পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆశీ সংখ্যা ) গাড়ি ছাড়িল, কেহ আসিল না। আমার রহস্যময়ী সঙ্গিনী একটু নড়িয়া-চড়িয়া বস্ত্রাবরণে একট। হিল্লোল তুলিয়া আবার সেইরূপ জড়বং বসিয়৷ রছিলেন। গাড়িট শুধু গতিবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই মুদু দোল দিতে আরম্ভ করিয়া দিল । ব্যবধানট একটু বেশী ছিল বলিয়া গাড়ির অী ওয়া জট। বাড়িবার পূৰ্ব্বেই প্রশ্ন করিলাম—“আপনি কি এক . . . * শেষ করিতে পরিলাম না, কারণ ছাৎ করিয়া মনে হইল “একা” কথাটা ব্যবহার করা বড় ভূল এবং নিতান্ত অসঙ্গত হইয়া গিয়াছে, বিশেষ কবিয় জিজ্ঞাসার আকারে । আমি মনের ভাবট গুছাইয়া বলিবার জন্য ভাষা খুজিতে লাগিলাম। তরুণী উত্তরস্বরূপ বাম হাতখানি বাহির করিয়া ঘোমটাটা একটু টানিয়া দিলেন । একখানি পেলব, নধর ভূজলতা—তুলিতেই একগাছি রুলী আর গুটিকয়েক রেশমী চড়ী ঠন্‌ ঠন শব্দে মণিবন্ধ ছাড়িয়া, হাতের মাঝখানে নামিয়া আসিল,— মনে হইল যেন আমার ভাবগতিক দেখিয় তাহারা একে অন্যের গায়ে হাসিয়া লুটাইয়া পড়িল । ব্যাপারটুকু সামান্তই এবং সত্যিই কিছু আমাকে বিদ্রুপ করিবার জন্য চুড়ীমহলে মাথাব্যথা পড়িয়া যায় নাই। কিন্তু আমার একটু চমক ভাঙিল ; হাসিয়া মনে মনে বলিলাম—"মিছে নয়, জড়ের মুখে হাসি ফুটাইবার মতই অবস্থ দাড়াইয়াছে বটে ।” তখন পৌরুষকে জাগ্ৰত করিয়া বেশ স্পষ্ট, সবল কণ্ঠে জিজ্ঞাস করিলাম “আপনি একলা এ অবস্থায় রয়েছেন, —কোন বিপদ আপদ ঘটেনি তো ? কোন রকম সাহায্য করতে পারি কি ? সব কথা খুলে বলুন, কোন দ্বিধ করবেন না।” এই অকুষ্ঠিত কথাগুলিতে মনে মনে বেশ একটা আত্মপ্রসাদ অনুভব করিলাম, যেন এক মুহূৰ্ত্তে বিশ্বের নারীর দায়িত্ব লইয়া আমি, পুরুষ, সৰ্ব্বষিধ অলস লঘুত্বের উপর আত্মপ্রতিষ্ঠা করিয়া ফেলিলাম। বোঝা শক্ত হইয়া উঠিঞ্জৰে,আমরা এই স্বল্পপ্ৰাণ জাতিটার काएझ श्%ा९ थांकिषा धाविग्ना अभन छूर्तिल झ्झेब्रा *क्लि একরাত্রি Ե-8ծ (कथा श्झेष्ठ घाशएड- ७भन cशॉफ़ेकडक cनाछी कथा বলিলেও জিহব। অালে । আমার স্বল্পপ্রাণা সঙ্গিনী কিন্তু কোন উত্তর দিলেন না ; তাহার পরিবর্কে যাহা করিলেন, তাহাতে জটিল সমস্যাটি আরও নিবিড়ভাবে জটিল হইয়া উঠিল মাত্র। অবগুণ্ঠনের অন্তরালে চাপ ক্রদনের আভাস পাওয়া যাইতে লাগিল—র্কোপাইয়া ফোপাইয়া কাদা—মাঝে মাঝে সমস্ত শরীরটা কাপিয়া উঠিতেছে । যুবতী কথন-বা বস্ত্রাঞ্চলে, কথন-বা সেমিটার অল্পপরিসর কাপড়টুকু দিয়াই অশ্রমোচন করিতেছে । মনটা বড়ই ব্যথিত হইয়া উঠিল, কিন্তু কি উপায় আমার ? আমার ক্ষুব্ধ পৌরুষ লইয়া ওর নীরবতার গঞ্জীর বাহিরে বিফল উদ্বেগে বসিয়া থাকা ভিন্ন আর উপায় ছিল না। বসিয়া বসিয়া নানান রকম সম্ভব অসম্ভব কল্পনা করিতে লাগিলাম, কিন্তু কৃোনটাকেই একটা সন্তোষজনক মীমাংসায় লইয়া ধাইতে পারা গেল না । s এই অবস্থাতেই কয়েকটা ষ্টেশন পার হইয়া গেলগাড়ির এক কোণে পৃথিবীর চিররহস্যময়ী নারী রহস্যের এ একট। নূতনতর আবরণে আর অন্য কোণে চিরমূঢ় পুরুষের প্রতিভূ আমি, এই এক নূতনবিধ ফাপরে পড়িয়া ! গতিকটা মোটেই বলিবার বুঝাইবার যোগ্য =भश्च । অবশেষে ঘটনাটা ক্রমশঃ একঘেয়ে এবং অল্পবিস্তর ভয়াবহ হইয়া পড়ার দরুণ তাহা হইতে কাব্যের অংশটুকু উবিয়া যাওয়ার জন্ত হোক আর যাই হোক, মাথায় একটু বুদ্ধি আসিয়া জুটল। একটা ষ্টেশনে গাড়ি আসিয়া থামিতে বলিলাম —“আপনি না-হয় স্ত্রীলোকের কামরায় চলুন না, সঙ্গে করে দিয়ে আসছি। সেখানে সব কথা খুলে বলতে পারবেন।” আশ্চর্য্যের বিষয়, রমণী ইহাতে তীব্র আপত্তির সহিত সঘনে হাত নাড়িয়া উঠিল ; অনামিকাতে একটি নীলার আংটি যেন কয়েকটি মিনতি আশ্ৰীকণা বর্ষাইয়া ঝিকৃঝিক করিয়া উঠিল। তখনও বুদ্ধিটার কিছু অবশিষ্ট ছিল বলিতে হুইবে, বলিলাম—“বেশ, না-হয় কোন স্ত্রীলোককে ডেকেই