পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা]

  • v,...,-.......“...*,

( শক), পার্থীয়, মোঙ্গোলীয়। কিন্তু তাহদের বংশ দুই তিন পুরুষ পরেই হিন্দুসমাজে সম্পূর্ণভাবে মিশিয়া যায়, হিন্দু নাম, হিন্দু ভাষা, বেশভূষা, ধৰ্ম্ম ও চিন্তা অবলম্বন করে ; আর এদিকে হিন্দু ধৰ্ম্ম এবং সমাজও এই সব জাতির বিদেশ হইতে আনীত প্রাচীন প্রথা ও পূজার সহিত একটা বোঝাপড়া করিয়া, তাহার কিছু কিছু নিজস্ব করিয়া লইয়া, সবটার উপর ভারতীয় ছাপ লাগাইয়া দেয়। অর্থাৎ হিন্দুসমাজ একটা সাৰ্ব্বজনীন মিলনের ও একত্রীকরণের প্রকাণ্ড যন্ত্র। এই যেমন,—খুষ্টের প্রায় দেড় শত বৎসর পূৰ্ব্বে, গ্ৰীক দিয়নের পুত্র হেলিওডোরস, যবন-রাজ আণ্টালকিদসের দূত হইয়া ভারতীয় রাজা ভাগভদ্রের সভায় আসেন ; তিনি পথে মালব প্রদেশে বেসনগর নামক শহরে বিষ্ণুর পূজা করিয়া একটি গরুড়স্তম্ভ স্থাপিত করেন, এবং তাহার ফলকে নিজকে "ভাগবত” অর্থাৎ বৈষ্ণব বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। অর্থাৎ গ্রীক যবন ( যবন = Ionian) অনায়াসে হিন্দু হইয়াছিল। কিন্তু মুসলমান বিজয়ের পর এইরূপ মিলন ও একত্রীকরণ বন্ধ হইল। হিন্দুধৰ্ম্ম ইসলামকে নিজস্ব করিয়া, মুসলমান জাতিগুলিকে হজম করিয়া ভারতবর্ষের অঙ্গীভূত করিতে পারিল না। কারণ, ইসলামের মূলমন্ত্র একেশ্বরবাদ । ইহুদীধৰ্ম্ম হইতে ইসলাম ও খৃষ্ট ধর্মের জন্ম ; এই তিন ধৰ্ম্মেই ঈশ্বর একমেবাদ্বিতীয়ম, তিনি “জাগ্রত এবং প্রতিদ্বন্দ্বিহীন”,—অর্থাৎ আল্লার ( বা জিহোবার ) সঙ্গে - সঙ্গে আর কোন দেবদেবীকে উপাসনা করিলে তিনি ভীষণ রাগ করিবেন। হিন্দুদের কথাই আলাদা, তাহার তেত্রিশ কোটা দেবদেবীকে পূজা করে, উহার সঙ্গে আল্লা, মহম্মদ বা যিশু নামে আর দু-তিনটা দেবতা যোগ করিয়া দিলে এই যৎসামান্য “বোঝার উপর শাকের আটি” হিন্দু উপাসক সমাজ অতি সহজে সহ করিতে পারিত — এই যেমন অনাৰ্য্যদের ও বৌদ্ধদের কত দেবতা অপদেবতা আমরা পূৰ্ব্বে লইয়াছি। কিন্তু ইসলামী • ( এবং ব্রিটিশ যুগে খৃষ্টান ) সম্প্রদায় কিছুতেই বহু-ঈশ্বর মানিতে সম্মত হইল না। হিন্দুরা অনেক চেষ্টা করিল, তাহারা “আল্লোপনিষৎ’ লিখিল, বাদশাহ আকবরকে SAASA SAASAASAASAA AAAA AAAASA SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAMHS SSAAAS ভারতে মুসলমান ፃፃፃ AAA AASAASAASAASAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA যুগ-ভ্রাতা অবতার বলিয়া পূজা করিতে আরম্ভ করিল, এবং দরকার হইলে আরবীয় দেবদূতকে রামাজুজ শঙ্কর প্রভৃতির ভাই বলিয়া মানিয়া লইত । কিন্তু মুসলমানেরা কোনমতে ইসলামের মূলমন্ত্র ছাড়িয়া হিন্দুধর্মের সহিত আপোষ করিলেন না । কোরাণে অাছে—“অপবিত্র কেহই কাবাতে প্রবেশ করিতে পারিবে না। বহু-দেবউপাসকগণ অপবিত্র ” এইজন্য হিন্দুসমাজ ইসলামকে গ্রাস করিতে পারিল না । অতএব হিন্দু ও মুসলমান ( পরে হিন্দু ও খৃষ্টান ) একই দেশে শত শত বর্ষ বাস করিয়াও সমাজে জীবনে এক হইতে পারে নাই। ভারতীয় মুসলমানদের হৃদয়ের দ্বার ভারতের দিকে বন্ধ,ভারতের বাহিরের দিকে খোলা । এখনও তাহারা প্রার্থনার সময় মক্কার একটি গৃহের দিকে মুখ ফিরান ; তাহাদের চিস্তার, আইন-কান্থনের, শাসনপদ্ধতির, প্রিয় সাহিত্যের আদর্শ ভারতের বাহির হইতে আসে, র্তাহাদের নিজস্ব সভ্যতার উৎস আরবে, সিরিয়ায়, পারস্তে ও মিশর দেশে,—ভারতে ছিল না। হিন্দুদের সব । দৃষ্টি, সব আদর্শ, সবু কেন্দ্রই ভারতবর্ষের মধ্যে আবদ্ধ ; ইসলামীয়দের ধৰ্ম্মের ভাষা, শকাব্য, সাহিত্য, শিক্ষক, সাধুপুরুষ এবং তীর্থ সমস্ত জগং ব্যাপিয়া এক, এসব - ভারতের বাহিরের বস্তু । মুসলমান যুগের দান মুসলমান যুগে ভারতবর্ষের দশটি লাভ হয়, যথা— (১) বাহিরের জগতের সঙ্গে আবার সংস্রব স্থাপন, আবার ভারতীয় নৌবল গঠন ও সমুদ্র পার হইয় বাণিজ্য । (২) একচ্ছত্র রাজত্বের ফলে ভারতের বহু প্রদেশ ব্যাপিয়া শাস্তি, বিশেষরূপে আৰ্য্যাবৰ্ত্ত বা বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের উত্তরের দেশগুলিতে। (৩) সমস্ত দেশময় একই শাসন-প্রণালী এবংfএকই প্রভুর অধিকারের ফলে, লোকের মধ্যে কাজকৰ্ম্মে ব্যবসাবাণিজ্যে, বাহ্যজীবনে এবং কিছু পরিমাণে চিন্তায়ও একতা স্থাপন । (৪) হিন্দুমুসলমান-নিৰ্ব্বিশেষে উচ্চ এবং চাকুরে