পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V6 e [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড MAAA SAAAAAS AAAAAMAMAMMMMMAMeeAMMSASASAMMS সত্যই ইহ। এ অঞ্চলের একটি অদ্ভূত কীৰ্ত্তি। মন্দিরটি উচ্চে তিন তলারও অধিক হইবে, পাচটি চুড়া-বিশিষ্ট । মন্দির নাটমন্দির ভোগ-মন্দির প্রভৃতি সমস্তই কারুকার্য্যমণ্ডিত । লোহিতাভ প্রস্তর দ্বারা নিৰ্ম্মিত । প্রায় শত বৎসর পূৰ্ব্বে উত্তর-রাঢ়ীয় ঘোষ-চৌধুরী বংশের রাধানাথ ঘোষ এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা । মন্দির-মধ্যে শ্রীশ্রীরাধ গোবিন্দের বিগ্রহ বিরাজিত । সমস্ত রাঢ় দেশের মধ্যে এরূপ স্ববৃহৎ প্রস্তরমন্দির আর একটিও নাই । আসামের কুকি জাতি শ্ৰীলালতুদাই রায় বাঙ্গালী পাঠকগণ আসামের পাৰ্ব্বত্য কুকি জাতির নাম শুনিয়া থাকিরেন । কাছাড়, মণিপুর, লুসাই পাহাড় ও পাৰ্ব্বত্য ত্রিপুরার, পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলে এই কুকিজাতির বাদ। আমি উক্ত কুকি-জাতীয় লোক। আমাদের সভ্যতা, বৰ্ব্বরতা, হিংস্ৰত প্রভৃতি বিষয়ে নানা গল্প, আমাদের প্রতিবেশী বাঙ্গালী পাঠকগণ শুনিয়া থাকিবেন। আমিও আজ আমাদের অসভ্য সভ্যতা সম্বন্ধে কিছু বলিতে কিছু চেষ্টা করিতেছি,=-বিশেষভাবে বাঙ্গালীদের নিকট । আমার গোত্র-পরিচয় অবগত হইয়া, পাঠকগণ নিশ্চয়ই আমার সর্ববিধ ক্রটি মার্জন করিবেন, এই ভরসাতেই আমার এই প্রয়াস । কুকিরা আপনাদিগকে কখনও কুকি বলিত না । কুকি বলিয়া কোন শব্দ তাঁহাদের ভাষাতে নাই । কখন কি ভাবে বলা যায় না, বাঙ্গালীগণ উহাদিগকে ঐ নামে ডাকিতে আরম্ভ করেন । উহার পর হইতেই কুকি শব্দের প্রচলন হইয়াছে । আজকাল কুকিরা আপনাদিগকে কুকি বলিয়াই পরিচয় দেয়। কুকি, লুসাই ও মণিপুরী একই জাতি। শারীরিক গঠনের কথা ছাড়িয়া দিলেও ভাষাতে এত সাদৃত আছে যে, তাহাতে স্পষ্টই উক্ত সিদ্ধান্তে পৌছান যায়। শ্রীচৈতন্য দেবের পর বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম মণিপুরীদের মধ্যে প্রচারিত হওয়াতে, মণিপুরীর, কুকি ও লুসাই জাতি অপেক্ষ শিক্ষাদীক্ষায় আজকাল বেশী উন্নত। ' ' কুকিরা কখনও লেখাপড়া জানিত না । জনপ্রবাদের উপর নির্ভর করিয়াই তাহদের পূর্ব ইতিহাস কতকটা অনুমান করিতে হয়। প্রবাদ যে, কুকিরা “সিনলুং” হইতে এদেশে আসিয়াছে। উহারা মঙ্গোলিয়ান জাতিরই এক শাখা । সম্ভবতঃ বহুপূৰ্ব্বে চীনদেশের কোনও স্থান হইতে এদেশে আসিয়াছে । ঐ চীন হইতে সিন এবং মিন হইতেই সিনলুং শব্দ পরিবর্তিত ও প্রচলিত হইয়া থাকিবে । করুণাময় খৃষ্টান মিশনামীগণ যখন আমাদের কথা জানিতে পারিলেন, তখন তাহাদের প্রেমসিন্ধু উথলিয়া উঠিল। আমাদের ত্রাণের জন্য র্তাহার এমন প্রেম করিলেন যে তাহাতে আমাদের হাবুডুবু থাইতে হইতেছে। আমাদের উপযুক্ত আলোকের সন্ধান এ দেশে না পাইয়। সাতসমুদ্র তেরনদীর পার হইতে উৎকৃষ্ট বিজলীবাতি আনিয়া আমাদিগকে আলোকিত করিয়াছেন । আলোকিত অবস্থার পূৰ্ব্বে আমাদের অন্ধকার অবস্থার কথা কিছু বলা দরকার । বাঙ্গালীদের মধ্যে যেমন ব্রাহ্মণ কায়স্থ প্রভৃতি বিভাগ আছে এবং এক ব্রাহ্মণের মধ্যেই রাঢ়ী বারেন্দ্র প্রভৃতি নানা শ্রেণী আছে, সেইরূপ কুকিদের মধ্যেও প্রধানত: দুইটি বিভাগ—খসাক এবং খটলাং বা ঠিয়াক । খসাকদের মধ্যে খবুং, সেকং, লেইরি, হমারলুসেই, কেইভং, লুংটাও এবং ঠিয়াকদের মধ্যে আমং, থজল, তোলর, বুীল, ভাংকাল, শেলাতে, পাকুমাতে, টাইতে, প্রভৃতি