পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাড়ি ও চুড়ি ময়মনসিংহ জেলার পরলোকগত অন্যতম ভূস্বামিনী শযুক্ত জাহ্নবী চৌধুরাণী সদ্বন্ধে একট। গল্প শুনিয়াছিলাম, যে, তিনি একবার তাহার এক প্রধান কৰ্ম্মচারীকে কোন ৪ বিপংসঙ্কল দুঃসাহসের কাজ করিতে আদেশ করেন । কৰ্ম্মচারী সেই আজ্ঞ। পালন করিতে ইতস্ততঃ করায় তিনি র্তাহাকে একথান। শাড়ি পাঠাইয়া দিতে আদেশ করেন এবং বলেন যে, কৰ্ম্মচারী মহাশয় ধেন অতঃপর শাড়ি পরিয়৷ ঘোমটা দিয়া আন্তঃপুরে বাস করেন । কৰ্ম্মচাবীটিকে লজ্জ দেওয়া এই আদেশের উদ্দেশ্য ছিল । বর্তমান সময়ে যে স্বরাজ লাভ প্রচেষ্টা চলিতেছে, তদুপলক্ষ্যে কোথাও কোথাও নারী-সত্য গ্রহীরা কোন কোন সরকারী কৰ্ম্মচারীকে বা বেদরকারী অন্য লোকদিগকে চুড়ি উপহার পাঠাইয় দিয়াছেন। এই বেসরকারী লোকদিগের মধ্যে ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভার মন্দ্ৰাজী সভ্য শ্ৰীযুক্ত এম্-কে আচাৰ্য্য ( তাহার দেশী নামটা কাগজে বাহির হয় না ) এইরূপ পরিহাসের ব। উপহাসের পাত্র হইয়াছিলেন । ব্যবস্থাপক সভ্যভবনে তাহাকে একদিন একটি লোক একটা মোট সরকারী খাম দিল । তাহার উপর তাহার নাম লেখা ছিল । তিনি স্বরাজ্য দলের লোক, কিন্তু সভ্যপদে ইস্তফা দেন নাই । লোকে বলে, লণ্ডনের গোল টেবিলের বৈঠকে নিমস্থিত হইবার আশা তিনি পোষণ করেন । মোট সরকারী থামটা দেখিয়া হয় ত বা তিনি ভাবিয়াছিলেন, উহার ভিতর সেই নিমন্ত্রণপত্র আছে । তাড়া তাড়ি খুলিয়। দেখেন, তাহার ভিতর সরকারী কিছু নাই, বেসরকারী কোন ব্যক্তি র্তাহাকে চুড়ি উপহার পাঠাইয়াছে। চুড়ি পাঠাইয় তাহাকে লজ্জা দেওয়া বোধ হয় কোন মহিলার বা পুরুষের অভিপ্রায় ছিল। কিন্তু বাস্তবিকই কি এই লোকটি বা অন্য কোনও পুরুঘ নান। প্রদেশের চুড়িপরিহিত রাজবন্দিনী বা রাজঅতিথি মহিলাদের মত আচরণ করিলে তাহা পুরুষের পক্ষে অপমানকর হইত ? তাহার বিপরীত হইত বলিয়াই আমাদের বিশ্বাস । মহিলারা এখন কোনও পুরুষজাতীয় ব্যক্তিকে লজ্জ। দিবার জন্ত আর শাড়ি ও চড়ি পাঠাইবেন না ;–শাড়ি ও চুড়ি পরিলেই এখন তাহ “অবলার” লক্ষণ বলিয়৷ নিঃসংশয়ে গৃহীত হইতে পারে না। " কোন ও পুরুষকে লজ্জা দিবীর প্রয়োজন হইলে মহিলার খেন অতঃপর অন্য উপায় উদ্ভাবন করেন । - কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলার রেভারেণ্ড ডাক্তার আর্কার্টের কায্যকাল অতিক্রান্ত হওয়ায় লেফটেনাণ্ট কর্ণেল স্বত্বাওয়াদী ঐ পদে নিযুক্ত হইয়াছেন । মুসলমানদিগের মধ্য হইতে ইনিই প্রথম কলিকাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলার নিযুক্ত হইলেন । কোন কৰ্ম্মে কেহ নিযুক্ত হইয়৷ কিছুকাল সেই কাৰ্য্য করিলে দেখা যায়, যে, নিতান্ত র্তাহার দলভুক্ত ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্যেরা তাহার সকল কাজের ও কথার সমর্থন করিতে পারেন না । যোগ্য অযোগ্য সকল কৰ্ম্মী সম্বন্ধেই ইহা প্রযোজ্য। কিন্তু কাহারও প্রত্যেকটি কাজ ও কথার সুমৰ্থন করিতে না পারিলেই যে র্তাহার প্রশংস৷ করা যায় না, এমন নয়। ডাক্তার আর্কটের সব কথা ও কাজে আমরা সায় দিতে পারি নাই। কিন্তু ইহা বলা নিশ্চয়ই কৰ্ত্তব্য, যে, তিনি বিচক্ষণত ও বুদ্ধিমত্তার সহিত ভাইস-চ্যান্সেলারের কাজ করিয়াছেন।