পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ન્સિના প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড এগরিকসের বীজকোরকগুলি (spores ) কখনই সাদা রঙের হয় না, তাহারা ঈষৎ লাল ও ফল রঙে মিশ্রিত। উহাদের ডাটায় আংটির মত পরিবেষ্টন থাকে বটে, কিন্তু বোটার নিম্নভাগে বাটির ন্যায় কোন আবরণ দেখিতে পাওয়া যায় না । এই য়্যামানিটাগুলি কখনই পরগাছার স্যায় গাছের উপর জন্মে না। তাহাদিগকে সব সময়ে বনের মধ্যে মাটির উপর দেখিতে পাওয়া যায় । আহার্য্য এগারিকস্গুলি সচরাচর খোলা মাঠে ঘাসের মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায়, তাহারা কখন ঘন বনে হয় না। এ বিষয়ে অনভ্যস্তদিগের পক্ষে কতকগুলি সাধারণ নিয়ম জানিয়া রাখা উচিত ঃ-যে ছাতাগুলি টাটুকা এবং শক্ত নয়, সেইগুলি কখনই খাদ্যরূপে আহার করিবে না । কিংবা যেগুলি পোকামাকড়ে পূর্ণ অথবা কোন তীব্র গন্ধ পরিপূর্ণ সেগুলি সম্পূর্ণরূপে বর্জন করিবে। যেগুলি হইতে দুগ্ধের ন্যায় রস বহির্গভ হয় সেগুলিও পরিত্যাগ করিবে । নানা বর্ণে বিশেষভাবে চিত্রিত বড় ছাতাগুলি সাধারণতঃ বিষাক্ত শ্রেণীভূক্ত, সুতরাং তাহাও পরিহার্য্য। আহাৰ্য্য ছাতা সম্বন্ধে সকল সময়ে নিজের কিছু কিছু জানিয়া রাখা আবশ্যক। পরের প্রতি নির্ভর করিলে অনেক সময়ে বিপদে পড়িবার সম্ভাবনা থাকে । গরম জলে ফুটাইয়া লইলে বা লবণ দ্বারা সিদ্ধ করিলে বিষাক্ত ছাতার বিষ নষ্ট হয় না। এ সম্বন্ধে ভুল ধারণাগুলি দূরীভূত কর। বিশেষ প্রয়োজন। য়্যামানিটার বিষ কেবল সতেজ য়্যাসিডে বহুক্ষণ সিদ্ধ করিলে নষ্ট করা যাইতে পারে। দুইটি ভয়ানক বিষাক্ত য়্যামানিট sirvã'ia grwta ( Amanita এবং Am.phalloides ) ছবি দেওয়া গেল (চিত্র গ ও ঘ ) । এই দুই শ্রেণীর বিষাক্ত ছাতা থাইয়া আকস্মিক দুৰ্ঘটনার শতকরা নব্বইটি মৃত্যু ঘটি থাকে। আমাদের সাধারণ আহাৰ্য্য ছাতাগুলির ছবিও দেওয়া হইল ( চিত্র ক, খ, ঙ । এই ছবিগুলির সাহায্যে সাধারণে উহাদের প্রভেদ সহজেই ধরিতে পারিবেন। ইউরোপ, আমেরিকা, চীন, জাপান, নিউজিলণ্ড প্রভৃতি দেশে ছাতা নিত্যব্যবহার্য্য তরিতরকারীর মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। স্থইজারলণ্ডের জুরিক সহরে muscaria আমি স্বচক্ষে দেখিয়া আসিঙ্গাছি বাজারের এক অংশ ছাত-বিক্রয়ের জন্য নিৰ্দ্দিষ্ট রহিয়াছে। আমাদের এখানে যেরূপ আলু স্তু পাকার করিয়া বিক্রয়ের জন্য সজ্জিত রাখে, সেইরূপ পাশাপাশি বহু দৈাকানে ছাতা সজ্জিত রহিয়াছে। ইহা হইতেই সহজে বুঝিতে পারা যায়, ওসব দেশে ছাতার কাটতি কেমম বিস্তৃত এবং ইহার ছত্রাক বা ব্যাঙের ছাতার বিভিন্ন অংশ ব্যবসা কেমন দ্রুতবেগে বাড়িয়া চলিতেছে। প্যারিস সহরের কাছে পরিত্যক্ত চুনের ও পাথরের খনিতে মাটির নাচে খুব বিস্তৃত সুড়ঙ্গের মধ্যে ফরাসীরা অপৰ্য্যাপ্ত পরিমাণে ছাতার চাষ করিয়া আসিতেছে । এই সব স্বড়ঙ্গের এক একটির দৈর্ঘ্য সাত আট মাইল হইবে । বিগত যুদ্ধের সময়ে শত্রুপক্ষের গুলিবর্ষণ হইতে আত্মরক্ষা করিবার জন্য ঐ সব স্বৰ্ডঙ্গে অনেকে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন । ১৯২৪ সালে প্যারিসে অবস্থানকালে আমি প্রায় তিন মাসকাল মধ্যে মধ্যে কয়েকটি স্বভুঙ্গের ছাতা চাষের পদ্ধতি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্য্যবেক্ষণ করিয়াছিলাম এবং দেখিয়াছিলাম ফরাসীরা কিরূপ যত্নসহকারে উহার চাষ আবাদ