পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిపి SAMAMAMMMAMMAMAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAAMAMAMAMA ASASASAMAMeeAAA AAAASASASS কাব্যের যত সূত্র সংজ্ঞ সমালোচনা ব্যাখ্যা আছে, তাহাদের মধ্যে ‘বাক্যং রসাত্মকম্ কাব্যম্’ এই ছোট অর্থনির্দেশটি যেমন স্বল্পপরিসর তেমনি মুন্দর । প্রথমে বাক্যের কথা ধরা যাক। যাহা কিছু ব্যক্ত করা যায় তাহাই বাক্য, ইংরেজিতে যাকে বলে expression. সকল সাহিত্যই কতকগুলি ভাব ও ধারণার প্রকাশ । শুধু বাক্য নয়, শুধু expression নয়, কাব্য এক বিশেষ ধরণের বিশেয গড়নের বাক্য । সে কেমন বাক্য, কোন ধরণের অভিব্যক্তি ? না—সে অভিব্যক্তি রসাত্মক । কাব্য রসাত্মক বাক্য । "রসাত্মক বাক্যে’র মধ্যে দুটি কথা আছে,রস ও বাক্য । এই দুটি কাব্যের মুখ্য জিনিষ, মূল উপাদান, আর-সব গৌণ। কাব্যের মৌলিক লক্ষণ রস । এই লক্ষণ নিরূপণে কাব্যের মূলতত্ত্ব নির্দিষ্ট হইয়া গেল । থিওডোর ওয়াটস-ডাণ্টন কাব্যকে দুইভাগে দেখিয়াছেন —Poetry as an energy and as an art. ofas so ভাবে কলা, আরেক ভাবে শক্তি। অর্থাৎ দেহের দিক দিয়াও কাবাবিচার চলে আবার প্রাণের দিক দিয়া ও কাব্যকে দেখা যায়। কোথা ও-বা কাব্যের প্রাণশক্তি প্রাধান্তলাভ করিয়াছে, আর কোথাও কাব্যের রূপ প্রাণকে আচ্ছন্ন করিয়াছে । হিন্দু দার্শনিকেরা বলেন, দেহ ও প্রাণ লইয়া মাতুষ নয়, এমন-কি দেহ ও মন লইয়াও মাস্থ্য নয়। দেহ ও মনকে যে চালায় সে আত্মা । হিন্দু আলঙ্কারিকেরা ও বলেন, ভাব ও রূপেষ্ট কাব্য সম্পূর্ণ নয়। ভাবকে যদি কাব্যের প্রাণ বলিয়া ধরা যায়, তাহ হটলে ভাবের অতিরিক্ত আরো কিছু কাব্যের মধ্যে পাওয়া যায়, তাহ রস । রস কাব্যের আত্মা । - কাব্যের যে বিচার, সাহিত্যেরও সেই বিচার। কাব্য কেবল ছন্দ প্রভূতি কতকগুলি বিশেষ নিয়মের অধীন। আমরা দুই রকমের কবি দেখিতে পাই । এক ধরণের কবির অস্তদৃষ্টি গভীর। তাহার কাব্যের বহিঃসজ্জার জন্য ব্যস্ত নয়। দিব্যদৃষ্টির প্রভাবে যে অনুভূতির সাক্ষাংলাভ করে সেই অনুভূতিকে তাহার যে-কোন ভাষঙ্গ, যে-কোন ভঙ্গীতে প্রকাশ করিতে চায় । তাহাদের প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASAASAAMMMMM AMMMAMMAMAMMMMMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAAMMAMAMAAAS কাব্যের কক্কশ বহিরাবরণ ভেদ করিতে পারিলে আমরা অপূৰ্ব্ব রসের সাক্ষাৎ পাই। ব্রাউনিং এইরূপ কবি । ব্রাউনিঙের কাব্যে রূপ গৌণ, রসই প্রধান বস্তু। ভবভূতিও এমনি রসিক কবি । ব্রাউনিঙের সমসাময়িক টেনিসনের কাব্য আলোচনা করিলে ইহার বিপরীত দেখিতে পাই । ভাষার সুষমা, ছন্দের লালিত্য, বাক্যের বিন্যাস—ইহাই টেনিসনের প্রধান লক্ষ্য । তাহার কাব্যে রূপ রসকে অতিক্রম করিয়া গেছে। ভারতচন্দ্র ও এমনি রূপ দিয়া কাব্যকে বড় করিতে চেষ্টা করিয়াছেন । র্যাহার। আর্টিষ্ট র্তাহার রসের শ্রেষ্ঠত নিক্লষ্টত বিচার করেন না, কিন্তু র্তাহার। যে-টুকু রস ফুটাইতে চান তাহ পরিপূর্ণরূপে ফুটাইতে পারেন । আলঙ্কারিকের বলেন রস নয় প্রকার—আদি বীর করুণ অদ্ভুত হাস্য ভয়ানক বীভৎস রৌদ্র শান্ত । বাৎসল্যকে ধরিয়া কেউ বলেন দশ । ইহার উপর কেহ যোগ করেন ভক্তি। এ যেন কবিরাজের রসের বিভাগ—কটু তিক্ত কষায় লবণ অম্ল মধুর, কবির নয়। তাই ভবভূতি বলিয়াছেন, নিমিত্তভেদে একই রস বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন রূপে অভিব্যক্ত হইয়া উঠিয়াছে। ভবভূতি রসকে এক বলিয়া ধরিয়াছেন, কারণ ভবভূতি কবি । ঋষিরাও জানিয়াছেন—রস এক, কেন-ন ঋমি ও কবি উভয়েই সত্যদশ । ভগবানের কথা বলিতে গিয়। তাই র্তাহারা বলিয়াছেন–রসে বৈ সঃ । রস ন’টি নয়, দশটিও নয়, রস অসংখ্য, অর্থাং রসের প্রকাশ অনন্ত । অথচ রস এক । রসে৷ বৈ সঃ । সে কি ? না—সে এক অন্তভূতি, আনন্দময় অল্প ভূতি । জ্ঞানের নয়, কম্মের নয়, কামনার নয়, সে শুধু অল্প ভূতির বিষয় । ~. এই ধ্যান ও ধারণার বস্তু, এই আনন্দময় অনুভূতি— রস । ধৰ্ম্মের দিক দিয়া ধ্যান ও ধারণ যাহা, কাব্যের দিক দিয়া কল্পনা ও তা-ই। সরস বলিতে আমরা যে রস বুঝি, ‘একে রসঃ’ বলিতে ভবভূতি যে রস বুঝিয়াছেন, ‘রসে বৈ সঃ’ বলিতে ঋবিরা যে রসের কথা বলিয়াছেন, সে এই রস, অনুভূতির ভিতর দিয়া যা আমরা উপভোগ