পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&য় সংখ্য}} , , সাধারণ অর্থে ,আর্ট কথাটি এখনকার সাহিত্য অথবা কলা-সমালোচনায় কচিৎ ব্যবহৃত হয়। ললিত কলার সম্বন্ধেই বিশেষভাবে প্রযোজ্য, অধুন। আর্টের এমন অর্থই প্রচলিত। তবুও আট যে মুখ্যত মানুষের রচনা এই মূলভাবটিই আর্টের সর্ববিধ প্রয়োগের মধ্যে দেপিতে পাই। মাহ্য সমাজে বাস করে। তাই সে আপনাকে প্রকাশ করিতে চায়। একে অন্তের কথাও তাই শোনে। এই প্রকাশেই সমবেদন জাগিয় উঠে। পর আপনার হয় । আট আমাদের আত্মপ্রকাশ । * , মাতৃয়ের রচনাকে বিশ্লেষণ করিলে দুটি জিনিষ দেখিতে পাই। একটি রচয়িতার মনোভাব, আর একটি সেই মনোভাবের মূর্খ বা রূপ। মনোভাব যাহাই হোক না কেন, আর্ট হইল সেই ভাবের অভিব্যক্তি। যে অভিব্যক্তি আমাদের চিরদিবসের আনন্দ বিধান করে, তাহা শ্রেষ্ট আর্ট । শ্রেষ্ঠ আর্ট প্রয়োজনের অতিরিক্ত বা প্রয়োজনাতীত হইতে পারে, অপ্রয়োজনীয় নয়। প্রয়োজনের অর্থ ব্যাবহারিক সুবিধা। রাসকিন অনবহিতভাবে অপ্রয়োজনীয় কথাটি ব্যবহার করিয়া ফেলিয়াছেন । । ললিত কলা হিসাবে স্থাপত্যের সংজ্ঞা দিতে গিয়। affo aforeca, “Architecture is that art which taking up and admitting, as conditions of its working, the necessities and columon uses of the building, impresses on its form certain characters venerable or beautiful, but নিৰ্ম্মাণকালে গৃহ মন্দিরের সাধারণ প্রয়োজনাদির কথা মনে রাখিতে হইবে বটে, কিন্তু ললিত কলা হিসাবে স্থাপত্য সেই রচনা যাহ। গঠনটির উপর এমন কতকগুলি ভাবের ছাপ মুদ্রিত করিয়া দেয় যাহা গম্ভীর অথবা স্বন্দর, কিন্তু অন্য দিক দিয়া দেখিতে গেলে অনাবশ্যক। রাসকিন এক অসতর্ক মুহূৰ্বে যে, কথা প্রয়োগ করিয়াছিলেন, অস্কার ওয়াইল্ড কিন্তু সেই কথা দিয়াই আর্টের সংজ্ঞা নির্ণয় করিয়াছেন। ওয়াইল্ডের মতে, “All art is, quite useless.’- আট মাত্রই একান্ত otherwise unnecessary.”—osis, 6 S-> x st: aaroo “Art never expresses anything but itself. --অন্য কিছুকেই নয়, আর্ট আপনাকে মাত্র 8"> SAMMMASAMMAAASAASAASAASAAMMAAAASASASS অভিব্যক্ত করে। ওয়াইল্ডের কাছে আট জীবননিরপেক্ষ। তাই কলা-স্থষ্টিতে নৈতিক বিধানের স্থান নাই । . . সৌন্দর্য্যের দিক দিয়া আটকে বিচার করিতে গিয়৷ জীবনের সহিত আর্টের সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন করা হইয়াছে। Art for artএর অর্থ এই –বাক্যে বর্ণে স্বরে, যে-কোনো উপদানে হোক না, মানুষ রচনার আনন্দে রচনা করিয়া যায় । স্তষ্টি করিয়া যে আত্মপ্রসাদ লাভ হয় তাহ ছাড় হষ্টির অন্য উদ্বেগু নাই । কিন্তু আত্মপ্রসাদের লোভেও নয়, মানুষ শুধু সৃষ্টির প্রেরণায় স্তষ্টি করিয়া যায়। সমাজকে ভাল করিব অথবা মাহুষের দুঃখ দূর করিব, এমন একটা বাহ উদ্দেশ যেখানে আছে, বুঝিতে হইবে গুষ্টির পূর্ণ প্রেরণ। সেখানে নাই । অতএব আর্টের উপর নীতি প্রভূতি বহিরের জিনিসের কোন অধিকার নাই । শুধু প্রকাশই যদি একমাত্ৰ কাম্য বস্তু হইত, তাহা হইলে মনে করিতাম এ যুক্তি অকাট্য । কিন্তু ভাব হইতে আটকে, রস হইতে রূপকে বিচ্ছিন্ন করিয়া গ্রহণ করিবার উপায় মানুষের নাই । প্রকাশনৈপুণ্য অপেক্ষা প্রকাশিত বস্তুটির দিকেই সাধারণ মানুষের কৌতুহল অধিক । বরং বহুমুখী জীবনের একতর প্রকাশ আর্ট । জীবনে কৌতুহলের আর আস্ত নাই । সাংসারিক প্রয়োজনকে অতিক্রম করিয়া এই কৌতুহল যখন সৌন্দর্য্যের সন্ধানে আনন্দের রাজ্যে উপস্থিত হয়, জীবন তখন নবপরিণতি লাভ করে । রূপ রস শব্দের ভিতর দিয়া যে সৌন্দর্য্য-সৃষ্টি সম্ভবপর হয়, তাহ পরম উপভোগের বস্তু । কখনত কাব্যে, কপনও চিত্রে, কখনও সঙ্গীতে এই সৌন্দর্য্য-সৃষ্টি আত্মার যে তৃপ্তি বিধান করে, জীবনের বিকাশে তাহার সাহায্য অপরিহার্য্য । প্রেয় বলিয়াই ইহা একান্তরূপে শ্ৰেয়। জীবন আপনাকে ব্যক্ত করিবার নিরস্তর চেষ্ট করিতেছে। আট জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিব্যক্তি ।