পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । পদ্মাসনের উপরে একটি জিনমূৰ্ত্তি ও বাহিরে চারি জোড়া মৎস্যপুচ্ছ অঙ্কিত। এই চারি জোড়া মংস্য-পুচ্ছের বাহিরে প্রথমে বৃত্ত এবং তাহার বাহিরে চারিদিকে চারিটি লম্বা মৎস্যপুচ্ছ । চিংড়িমাছের লেজের মত এই চারিটি লম্বা মৎস্যপুচ্ছ বাকিয়া আছে এই চারিটির গর্ভে চারিটি মঙ্গলচিহ্ন অঙ্কিত দেখিতে পাওয়া যায়— ( ১ ) স্বস্তিক, ( ২ ) মংস্যযুগ্ম, (৩ ) ঘটিকা, ( ৪ ) ভদ্রাসন । এই চারিটি মৎস্যপুচ্ছের বাহিরে অপারাদিগের স্বন্ধে বাহিত একটি মালা ; কিন্তু এই মালার সমান্তরালে ( ১ ) জিনমূৰ্বি, ( ২ ) অাৰ্য্যবৃক্ষ, (৩) স্তুপ, ( s ) মন্দির। এই মালার বৃত্তের বাহিরে চারিকোণে চারিটি নাগিনী এবং তাহীদের নীচে একটি লম্বা পাড়ের উপরে আটটি মঙ্গলচিহ্ন * মোটেব উপরে দেখিতে পাওয়া যায়, অধিকাংশ আর্য্যপট বা আর্য্যাগ্রপট্রের কেন্দ্রস্থলে একটি বৃত্তের মধ্যে জিনের মূৰ্ত্তি ; দুই একটি আর্য্যপটের উপরে এই বৃত্তের মধ্যে জিনমূৰ্ত্তির পরিবর্তে জিনের লাঞ্ছন বা চিহ্ন, যেমন—মথুরার আর্য্যপটের উপরে অৰ্হত নেমিনাথের মৃষ্ট্রির পরিবর্তে তাহার চিহ্ন বা লাঞ্ছন – রথচক্র, কৌশাম্বীর আর্য্যপট্রের উপরে কৌশাম্বীতে জাত ষষ্ঠ তীর্থঙ্কর পদ্ম- প্রভের লাঞ্ছন - একটি ফুল্লাজ । মথুরার নানাস্থানে আবিষ্কৃত আরও কতকগুলি আৰ্য্যপট অন্য প্রকারের কোনটিতে জৈনমন্দির অথবা •এবং

  • I bid., p. 16, pl ix ; Epijraphia Inulica, Vol. II, pp. 311-13. -

རྗེ་ངུ་རྀ་ ്ര, জৈনধৰ্ম্ম ->૧’ জৈনস্তুপ অঙ্কিত আছে। এই জাতীয় নিদর্শন হইতে সৰ্ব্বপ্রথম প্রমাণ হইয়াছিল যে, প্রাচীন জৈনধর্মের আদিম অবস্থাতে বৌদ্ধধর্মের ন্যায় স্তুপের উপাসনাও বিশেষভাবে প্রচলিত ছিল । পরে ১৮৯৮ সালের খননকালে মথুরাতে একটি জৈনস্তপ আবিষ্কৃত হইলে প্রমাণ হইয়াছিল যে স্তুপ বা চৈত্য হিন্দু বৌদ্ধ অথবা জৈন, ভারতীয় কোনও সম্প্রদায়বিশেষের নিজস্ব সম্পত্তি নহে । পুরাতন স্তুপগুলি পুরাতন জিনমূৰ্ত্তির মত আৰ্য্যপটের উপরে অঙ্কিত হইয়। মন্দিরে অথবা বৃক্ষতলে প্রতিষ্ঠা লাভ করিত । জিনমূৰ্ত্তিযুক্ত, জিনের লাঞ্ছনযুক্ত, অথবা শুপযুক্ত কোন আর্য্যপটেই কোনরূপ প্রভেদ লক্ষ্য করিবার উপায় নাই, . সকলেরই শিলালেখে এক কথায় দেখিতে পাওয়া যায়, “নমো অরহুতো নম ফগুয়শস নতকস ভয়ায়ে শিবযশায়ে আয়াগপটে। কারিতো অরহত পূজায়ে।” ইহাতে জিনের মূৰ্ত্তি, জিনের,চিহ্ন ইত্যাদি কিছুই নাই। রেলিং-এ বেষ্টিত একটি স্তুপ, তাহার সম্মুখে তোরণ এবং তোরণের সম্মুখে দিড়ি, তোরণের দুই পাশ্বে দুইটি অৰ্দ্ধ-বিবস্ত্র নারী, ইহাই অৰ্দ্ধভগ্ন আর্য্যপট্রের বিবরণ। বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাস হইতে ভারতীয় জৈনধৰ্ম্মের আদিম যুগ সম্বন্ধে যাহা জানিতে পারা যায় তাহ আৰ্য্যপট বা আর্য্যাগ্রপটু লইয়াই আরব্ধ। বর্তমান জৈনের স্তুপের উপাসনা বড় করেন না, করিলেও প্রচ্ছন্নভাবে করিয়া থাকেন। স্বতরাং জৈনস্ত,পের আলোচনা বাদ দিয়৷ মধ্যযুগের জৈনধৰ্ম্মের আলোচনা করিতে যাওয়া অসম্ভব। 9ৈত্ত