পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বঙ্গসাগরের ঝড় ও তাহার প্রকৃতি 8b~☾ বহিতে থাকে এবং ইহার গতি ক্রমশঃ বদ্ধিত হইয়া পূর্বের মত ভীষণ হইয় উঠে এবং ঝড় পার হইয়া গেলে অল্পে অল্পে কমিয়া যায়। পূৰ্ব্ববঙ্গের কেহ কেহ ঝড়ের এইরূপ দুইবার হাওয়ার বৃদ্ধি এবং বিপরীতাভিমুখে বহিবার বিষয় লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । এই প্রকারের ঝড়ের অবিৰ্ত্তে ঘটিকা-যন্ত্রের র্কাটার বিপরীত দিকে হাওয়া বহিতে থাকে এবং কেন্দ্রস্থলে হাওয়ার বেগ কিছুই থাকে না, ইহা স্মরণ রাখিলে উপরিউক্ত পৰ্য্যবেক্ষণের কারণ সহজেই অনুভূত হইবে । /*, *

V ཐག་།

  • N

Υoo બ્રજરે જ- ૪૦૮ נ: ঝড়ের বায়ুচক্র ( ক্ষিতিজ তলের সহিত সমান্তরালভাবে ) ঝড়গুলির উৎপত্তির কারণ সম্বন্ধে মতভেদ আছে সত্য, কিন্তু ঝড় উপস্থিত হইলে হাওয়া কেন ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে চক্রাকারে বহিতে থাকে তাহার কারণ বৈজ্ঞানিকগণ অনেকদিন পূৰ্ব্বেই নির্দেশ করিয়াছেন। বর্ষার পূর্বের এবং পরের ঝড়গুলি উৎপন্ন হইবার কয়েক দিন পূৰ্ব্ব হইতেই দেখিতে পাওয়া যায়, সমস্ত বঙ্গসাগরে প্রকৃতি কেমন একটা শান্তগম্ভীর ভাব ধারণ করিয়াছে । আকাশ নিৰ্ম্মল, কোথাও যেন মেঘের চিহ্নমাত্র নাই। এইরূপ অবস্থায় প্রখর স্বৰ্য্যের উত্তাপে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হইয়া উষ্ণ হাওয়ার সঙ্গে মিশিতে থাকে। হাওয়া উষ্ণ হইলে হাস্ক হইয়া যায়। এইজন্য সমুদ্রের উপরের জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ হাওয়া উৰ্দ্ধমুখী গতি প্রাপ্ত হয়। স্বতরাং উপরে উত্থিত উষ্ণ হাওয়ার পরিত্যক্ত স্থান পূর্ণ করিবার জন্ত চতুৰ্দ্দিক হইতে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা হাওয়া ছুটিয়া আসে। এই প্রক্রিয়ার ফলে সমুদ্রের উপরে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে হাওয়ার উৰ্দ্ধমুখী গতি ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়, এবং সেই স্থানকে কেন্দ্র করিয়া চতুর্দিক হইতে উত্তরোত্তর বেগবৃদ্ধির সহিত ঠাণ্ড হাওয়া প্রবহমান হয়। পৃথিবীর আহ্নিকগতির ফলে উহার উপরিতলস্থ হাওয়ায় প্রতিমুহূৰ্ত্তে ঘর্ষণ লাগিতেছে। এইরূপ ঘর্ষণের ফলে উপরিউক্ত কেন্দ্রমুখী প্রবাহী হাওয়ামণ্ডলী চক্রাকারে গতিপ্রাপ্ত হয়। পৃথিবী পশ্চিম হইতে পূৰ্ব্বদিকে ঘুরিতেছে বলিয়। জ্যামিতির স্বত্র অনুসারে বিষুবরেখার উত্তর দিকে এইরূপ চক্রাকারের হাওয়ার গতি ঘটকু। যাঃ কাটার বিপরীতমুখী হইবে, এবং বিষুবরেখার দক্ষিণ দিকে উহ। ঘটিকা-যন্ত্রের কাটার অভিমুখী হইবে । এইজন্যই বঙ্গসাগরের ঝড়গুলির হাওয়া ঘটিকা-যন্ত্রের বিপরীত দিকে ৰহিতে থাকে। উষ্ণ হাওয়ার উদ্ধে উঠিবার শক্তি পারিপাশ্বিক হাওয়ার সহিত উহার তাপের তারতম্যের উপর নির্ভর করে । এই তারতম্য যত অধিক হয় হাওয়া ও তত অধিক উদ্ধে উঠিতে পারে। পরীক্ষার দ্বারা জানিতে পারা যায়, উষ্ণ হাওয়া যত উপরে উঠে তত ঠাণ্ড হইতে থাকে। তিন শত ফিট উপরে উঠিলে তাপের মাত্রা প্রায় এক ডিগ্রি কমিয়া যায়। ইহা হইতে বেশ বুঝিতে পারা যায় যে, ঝড়ের কেন্দ্রস্থলের উষ্ণ হাওয়| কিছুদূর উঠিয়া যখন সেই স্তরের হাওয়ার তাপের সহিত সমতা প্রাপ্ত হয় তখন আর উহার উদ্ধে উঠিবার ক্ষমতা থাকে না। জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বায়ু যখন উৰ্দ্ধে উঠিয়া উহার তাপ হারাইয়া ফেলে তখন বাপগুলি জমিয়া মেঘের আকারে দেখ দেয়। তাপ-বিজ্ঞানের নিয়ম অনুসারে জলীয় বাষ্প জলকণাপূর্ণ মেঘে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আভ্যন্তরিক তাপ ( latent heat ) নির্গম করিতে থাকে। এই আভ্যস্তরিক তাপের ব্যাপারটি বুঝিতে হইলে স্মরণ রাপিতে হইবে যে, বাম্পে পরিণত করিতে হইলে জলে যেমন অনেক তাপ প্রয়োগ করিতে হয়