পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ইউরোপীয় স্থতার প্রতিযোগিতায় ভারতীয় স্বতাই উৎকৃষ্টতর বলিয়া প্রমাণিত হয় । আজ পর্য্যস্ত ইউরোপ যেরূপ সূক্ষ্ম স্থতা তৈরি করিতে সক্ষম হইয়াছে, ভারতীয় স্বত তাহা অপেক্ষ অধিকতর স্বক্ষ । বয়নের উপযোগী করিতে গিয়া সুতা যেরূপ পাকাইতে হয় তাহাতে ঢাকাই মসলিনের বিশেষত্বই প্রমাণিত হয়। এ সম্পর্কে ইউরোপের তৈরি মসলিন ও ঢাকাই মসলিনে যে কি প্রভেদ তাহ নীচের তালিকা হইতে প্রমাণিত হইতেছে — প্রতি ইঞ্চি স্থতায় কতটা পাক দেওয়া হয় সৰ্ব্বনিম্ন সৰ্ব্বোচ্চ গড়পড়ত। পরিমাণ পরিমাণ ফরাসী মসলিন (১৮৬১ | ১ম নমুনা ওs * う ご সালের আন্তজাতিক | ২য় .. se > と 。 o: 8 H প্রদর্শনা) | গড়পড়তা — ----------- r"br বিল তা মসলিন ( ১৮৫১ ১ম নমুনা = ৬ y - 8 6 & " ": সালের অন্তির্জাতিক | , こ魅ア S 8 . 6 q " - প্রদর্শনী) | গড়পড়ত। --- 6 (; ' '. ঢাকাই মসলিন | ১ম নমুনা ১৪ עיצ 5 צ رم و چ ইণ্ডিয়া মিউজিয়ম || ২য় . ৪৬ స 滋b“8 | | 1 - > x 9"> ঢাকাই মসলিন ১৮৬২ | ১ম নমুন। ৪৮ స Ե : "եր সালের অন্তর্জাতিক ಇ , ಪಿ!r Տ 88 *18"と প্রদর্শনী) | গড়পড়ত। -- 8 o“ ইউরোপে প্রস্তুত মসলিন দুইথানার সম্পকে আমরা দেখিতে পাই যে, প্রত্যেক ইঞ্চি সুতায় গড়ে ৬৮৮ এবং ৫৬৬-টি পাক দেওয়৷ হইয়াছে ; ইহার সঙ্গে তুলনায় ভারতীয় সুতায় ১১০১ এবং ৮০৭-টি পক পড়িয়াছে । এই পার্থক্যের গুরত্ব যে অত্যন্ত অধিক সে বিষয়ে BBBBB BBB BB S BBBSBB BBB BBBS BBSBBS BB যে বেশ মজবুৎ সে বিষয়ে কোনো মতভেদ নাই। আর ইহাও সকলেরই বিশেষরূপে জানা আছে যে, কলে-কাটা এই সব সূক্ষ্ম সুতার বস্ত্রাদি ব্যবহারের পক্ষে অযোগ্য । অথচ ভারতের হাতে-কাটা স্বাগতম স্বতীয় তৈরি বস্ত্র বিশেষ মজবুৎ এবং পুনঃ পুনঃ ধোলাই করিলেও খারাপ হয় না, কিন্তু বিলাতের অথবা ইউরোপের সুগতম মসলিন বেশী ধোলাই করিলে পরে ব্যবহারের অযোগ্য হইয়া যায়। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের (অর্থাৎ ইউরোপীয়) কারিগরদের যতই বড় বলিয়া জাহির করিতে চাহিনী, তাহাদের এবিষয়ে এখনও অনেক শিখিবার আছে । ঢাকায় যেরূপ স্বক্ষ মজবুত মসলিন তৈরি করা সম্ভব হইয়াছে, আমাদের যন্ত্রপাতি আধুনিক বিজ্ঞানসন্মতরূপে ঢাকাই মসলিন Q8ふ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও ঢাকার ন্যায় মসলিন তৈরি সম্ভব ঢাকার যন্ত্রপাতি সেকেলে হয় নাই । পুরনো হইলে ও নাটাইয়ে তা গুঢ়ানো তাহ যে এরূপ ক্ষবস্ত্রবয়নের একান্ত উপযোগী সে বিষয়ে কোনে সন্দেহ নাই । ওয়াটসন মসলিন দিয়াছেন তাই এই ঃ– প্রস্বত করণের মে বিবরণ মুতাকাটা যে সকল স্ত্রীলোক স্থত। কাটে তাহারাই কাপাস ( অর্থাং তুল৷ ও বিচি আলাদা করার পূর্ববাবস্থা ) পরিস্কার করে। গাছের পাতা, ড tটা ও বীজ কোষ ইত্যাদি সযত্নে হাত দিয়া পরিস্কার করে, তারপর বিচির গায়ে যে তুলা আঁটিয়া লাগিয়া থাকে তাহ বোয়ালমাছের চোয়াল ( ইহা দেখিতে ঘন ও ক্ষুদ্র র্দাতওয়াল চিরণার মত ) দিয়া আঁচড়াইয়া লয়, তাহাতে তুলার আলগা ও মোট আঁশগুলি পিজিয়া মাটির টুকুর বা অন্যান্য অপরিস্কার বস্তু দূর হয়। কার্টুনির বেশীর ভাগই হিন্দু স্ত্রীলোক, তাহার। অক্লান্ত ধৈয্যের সঙ্গে বোয়াল মাছের চিকুণ দিয়া প্রত্যেকটি বিচি পরিপার করে । পরিপার করার কাজ শেষ হইলেই সে প্রত্যেকটি আঁশ হইতে বিচি বাহির করিয়া ফেলে। একখান মন্থণ চালতা কাঠের তত্ত্বণর উপর আঁচড়ানতুল রাগিয়া লোহার একটা হুক্‌ দিয়া বিচি হইতে আঁশগুলি আল্‌গ করে। এই কাজ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করিতে হয়, পাছে বিচি নষ্ট হয়। তারপর একটি ছোট ধূমুনি দিয়া তুলাগুলি ধুনিয়া ফেলে। তুলা বেশ তুলতুলে হইলে পরে একটা পুর কাঠের বেলনে সেই তুল। পাট করা হয়, পরে বেলনটা সরাইয়। লইয়া দুইখান তক্তা দিয়া তাহ চাপ দিতে হয়, তারপর সেই তুলা একটি ছোট নলখাগড়ায় জড়াইয়। রাপা হয়। পরে সেই তুল