পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮২ কোনও সংস্কৃত গ্রন্থে গৌড়-শিল্পরীতির উল্লেখ দেখি নাই ; নামটি আমিই প্রচলিত করিতেছি, কারণ উহাই প্রকৃত নাম হওয়া উচিত। প্রতিমালক্ষণ বা iconology wRRöhl Iconographya 3*** affitiê wifi Dawn পত্রে Iconography শব্দেরই ব্যবহার করিয়াছি। আপনি যেভাবে শিল্পযুগের বিভাগ করিয়াছেন, উহাই প্রচলিত বিভাগ, কিন্তু উহা ঐতিহাসিক বিভাগ নয়—কাল্পনিক। ঐতিহাসিক বিভাগ ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহাসিক যুগ ধরিয়! করিতে হইবে । ধে যুগে সে কারণে মুৰ্বিকল্পনা যে ধারা অবলম্বন করিয়াছিল, সেই যুগের সকল সম্প্রদায়ের মূৰ্ত্তিতেই তাহা দেদীপ্যমান। সুতরাং সম্প্রদায়-অম্লসারে যুগের নামকরণ করিলে, ইতিহাসের বিচারে টিকিতে পারিবে না। উড়িষ্যার দেবমূর্তিগুলির মধ্যে যাঙ্গর ছবি বা স্কেচ পাইলে আমার উপকার হইতে পারে তাহার তালিকা এইরূপ :–(১) যাজপুরের মাতৃকামূৰ্বি, (২) পুরীর মার্কণ্ডেয় সরোবরতীরে একখানি চালাঘরে রক্ষিত মাতৃকামুৰ্বি, (৩) পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাহিরের বৃহং বরাহ ৪ নৃসিংহমূৰ্ত্তি, এবং পুরী ও কোণার্কের কষ্টিপাথরের সমস্ত মূৰ্ত্তি, (৪) সাক্ষী গোপালের মূৰ্ত্তি । শযুক্ত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়কে তাহার কথা লিগিয়াছি । আমার পত্রও দীর্ণ হইয় পড়িল যত কথা বলিব, তত কথা বলা হইল না। আর দুই একটা কথা বলিয়৷ এবার বিদায় লইব । আপনি বাঙ্গালা দেশের গৌড়শিল্পের নিদর্শনের তালিক! চাহিয়াছেন, তাহা বুহুং | WiMoti Słoń magic lantern slide of a life; 3 করিতেছি । কলিকাতার যাদুঘরে কিছু আছে, কিন্তু বেশী আছে বরেন্দ্র-অকুসন্ধান সমিতির সংগ্রহ-মন্দিরে । তাহার ব্লক হইতেছে, একসঙ্গে গৌড় শিল্পকলা পুস্তকে বাহির হইবে। গৌড়শিল্পরীতি সম্বন্ধে আমার অভিমত কি তাহার একটা “নোট’ চাহিয়াছেন । সংক্ষেপে লিখিলেও তাহ বৃহৎ “নোট’ হইবে । এক কথায় বলিতে গেলে মহাযান-সম্প্রদায়ের অধ্যাত্মবাদের পরিণামই গৌড়ীয় শিল্পরীতি রূপে আকার-গ্রহণের চেষ্টা করিয়াছিল । পঞ্চপাল নয়পালের সময় পৰ্য্যস্ত সেই তাহ{ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAAAAA SAAAAAMAMAMA AMAAASAASAASAASAASAASAA AAAS AAASASASS অধ্যাত্মবাদ বিশুদ্ধি রক্ষা করিয়া ক্রমে অৰসন্ন হয়, শিল্পও তাহার অনুগমন করে। বরেন্দ্রে যে শিল্পরীতির উদ্ভব, তাঙ্গ উড়িষ্যায়,মগধে, দ্বীপপুঞ্জে গিয়াছিল। মগধ ও গৌড় একসূত্রে গ্রথিত থাকায়, মহাযান মতের অধোগতির সঙ্গে এই দুই স্থানের শিল্পরীতি ক্রমে অবনতি লাভ করিতে থাকে ; কিন্তু উড়িষ্যায় ও দ্বীপপুঞ্জে সেরূপ কারণ বৰ্ত্তমান না থাকায়, তদেশে উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করে । বরেন্দ্রে উদ্ভব-উড়িয়ায় শক্তিলাভ—দ্বীপপুঞ্জে পরিণতি, ইহাই গৌড়ীয় শিল্পকলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস । ভুবনেশ্বরে বসিয়া ইহার পরিচয় লাভ করা যাইতে পারে। ফর্গসনের নতন সংস্করণের দ্বিতীয় ভাগে উড়িষ্যার স্থাপত্যের কালনির্ণয়াত্মক তালিকা দেখুন,—যবদ্বীপের উৎকৃষ্ট মূৰ্ত্তিগুলির রচনাকালের কথা চিন্তা করুন,– সহজেই ইতিহাসের স্বত্র ধরিতে পারিবেন। প্রাদেশিক রচনারীতি মূলরচনা রীতিকে কিঞ্চিৎ পরিবত্তিত করিলেও আচ্ছন্ন করিতে পারে না । কোনটি মূল, কোনটি প্রাদেশিক, তাহ বাছিয়া পাহির করিবামাত্র, উড়িষ্যার এবং দ্বীপপুঞ্জের শিল্পরীতি যে গৌড়শিল্পরীতি তাহ বুঝিতে বিলম্ব ঘটিবে না । এ বিষয়ে আমি আল্পে অল্পে অনেক লিগিয়াও কিছুই লিখিতে পারিলাম না । সাহিত্যে মাসে মাসে কিছু কিছু লিখিব মনে করিয়াছি, তাহাতেই আমার বক্তব্যের আভাস পাইতে পরিবেন। এখন বিদায় গ্রহণের সময়ে প্রাথনা জানাইয়া রাখি- আপনি যে শিল্পগ্রন্থের নকল আনাইয়|ছেন, সেগুলি রেজেষ্টারী ডাকে অথব লোক মারফতে ক্রমে ক্ৰমে আমাকে দেখিতে দেন এবং যে সকল স্কেচ, আবশ্বক তাহ সংগ্ৰহ করিয়া .দেন, আমি তদবলম্বনে আপনাদের প্রস্তাবিত শিল্পসূত্রসংগ্রহ নামক গ্রন্থ সঙ্কলনের চেষ্টা করি। অলমতি বিস্তরেণ । ভবদীয় শ্রীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয় পুনঃ লিঃ বরেন্দ্র-অঙ্গুসন্ধান সমিতির সংগৃহীত গৌড়শিল্পের নিদর্শনের একটি নমুনা পাঠাইলাম । উহা গৌড় শিল্পকলা-পুস্তকে সন্নিবিষ্ট হুইয়াছে এবং বরেন্দ্র-অনুসন্ধান সমিতি কৰ্ত্ত ক উহা প্রথমে প্রকাশিত হইবে। স্বতরাং