়ে পড়ে তোমার খাওয়া হল লা অনিল, আর খানকতক কাচ পাপর ভাজবো ? অনিল আর খাইতে চাহিল না । অপু বলিল,—তবে চল, কোথাও বেরুই—গড়ের মাঠে কি গঙ্গার ধারে । অনিলও তাই চায়, বলিল দেখুন অপূৰ্ব্ববাবু, উনিশ কুড়ি একুশ বছর থেকে পঞ্চাশ যাট বছর পর্য্যস্ত বয়সের লোকে কি রকম গলির মধ্যে বাড়ীর সাম্নেকার ছোট্ট রোয়াকটুকুতে বসে আড্ডা দিচ্ছে—এমন চমৎকার বিকেল কোখাও বেরুনো নেই, শরীরের বা মনের কোনো অ্যাড়ভেঞ্চার নেই, আসনপিড়ি হয়ে সব ষষ্ঠিবুড়ী সেজে ঘরের কোণের কথা, পাড়ার গুজব, কি দরে কে ওবেলা বাজারে ইলিস মাছ কিনেচে সেই সব—ওহ, হাউ আই হেট দেম।“আপনি জানেন না এই সব র্যাঙ্ক পিডিটি দেখলে আমার রক্ত গরম হয়ে ওঠে—বরদাস্ত কৰ্ত্তে পারিনে মোটে--গা যেন কেমন-- –কিন্তু ভাই তোমার ও গড়ের মাঠে আমার কিন্তু মন ভোলে না—-মোটরের শব্দ, মোটর বাইকের স্কটু ফটু আওয়াজ, পেট্রোল গ্যাসের গন্ধ, ট্রামের ঘড়ঘড়ানি-নামেই ভাই মাঠ, গঙ্গার কথা আর নাই বা তুললাম। —কাল আপনাকে নিয়ে যাবো একজায়গায় । বুঝতে পারবেন একটা জিনিষ—একটা ছেলে—আমার এক বন্ধুর বন্ধু—ছেলেট সাউথ আফ্রিকায় মানুষ হয়েচে, সেইখানেই জন্ম—সেখান থেকে তার বাবা তাদের নিয়ে চলে এসে উঠেছে কলকাতায়, ফিয়ার লেনে থাকে। তার মুখের কথা শুনে এমন আনন্দ হয় ! এমন মন ! এখানে থেকে মরে যাচ্ছে—শুনবেন তার মুখে সেখানকার জীবনের বর্ণনা—হিংসে হয় সত্যি ! অপু এখনি যাইতে চায়। অনিল বলিল, আজ থাক, কাল ঠিক যাবো দুজনে। দেখুন অপূৰ্ব্ববাবু কিছু যেন মনে করবেন না আপনাকে তখন কি সব বল্লাম বলে। আপনারা কি জন্যে তৈরি হয়েচেন জানেন ? ও সব চিপ ফাইনারীর খদের আপনার কেন হবেন ? দেখুন, এ পুরুষ তে কেটে গেল, এসময়ের কবি, বৈজ্ঞানিক,দাতা, লেখক, ডাক্তার, দেশসেবক এরা তো কিছুদিন পরে সব ফৌৎ হবেন, তাদের হাতে থেকে কাজ তুলে নিতে হবে কাদের, না যারা এখন উঠচে । একদল তে চাই এই জেনারেশনের হাত থেকে সেই সব কাজ নেবার ? সাহিত্যে, বিজ্ঞানে, আর্টে, দেশসেবায়, গানে—সব তাতে, নতুনদল যার উঠছে, বিশেষ করে যাদের মধ্যে গিফট আছে তাদের কি হল্লোড় করে কাটাবার সময় ? অপু মুখে হাসিয়া কথাটা উড়াইয় দিল বটে, কিন্তু মনে মনে ভারি খুলী হইল—কথার মধ্যে তাহারও ষে দিবার কিছু আছে বা থাকিতে পারে সেদিকে ইঙ্গিত করা হইয়াছে বুঝিয়া । পরে দুজনে বেড়াইতে বাহির হইল । (ক্রমশঃ)