পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] উপাধীন Rరి হাসিতে তার মুমু মুখখান উজ্জল হয়ে উঠল। সেই হাসি আর একবার তার মুখে দেখেছিলুম—যেদিন তার বাবা তাকে বিষয় থেকে বঞ্চিত করবার ভয় দেখিয়ে হিমানীকে ছেড়ে বাড়ীতে ফিরে আসবার কথা বলেছিলেন। তখনও বুঝতে পারিনি যে, সেই হাসিটুকুর অবকাশে তার প্রাণ বেরিয়ে গিয়েছে। চীৎকার ক’রে ডাকলুম—মতিলাল— میمیہ বাইরে একটা ভোরের পার্থী জবাব निf评总-芭1 তাড়াতাড়ি জানলাটা খুলে দিয়ে দেখি, মতিলালের মুমু মুখের শেষ হাসিটুকুর মতন একটুখানি আলোর রেখা পূব-গগনে ফুটে উঠেছে। উপাধান ঐযতীন্দ্রমোহন বাগচী অন্তর মাঝে নিয়ত যা বাঞ্জে, সে ব্যথা কাহারে বলি ? কে দাড়ায় কাছে, কেবা হেন আছে, সবাই যে যায় চলি ! আজ যারে পাই, বক্ষে জড়াই, কাল তারি দেখা নাই, চক্ষের জল মুছিতে মুছিতে সম্মুখে শুধু চাই ! পেয়ে-পেয়ে আর হারিয়ে-হারিয়ে কেটে যায় তবু দিন— পায়ে-পায়ে শোধে পথের যাত্রী দীর্ঘ পথের ঋণ ! গৃহ ধন জন, মিছে আয়োজন ; তুই শুধু উপাধান ! সারা জীবমের সঙ্গশেষেও মরণে রাথিস্ মান ; স্মৃতিক-ঘরের প্রথম সকালে রেখেছি যে কোলে মাথ, জানি সেই চির সাথের সঙ্গী, শেষের সঙ্গে গঁথা ! নোয়াইয়া শির করি ষে প্রণতি নিত্য নিভৃত রাতে, সে নতি আমার সার্থক, সখি, তোরই অনুকম্পাতে। করে আর বলি,কেবা আছে মোর, তোরে শুধু বলি তাই, আপন বলিতে বহুজন আছে, আপনার কেহ নাই! বড় আশে ঘরে জেলেছিনু দীপ, রেখে গেছে শুধু কালি, বড় সাধে যেথা বেঁধেছিয় ঘর, নীচে তার চোরাবালি ! বড় বেদনার বন্ধু আমার, করি না অপরাধী, তেরি কোলে মাখ রাখিয়া কেঁদেছি, তোরি কোলে - অাজে৷ কা!ি B -*. সবি তো জানি, তবু ফিরে বলি—মনে পড়ে সেই রাতি ? আরেকটি মাথা ঐ কোলে তোর ছিল শিথানের সার্থী ! কত বার করে সোহাগে আদরে সে-বুকে টেনেছে মাথা, তোরি বুকে আর তারি বুকে ছিল ভাগের-শয়ন পাতা! বাসরের বাতি সারারাতি ধরে’ ত দেখে মরেছে জলে’— তুই তো জানিস নীরব সাক্ষী, কি আর জানাব বলে ! কটা বা রাত্রি,কেমনে কেটেছে—তোর চেয়ে কেবা জানে ? সখীর মতন মিলন ঘটায়ে ছিলি তো রে মাঝখানে ! সেই বুকে-বুকে মুখে-মুখে মিল, দু'হাতে জড়ায়ে গলা, কোণে থেকে কেউ শোনে বলে সেই কানে-কানে কথা বল, সেই সারারাত জেগে ভোর করা,তোরে ঠেলে রেখে পাশে, জানিস্ তো সবি—লজার কথা—দুদিনের ইতিহাসে ! মনে পড়ে কি রে, রাত্রি দুপুরে তোরে নিয়ে কাড়াকড়ি, তোরই ব্যবধান নিয়ে অভিমান, তাই নিয়ে আড়াআড়ি ; কন্তু বা আদরে কেতকী-কেশরে ভরি’ তেরি কম কায়, স্বরভিত মন তারি মতো তোরে স্বরভি করিতে চায় ! কতু রাগ ক’রে ‘ঘরের সতীন মাম দিয়ে তোরে ডাক, সারারাত ধরে সাধাবার তরে তোরি বুকে মুখ ঢাকা । স্বপ্ন ফুরালো—মরুর বক্ষে মরীচিকা গেল মরে’ ! শুষ্ক কণ্ঠ, তপ্ত বালুকী—চলিয়াছি পথ ধরে ; কোথা শেষ এর, কোথা বা সীমানা, কে দেবে আমারে বলি তুসহ এই দিবসের বোঝা বয়ে-বয়ে তবু চলি! ? জীবনবন্ধু, শুধাইব তোরে, একটি শেষের কথা,— সতীনের বুকে মাথাটি লুকায়ে কবে জুড়াইব ব্যথা !